কলম্বিয়ার বামপন্থী গেরিলা নেতা ক্যানো নিহত
কলম্বিয়ার বামপন্থী গেরিলা সংগঠন রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) শীর্ষ নেতা আলফোনসো ক্যানো সেনা অভিযানে নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
কাউকা প্রশাসনিক এলাকার গভর্নর আলবার্তো গঞ্জালেজ মোসকুয়েরা স্থানীয় বেতারকে জানান, ক্যানো নিহত হওয়ার মাধ্যমে সামরিক বাহিনী তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলোর একটি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, কাউকা এলাকার পশ্চিমাঞ্চলে এক সেনা অভিযানে ক্যানো নিহত হয়েছেন। কাউকা দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্রও বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে ক্যানো নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ‘ক্যানো যে নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। তবে আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না।’
ফার্ক নেতা ম্যানুয়েল মারুল্যান্ডা ভেলেজের মৃত্যুর পর ক্যানো ২০০৮ সালের মার্চে সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব পান। তাঁর প্রকৃত নাম গুইলারমো লিওন সায়েনজ ভারগাস। ৬২ বছর বয়সী ক্যানোর জন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর বাবা ছিলেন কৃষিবিদ এবং মা শিক্ষক। ক্যানো বগোটার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও নৃবিজ্ঞানের ওপর পড়াশোনা করেন। তিনি প্রথমে কমিউনিস্ট পার্টির যুব শাখার নেতা হিসেবে খ্যাতি পান। এরপর সত্তরের দশকে ফার্কে যোগ দেন। কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ তাঁকে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অপরাধে অভিযুক্ত করেছে। এ ছাড়া ক্যানোর মাথার দাম ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার ঘোষণা করে কলম্বিয়া সরকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলফ্রেডো র্যানঞ্জেল বলছেন, রেয়েস ও মারুল্যান্ডার মৃত্যুর পর বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ফার্ক। এখন ক্যানোর উত্তরসূরি পাওয়া সংগঠনটির জন্য খুবই কঠিন হবে। ২০০৮ সালের ১ মার্চ ফার্কের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা রাউল রেয়েস ইকুয়েডরের ভূখণ্ডে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হন।
ফার্ক কলম্বিয়ার সবচেয়ে পুরোনো ও বড় গেরিলা সংগঠন। ধারণা করা হচ্ছে, ফার্কের প্রায় আট হাজার সদস্য রয়েছে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সংগঠনটি মার্কসপন্থী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস বিজয়ী হওয়ার পর জনসম্মুখে এক ভিডিও বার্তায় সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কাউকা প্রশাসনিক এলাকার গভর্নর আলবার্তো গঞ্জালেজ মোসকুয়েরা স্থানীয় বেতারকে জানান, ক্যানো নিহত হওয়ার মাধ্যমে সামরিক বাহিনী তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলোর একটি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, কাউকা এলাকার পশ্চিমাঞ্চলে এক সেনা অভিযানে ক্যানো নিহত হয়েছেন। কাউকা দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্রও বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে ক্যানো নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ‘ক্যানো যে নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। তবে আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না।’
ফার্ক নেতা ম্যানুয়েল মারুল্যান্ডা ভেলেজের মৃত্যুর পর ক্যানো ২০০৮ সালের মার্চে সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব পান। তাঁর প্রকৃত নাম গুইলারমো লিওন সায়েনজ ভারগাস। ৬২ বছর বয়সী ক্যানোর জন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর বাবা ছিলেন কৃষিবিদ এবং মা শিক্ষক। ক্যানো বগোটার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও নৃবিজ্ঞানের ওপর পড়াশোনা করেন। তিনি প্রথমে কমিউনিস্ট পার্টির যুব শাখার নেতা হিসেবে খ্যাতি পান। এরপর সত্তরের দশকে ফার্কে যোগ দেন। কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ তাঁকে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অপরাধে অভিযুক্ত করেছে। এ ছাড়া ক্যানোর মাথার দাম ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার ঘোষণা করে কলম্বিয়া সরকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলফ্রেডো র্যানঞ্জেল বলছেন, রেয়েস ও মারুল্যান্ডার মৃত্যুর পর বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ফার্ক। এখন ক্যানোর উত্তরসূরি পাওয়া সংগঠনটির জন্য খুবই কঠিন হবে। ২০০৮ সালের ১ মার্চ ফার্কের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা রাউল রেয়েস ইকুয়েডরের ভূখণ্ডে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হন।
ফার্ক কলম্বিয়ার সবচেয়ে পুরোনো ও বড় গেরিলা সংগঠন। ধারণা করা হচ্ছে, ফার্কের প্রায় আট হাজার সদস্য রয়েছে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সংগঠনটি মার্কসপন্থী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস বিজয়ী হওয়ার পর জনসম্মুখে এক ভিডিও বার্তায় সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
No comments