চীনে আইনজীবীদের ওপর দমনপীড়ন হচ্ছে: অ্যামনেস্টি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল চীনে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমনপীড়ন, নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। চীনে রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের ওপর কর্তৃপক্ষের দমনপীড়নের হার সবচেয়ে বেশি বলে অ্যামনেস্টি অভিযোগ করে।
‘অ্যাগেইনস্ট দ্য ল-ক্র্যাকডাউন অন চায়নাস হিউম্যান রাইটস লইয়ারস ডিপেনস’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ করে অ্যামনেস্টি। লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটির অভিযোগ, চীনা কর্তৃপক্ষ শুধু যে আইনজীবীদের অধিকারই লঙ্ঘন করে, তা নয়; যারাই আইনি সহায়তা চাইছে, তারাও নানা আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার মধ্যে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সংস্থার এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ক্যাথেরিন বেবার জানান, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে উঠলে চীনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর দমনপীড়ন বেড়ে যায়। চীনা সরকারের আশঙ্কা ছিল, মধ্যপ্রাচ্যের আন্দোলন দেখে চীনেও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চীনে সরকারের সমালোচক ও বিরোধী অনেক কর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করা হয়।
অ্যামনেস্টির হিসাব অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি থেকে চীনে ১৩০ জনেরও বেশি মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী কোনো অভিযোগ ছাড়াই কারাবন্দী অথবা নিখোঁজ রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশটির দুই লাখ চার হাজার আইনজীবীর মধ্যে খুব কমসংখ্যকই মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক মামলাগুলো পরিচালনার সাহস করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অগ্রগতি ব্যাহত হবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, যেসব আইনজীবী রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মামলার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রথম প্রথম রহস্যজনক হুমকি পান, অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তার পরও যদি না থামানো যায়, তবে এসব আইনজীবীকে কারাবন্দী করা হয় কিংবা তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। পরে ফিরে এলেও এসব আইনজীবী একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যান।
চীনা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে গত ফেব্রুয়ারিতে আটক জিয়াং তিয়ানইয়ং দুই মাস পর মুক্তি পান। গত সপ্তাহে রয়টার্সকে তিনি জানান, কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে বিদেশি প্রচারমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না, এমন শর্তও রয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বরাবরই মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে বৈরী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনের কমিউনিস্ট সরকারের দাবি, চীনা আইনে সবার সমান অধিকার স্বীকৃত। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
‘অ্যাগেইনস্ট দ্য ল-ক্র্যাকডাউন অন চায়নাস হিউম্যান রাইটস লইয়ারস ডিপেনস’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ করে অ্যামনেস্টি। লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটির অভিযোগ, চীনা কর্তৃপক্ষ শুধু যে আইনজীবীদের অধিকারই লঙ্ঘন করে, তা নয়; যারাই আইনি সহায়তা চাইছে, তারাও নানা আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার মধ্যে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সংস্থার এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ক্যাথেরিন বেবার জানান, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে উঠলে চীনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর দমনপীড়ন বেড়ে যায়। চীনা সরকারের আশঙ্কা ছিল, মধ্যপ্রাচ্যের আন্দোলন দেখে চীনেও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চীনে সরকারের সমালোচক ও বিরোধী অনেক কর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করা হয়।
অ্যামনেস্টির হিসাব অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি থেকে চীনে ১৩০ জনেরও বেশি মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী কোনো অভিযোগ ছাড়াই কারাবন্দী অথবা নিখোঁজ রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশটির দুই লাখ চার হাজার আইনজীবীর মধ্যে খুব কমসংখ্যকই মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক মামলাগুলো পরিচালনার সাহস করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অগ্রগতি ব্যাহত হবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, যেসব আইনজীবী রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মামলার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রথম প্রথম রহস্যজনক হুমকি পান, অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তার পরও যদি না থামানো যায়, তবে এসব আইনজীবীকে কারাবন্দী করা হয় কিংবা তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। পরে ফিরে এলেও এসব আইনজীবী একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যান।
চীনা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে গত ফেব্রুয়ারিতে আটক জিয়াং তিয়ানইয়ং দুই মাস পর মুক্তি পান। গত সপ্তাহে রয়টার্সকে তিনি জানান, কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে বিদেশি প্রচারমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না, এমন শর্তও রয়েছে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বরাবরই মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে বৈরী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চীনের কমিউনিস্ট সরকারের দাবি, চীনা আইনে সবার সমান অধিকার স্বীকৃত। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
No comments