আইসিসির পরোয়ানা লিবিয়া সংকটকে জটিল করেছে
লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের কঠোর সমালোচনা করেছেন আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) কমিশনের চেয়ারম্যান জেন পিং। তিনি বলেন, এই অস্ত্র পশ্চিমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা লিবিয়ার সংকটকে জটিল করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইকুয়েটোরিয়াল গিনির রাজধানী মালাবোতে এইউ নেতাদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরুর আগে জেন পিং এসব মন্তব্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। এইউ লিবিয়ার সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যেই এই সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন এইউ নেতারা।
এইউ কমিশনের চেয়ারম্যান পিং বলেন, ‘লিবিয়ার বিদ্রোহীদের কে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তা আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়। অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে, এটাই আতঙ্কের কথা।’ তিনি বলেন, তাঁর ধারণা, ইতিমধ্যে এসব অস্ত্র আল-কায়েদা, মাদক চক্র ও পাচারকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে। তারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ অস্থিতিশীল করতে বা পর্যটকদের অপহরণ করতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। অপহূত ব্যক্তিদের উদ্ধারে মুক্তিপণের অর্থ পশ্চিমা দেশগুলোকেই শোধ করতে হতে পারে।
পিং বলেন, যেসব দেশ এসব অস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সরবরাহ করছে, অস্ত্রগুলো সেই দেশের বিরুদ্ধেই ব্যবহূত হতে পারে। গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম ও লিবিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুসির বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটাই লিবিয়ার সংকটকে জটিল করে তুলেছে। এটা শুধু আমি বলছি না, পশ্চিমা দেশগুলোও এটাই বলছে।’ জেন পিং আরও বলেন, ‘সবাই জানে, আইসিসি এমন সময় এমন আচরণ করে, যা সুবিধাজনক নয়। তারা আগুনের মধ্যে তেল ঢেলে দেয়।’
ফ্রান্সের দৈনিক লা ফিগারো গত বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে গাদ্দাফি-বিরোধী বারবার উপজাতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের বিমান থেকে প্যারাসুট দিয়ে ওই অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রকেটচালিত গ্রেনেড, ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, রাইফেল, মেশিনগান প্রভৃতি।
অস্ত্র সরবরাহের কথা নিশ্চিত করে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল থিয়েরি বারখার্ড বলেন, ‘আমরা সেখানে মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসরঞ্জাম সরবরাহ শুরু করি। অভিযান শুরু হলে বেসামরিক জনগণ করুণ পরিস্থিতির শিকার হন। পরে আমরা তাদের আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করি।’
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী গেরাল্ড হোয়ার্থ ফ্রান্সের অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইকুয়েটোরিয়াল গিনির রাজধানী মালাবোতে এইউ নেতাদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শুরুর আগে জেন পিং এসব মন্তব্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। এইউ লিবিয়ার সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যেই এই সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন এইউ নেতারা।
এইউ কমিশনের চেয়ারম্যান পিং বলেন, ‘লিবিয়ার বিদ্রোহীদের কে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তা আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়। অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে, এটাই আতঙ্কের কথা।’ তিনি বলেন, তাঁর ধারণা, ইতিমধ্যে এসব অস্ত্র আল-কায়েদা, মাদক চক্র ও পাচারকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে। তারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ অস্থিতিশীল করতে বা পর্যটকদের অপহরণ করতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। অপহূত ব্যক্তিদের উদ্ধারে মুক্তিপণের অর্থ পশ্চিমা দেশগুলোকেই শোধ করতে হতে পারে।
পিং বলেন, যেসব দেশ এসব অস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সরবরাহ করছে, অস্ত্রগুলো সেই দেশের বিরুদ্ধেই ব্যবহূত হতে পারে। গাদ্দাফি, তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলাম ও লিবিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুসির বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটাই লিবিয়ার সংকটকে জটিল করে তুলেছে। এটা শুধু আমি বলছি না, পশ্চিমা দেশগুলোও এটাই বলছে।’ জেন পিং আরও বলেন, ‘সবাই জানে, আইসিসি এমন সময় এমন আচরণ করে, যা সুবিধাজনক নয়। তারা আগুনের মধ্যে তেল ঢেলে দেয়।’
ফ্রান্সের দৈনিক লা ফিগারো গত বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে গাদ্দাফি-বিরোধী বারবার উপজাতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের বিমান থেকে প্যারাসুট দিয়ে ওই অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রকেটচালিত গ্রেনেড, ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, রাইফেল, মেশিনগান প্রভৃতি।
অস্ত্র সরবরাহের কথা নিশ্চিত করে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল থিয়েরি বারখার্ড বলেন, ‘আমরা সেখানে মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসরঞ্জাম সরবরাহ শুরু করি। অভিযান শুরু হলে বেসামরিক জনগণ করুণ পরিস্থিতির শিকার হন। পরে আমরা তাদের আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করি।’
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী গেরাল্ড হোয়ার্থ ফ্রান্সের অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
No comments