শিশির-তত্ত্ব মুছে জয়ের আকাঙ্ক্ষা
কাঁধে ব্যাগ, ডান হাতের কনুইটা একটু যেন ফোলা। তার পরও ইমরুল কায়েসের মুখে স্মিত হাসি। টিম বাস থেকে নেমে তাঁর পেছন পেছন ড্রেসিংরুমের দিকে গেলেন শফিউল ইসলামও। হাতের আইসব্যাগ আর ঠোঁটের কোণে ঝোলানো শুকনো হাসিটাই বলে দিচ্ছিল খবর ভালো নয়।
একটু পর ওয়ার্মআপে নেমে গেল পুরো দল। এরপর নেট প্র্যাকটিসে...সুস্থ হয়ে ওঠায় ইমরুল সবখানেই থাকলেন। কিন্তু শফিউল কোথাও নেই! থাকার কথাও নয়। আগের দিন ক্যাচ প্র্যাকটিসের সময় পড়ে গিয়ে ডান কাঁধে চোট পাওয়া এই পেসারকে কাল বিশ্রামই দেওয়া হয়েছিল। অথচ চোট পাওয়ার পর পরশু সন্ধ্যায়ও সমস্যা গুরুতর নয় ভেবে তিনি আশাবাদী ছিলেন। ব্যথা বেড়েছে রাতে এবং সেটা এতটাই যে কাল সকালে নাকি হাত নাড়াতেই সমস্যা হচ্ছিল!
আগের রাতের অভিজ্ঞতার পর কালকের রাতটাও পর্যবেক্ষণে রাখা হলো শফিউলকে। সন্ধ্যার দিকে ব্যথা কমে গেলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা না-খেলাটা নির্ভর করছে ম্যাচের আগে আজ সকালের সর্বশেষ অবস্থার ওপর। তবে শফিউলের খেলার সম্ভাবনা কম বলে টিম ম্যানেজমেন্ট বিকল্প পেসার ঠিক করে রেখেছে কালই—নাজমুল হোসেন। কাল পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত, মাহমুদউল্লাহর জায়গা নিয়ে আজকের ম্যাচটা খেলছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও।
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সব ব্যাপারেই রহস্য রেখে দিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলটল কিছু ঠিক হয়নি বলে জানালেন, সব চূড়ান্ত হবে আজ সকালে। আয়ারল্যান্ড ম্যাচের আগেও দল চূড়ান্ত করায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষার একটাই কারণ—প্রতিপক্ষ হিসেবে আইরিশদের মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নেবেই বা কেন? এক অর্থে এটা তো প্রতিশোধের ম্যাচও!
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হরিষে বিষাদ উপহার দিয়েছিল আইরিশরা। হারিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাজ্য সফরেও। যে দলের বিপক্ষে নিজেদের অতীতটা এমন বিক্ষত, নিজেদের মাটিতে পেয়ে তাদের কেন ছেড়ে কথা কইবে বাংলাদেশ? সংবাদ সম্মেলনে সাকিব যতই বলুন, ‘প্রতিশোধের চিন্তা করছি না’, বিশ্বকাপের আজকের ম্যাচটা আয়ারল্যান্ডকে তিক্ততা ফিরিয়ে দেওয়ারই উপলক্ষ।
অধিনায়ক হওয়ায় সাকিব তবু সংবাদ সম্মেলনে এলেন, অন্যদের মুখ থেকে তো কাল প্রতিশোধের ‘প’ও বের করার উপায় থাকল না! বোর্ড থেকে খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে—এটা বিশ্বকাপ, যখন-তখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। অনেকে তাই ফোনই ধরলেন না। অনেকে ধরলেন, কথাও বললেন, কিন্তু শর্ত জুড়ে দিলেন, ‘কোট করা যাবে না।’
এ রকম দু-একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু আবহ বোঝা গেল তাতে আয়ারল্যান্ড ম্যাচটা অনেকের কাছে প্রতিশোধের, অনেকের কাছে আবার আরেকটা ম্যাচ মাত্র। তবে বেশির ভাগ খেলোয়াড় আজ জিততে চান বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে যেতে আয়ারল্যান্ডকে হারানো জরুরি বলে। সংবাদ সম্মেলনে সাকিবও শুধু এই কারণেই ম্যাচটাকে গুরুত্বপূর্ণ বললেন, ‘ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। না জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া কঠিন হবে। এটা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’ তা ছাড়া আইরিশদের বিপক্ষে তিক্ত স্মৃতির চেয়ে সুখের অভিজ্ঞতাটাকেই বেশি মনে করতে চান, ‘২০০৮ সালে আমরা তাদের ৩-০-তে হারিয়েছি। কাজেই এ ম্যাচে আমরাই এগিয়ে আছি। তা ছাড়া আমি মনে করি না যে তারা এই কন্ডিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবে।’
আয়ারল্যান্ডকে হারাতে দুটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক—সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে হবে এবং আগের ম্যাচের ভুল শোধরাতে হবে। জোর দিয়ে বললেন বাংলাদেশের স্পিন শক্তির কথাও, ‘গতবার এসে ওরা আমাদের স্পিনে ভালো খেলতে পারেনি। ওদের জন্য এই চ্যালেঞ্জটা এবারও থাকবে। ভালো খেললে আশা করি ফলাফল আমাদের দিকেই থাকবে।’ আর আগের ম্যাচের ভুলের তালিকায় শেষ ৬-৭ ওভারের ব্যাটিংয়ের কথা আলাদা করেই বললেন অধিনায়ক, ‘প্রথম ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করেছি ওটাই ধরে রাখতে হবে। তবে শেষ ৬-৭ ওভারের ব্যাটিংয়ে উন্নতি দরকার। সেটা হলে আমরা ভালোভাবেই ৩০০ রান করতে পারব।’
গত তিন-চার দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কোনো শিশির দেখেননি সাকিব। ভারত ম্যাচের শিশির-তত্ত্বকে আজ তাই সরিয়েই রাখছেন। গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না টসটাকেও। তবে সেটি যতটা না কন্ডিশনের কারণে, তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত কারণে, ‘মনে হয় না টস কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাখলেও সেটা আমাদের হাতে নেই। টস-ভাগ্য আমার খুব একটা ভালো না। এটা নিয়ে তাই ভাবি না।’
সাকিব কেন, ভাগ্যজয়ের টোটকা কারও হাতেই নেই। তবে কন্ডিশন, মাঠ, দর্শক—সবই যখন সাকিবের হাতে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ বসন্ত উৎসব তো হতেই পারে!
একটু পর ওয়ার্মআপে নেমে গেল পুরো দল। এরপর নেট প্র্যাকটিসে...সুস্থ হয়ে ওঠায় ইমরুল সবখানেই থাকলেন। কিন্তু শফিউল কোথাও নেই! থাকার কথাও নয়। আগের দিন ক্যাচ প্র্যাকটিসের সময় পড়ে গিয়ে ডান কাঁধে চোট পাওয়া এই পেসারকে কাল বিশ্রামই দেওয়া হয়েছিল। অথচ চোট পাওয়ার পর পরশু সন্ধ্যায়ও সমস্যা গুরুতর নয় ভেবে তিনি আশাবাদী ছিলেন। ব্যথা বেড়েছে রাতে এবং সেটা এতটাই যে কাল সকালে নাকি হাত নাড়াতেই সমস্যা হচ্ছিল!
আগের রাতের অভিজ্ঞতার পর কালকের রাতটাও পর্যবেক্ষণে রাখা হলো শফিউলকে। সন্ধ্যার দিকে ব্যথা কমে গেলেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা না-খেলাটা নির্ভর করছে ম্যাচের আগে আজ সকালের সর্বশেষ অবস্থার ওপর। তবে শফিউলের খেলার সম্ভাবনা কম বলে টিম ম্যানেজমেন্ট বিকল্প পেসার ঠিক করে রেখেছে কালই—নাজমুল হোসেন। কাল পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত, মাহমুদউল্লাহর জায়গা নিয়ে আজকের ম্যাচটা খেলছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও।
ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সব ব্যাপারেই রহস্য রেখে দিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলটল কিছু ঠিক হয়নি বলে জানালেন, সব চূড়ান্ত হবে আজ সকালে। আয়ারল্যান্ড ম্যাচের আগেও দল চূড়ান্ত করায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষার একটাই কারণ—প্রতিপক্ষ হিসেবে আইরিশদের মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নেবেই বা কেন? এক অর্থে এটা তো প্রতিশোধের ম্যাচও!
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হরিষে বিষাদ উপহার দিয়েছিল আইরিশরা। হারিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাজ্য সফরেও। যে দলের বিপক্ষে নিজেদের অতীতটা এমন বিক্ষত, নিজেদের মাটিতে পেয়ে তাদের কেন ছেড়ে কথা কইবে বাংলাদেশ? সংবাদ সম্মেলনে সাকিব যতই বলুন, ‘প্রতিশোধের চিন্তা করছি না’, বিশ্বকাপের আজকের ম্যাচটা আয়ারল্যান্ডকে তিক্ততা ফিরিয়ে দেওয়ারই উপলক্ষ।
অধিনায়ক হওয়ায় সাকিব তবু সংবাদ সম্মেলনে এলেন, অন্যদের মুখ থেকে তো কাল প্রতিশোধের ‘প’ও বের করার উপায় থাকল না! বোর্ড থেকে খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে—এটা বিশ্বকাপ, যখন-তখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। অনেকে তাই ফোনই ধরলেন না। অনেকে ধরলেন, কথাও বললেন, কিন্তু শর্ত জুড়ে দিলেন, ‘কোট করা যাবে না।’
এ রকম দু-একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু আবহ বোঝা গেল তাতে আয়ারল্যান্ড ম্যাচটা অনেকের কাছে প্রতিশোধের, অনেকের কাছে আবার আরেকটা ম্যাচ মাত্র। তবে বেশির ভাগ খেলোয়াড় আজ জিততে চান বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে যেতে আয়ারল্যান্ডকে হারানো জরুরি বলে। সংবাদ সম্মেলনে সাকিবও শুধু এই কারণেই ম্যাচটাকে গুরুত্বপূর্ণ বললেন, ‘ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। না জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া কঠিন হবে। এটা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’ তা ছাড়া আইরিশদের বিপক্ষে তিক্ত স্মৃতির চেয়ে সুখের অভিজ্ঞতাটাকেই বেশি মনে করতে চান, ‘২০০৮ সালে আমরা তাদের ৩-০-তে হারিয়েছি। কাজেই এ ম্যাচে আমরাই এগিয়ে আছি। তা ছাড়া আমি মনে করি না যে তারা এই কন্ডিশনে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবে।’
আয়ারল্যান্ডকে হারাতে দুটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক—সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে হবে এবং আগের ম্যাচের ভুল শোধরাতে হবে। জোর দিয়ে বললেন বাংলাদেশের স্পিন শক্তির কথাও, ‘গতবার এসে ওরা আমাদের স্পিনে ভালো খেলতে পারেনি। ওদের জন্য এই চ্যালেঞ্জটা এবারও থাকবে। ভালো খেললে আশা করি ফলাফল আমাদের দিকেই থাকবে।’ আর আগের ম্যাচের ভুলের তালিকায় শেষ ৬-৭ ওভারের ব্যাটিংয়ের কথা আলাদা করেই বললেন অধিনায়ক, ‘প্রথম ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করেছি ওটাই ধরে রাখতে হবে। তবে শেষ ৬-৭ ওভারের ব্যাটিংয়ে উন্নতি দরকার। সেটা হলে আমরা ভালোভাবেই ৩০০ রান করতে পারব।’
গত তিন-চার দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কোনো শিশির দেখেননি সাকিব। ভারত ম্যাচের শিশির-তত্ত্বকে আজ তাই সরিয়েই রাখছেন। গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না টসটাকেও। তবে সেটি যতটা না কন্ডিশনের কারণে, তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত কারণে, ‘মনে হয় না টস কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাখলেও সেটা আমাদের হাতে নেই। টস-ভাগ্য আমার খুব একটা ভালো না। এটা নিয়ে তাই ভাবি না।’
সাকিব কেন, ভাগ্যজয়ের টোটকা কারও হাতেই নেই। তবে কন্ডিশন, মাঠ, দর্শক—সবই যখন সাকিবের হাতে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ বসন্ত উৎসব তো হতেই পারে!
No comments