সাকিব-তামিমেই চোখ পোর্টারফিল্ডের
নদীতে নেমে কুমির খুন করার চিন্তা করে কী লাভ! আয়ারল্যান্ড সে চিন্তা করছেও না। বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও স্পিনের বিপক্ষে যেহেতু সে রকম পাল্টা অস্ত্র নেই, আইরিশরা তাকাচ্ছে সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের দিকে।
কাল সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড নাম ধরেই বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের কথা, ‘তাদের দলে কয়েকজন খুবই বিপজ্জনক খেলোয়াড় আছে। টপ-অর্ডারে তামিম আছে, যেকোনো দলের জন্যই অনেক বড় উইকেট। শুরুতেই তাকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চাই আমরা। এ ছাড়া মিডল-অর্ডারে সাকিবও খুব বিপজ্জনক।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগেই ঢাকায় চলে আসা আয়ারল্যান্ড দলের বাংলাদেশের জল-হাওয়া এর মধ্যেই চেনা হয়ে যাওয়ার কথা। পরশুর ঠান্ডা আবহাওয়া তো অফ স্পিনার অ্যান্ড্রু হোয়াইটের কাছে খুবই ‘হোমলি’ মনে হচ্ছিল! অবশ্য পোর্টারফিল্ড জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিটা অনেক দিন ধরেই নিচ্ছেন তাঁরা, ‘এ রকম একটা আসরে খেলার জন্য কয়েক বছর ধরেই প্রস্তুত হচ্ছি আমরা। বিশেষ করে গত কয়েকটা মাস তো কঠোর পরিশ্রম করলাম।’ প্রস্তুতির কথাটাই আরেকটু ব্যাখ্যা করে বললেন আয়ারল্যান্ডের ক্যারিবীয় কোচ ফিল সিমন্স, ‘গত দুই বছর আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। এর মধ্যে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষেই ম্যাচ আছে ১২টি।’
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ঘুরে ঘুরেই আসছে দুই দলের ২০০৭ বিশ্বকাপের ম্যাচটা। বাংলাদেশের স্মরণীয় বিশ্বকাপ মাটি করে দিয়েছিল ওই আয়ারল্যান্ডই। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং গত যুক্তরাজ্য সফরেও বাংলা-বধের তৃপ্তি পেয়েছিল তারা। তবে পোর্টারফিল্ড এবারের বিশ্বকাপটাকে দেখছেন নতুন আয়নায়, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন। এবার নিজেদের মাঠে পরিচিত দর্শকদের সামনে খেলবে বাংলাদেশ।’ সবকিছু পরিচিত বলে এ ম্যাচে বাংলাদেশকে ফেবারিটও মানছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক, সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘অনেক দর্শকের কারণে হয়তো তারাই (বাংলাদেশ) ফেবারিট থাকবে। তবে সেটা আবার চাপও।’
২০০৮ সালে বাংলাদেশে এসে এপ্রিলের প্রচণ্ড গরমে ভুগতে হয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। সে তুলনায় এবার তাপমাত্রা কিছুই না। তা ছাড়া এই তিন বছরে আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। সব মিলিয়ে এবারের সঙ্গে সেবারকে খুব বেশি মেলাতে চাইছেন না আইরিশ অধিনায়ক।
নিজেদের মাঠে পরিচিত দর্শকের সামনে বাংলাদেশের জন্য বড় শক্তি স্পিন বোলিং। পোর্টারফিল্ডের মাথায় আছে সেটাও, ‘সন্দেহ নেই এই বিশ্বকাপে স্পিন বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।্রবাংলাদেশ দলে ভালো ভালো স্পিনার আছে এবং আমরাও তাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।’ শিশির-তত্ত্বের কথা ভেবে ভারত ম্যাচে টসে জিতেও আগে বোলিং করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কাল পোর্টারফিল্ডও বললেন, বিশ্বকাপে শিশির একটা ব্যাপার।
ভারত ম্যাচে শিশির-তত্ত্ব ছিল, এ ম্যাচেও তা উড়িয়ে দেননি পোর্টারফিল্ড। তাঁর ধারণা, আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণও থাকবে আগের ম্যাচের মতোই। আর তাই এ ম্যাচে টসটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হচ্ছে না তাঁর কাছে, ‘গত ম্যাচে শেবাগ একাই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এর পরও বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাট করল, আমার মনে হয় না টস এখানে বড় কোনো ব্যাপার হবে।’
কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ কিংবা দুই দুলের অতীত লড়াইয়ের ইতিহাস—সবকিছু মাথায় রেখেই বিশ্বকাপটা জয় দিয়ে শুরু করতে চায় আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য পূরণে তারা ভরসা মানছে দীর্ঘদেহী ট্রেন্ট জনস্টনের বোলিং, সঙ্গে তরুণ ব্যাটসম্যান পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটিংকেও। তবে দলটার সবচেয়ে বড় শক্তি সম্ভবত আত্মবিশ্বাস আর বড় কিছু অর্জনের তাড়না। বিশ্বকাপটা যে আয়ারল্যান্ডের কাছে শুধু একটা টুর্নামেন্ট মাত্র নয়, বড় মঞ্চে নিজেদের চেনানোর উপলক্ষও!
কাল সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড নাম ধরেই বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের কথা, ‘তাদের দলে কয়েকজন খুবই বিপজ্জনক খেলোয়াড় আছে। টপ-অর্ডারে তামিম আছে, যেকোনো দলের জন্যই অনেক বড় উইকেট। শুরুতেই তাকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চাই আমরা। এ ছাড়া মিডল-অর্ডারে সাকিবও খুব বিপজ্জনক।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগেই ঢাকায় চলে আসা আয়ারল্যান্ড দলের বাংলাদেশের জল-হাওয়া এর মধ্যেই চেনা হয়ে যাওয়ার কথা। পরশুর ঠান্ডা আবহাওয়া তো অফ স্পিনার অ্যান্ড্রু হোয়াইটের কাছে খুবই ‘হোমলি’ মনে হচ্ছিল! অবশ্য পোর্টারফিল্ড জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিটা অনেক দিন ধরেই নিচ্ছেন তাঁরা, ‘এ রকম একটা আসরে খেলার জন্য কয়েক বছর ধরেই প্রস্তুত হচ্ছি আমরা। বিশেষ করে গত কয়েকটা মাস তো কঠোর পরিশ্রম করলাম।’ প্রস্তুতির কথাটাই আরেকটু ব্যাখ্যা করে বললেন আয়ারল্যান্ডের ক্যারিবীয় কোচ ফিল সিমন্স, ‘গত দুই বছর আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। এর মধ্যে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষেই ম্যাচ আছে ১২টি।’
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ঘুরে ঘুরেই আসছে দুই দলের ২০০৭ বিশ্বকাপের ম্যাচটা। বাংলাদেশের স্মরণীয় বিশ্বকাপ মাটি করে দিয়েছিল ওই আয়ারল্যান্ডই। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং গত যুক্তরাজ্য সফরেও বাংলা-বধের তৃপ্তি পেয়েছিল তারা। তবে পোর্টারফিল্ড এবারের বিশ্বকাপটাকে দেখছেন নতুন আয়নায়, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন। এবার নিজেদের মাঠে পরিচিত দর্শকদের সামনে খেলবে বাংলাদেশ।’ সবকিছু পরিচিত বলে এ ম্যাচে বাংলাদেশকে ফেবারিটও মানছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক, সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘অনেক দর্শকের কারণে হয়তো তারাই (বাংলাদেশ) ফেবারিট থাকবে। তবে সেটা আবার চাপও।’
২০০৮ সালে বাংলাদেশে এসে এপ্রিলের প্রচণ্ড গরমে ভুগতে হয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। সে তুলনায় এবার তাপমাত্রা কিছুই না। তা ছাড়া এই তিন বছরে আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞতাও বেড়েছে। সব মিলিয়ে এবারের সঙ্গে সেবারকে খুব বেশি মেলাতে চাইছেন না আইরিশ অধিনায়ক।
নিজেদের মাঠে পরিচিত দর্শকের সামনে বাংলাদেশের জন্য বড় শক্তি স্পিন বোলিং। পোর্টারফিল্ডের মাথায় আছে সেটাও, ‘সন্দেহ নেই এই বিশ্বকাপে স্পিন বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।্রবাংলাদেশ দলে ভালো ভালো স্পিনার আছে এবং আমরাও তাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।’ শিশির-তত্ত্বের কথা ভেবে ভারত ম্যাচে টসে জিতেও আগে বোলিং করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কাল পোর্টারফিল্ডও বললেন, বিশ্বকাপে শিশির একটা ব্যাপার।
ভারত ম্যাচে শিশির-তত্ত্ব ছিল, এ ম্যাচেও তা উড়িয়ে দেননি পোর্টারফিল্ড। তাঁর ধারণা, আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণও থাকবে আগের ম্যাচের মতোই। আর তাই এ ম্যাচে টসটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হচ্ছে না তাঁর কাছে, ‘গত ম্যাচে শেবাগ একাই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এর পরও বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাট করল, আমার মনে হয় না টস এখানে বড় কোনো ব্যাপার হবে।’
কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ কিংবা দুই দুলের অতীত লড়াইয়ের ইতিহাস—সবকিছু মাথায় রেখেই বিশ্বকাপটা জয় দিয়ে শুরু করতে চায় আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য পূরণে তারা ভরসা মানছে দীর্ঘদেহী ট্রেন্ট জনস্টনের বোলিং, সঙ্গে তরুণ ব্যাটসম্যান পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটিংকেও। তবে দলটার সবচেয়ে বড় শক্তি সম্ভবত আত্মবিশ্বাস আর বড় কিছু অর্জনের তাড়না। বিশ্বকাপটা যে আয়ারল্যান্ডের কাছে শুধু একটা টুর্নামেন্ট মাত্র নয়, বড় মঞ্চে নিজেদের চেনানোর উপলক্ষও!
No comments