বিশ্বকাপ দুর্ভাগ্য ঘোচাতে চান ওয়াকার
বিশ্বকাপের আসরটা প্রতিবারই একটা বেদনাদায়ক স্মৃতি হিসেবেই থেকে গেছে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াকার ইউনুসের জন্য। ১৯৮৯ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করার পর ’৯২ সালে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে। কিন্তু শেষমুহূর্তে ইনজুরির কবলে পড়ায় বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ হতে পারেননি তিনি। আর পরবর্তী তিনটি বিশ্বকাপই তো ছিল তাঁর জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসরটিতে সাফল্যের দেখা না পেলেও এবার পাকিস্তানের কোচ হিসেবেই সেই বিশ্বকাপ দুর্ভাগ্যের অবসান ঘটাতে চাচ্ছেন ওয়াকার ইউনুস। বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, বিশ্বকাপের স্মৃতিটা আমার জন্য খুব বেশি সুখকর না। কিন্তু সেই দুর্ভাগ্যগুলো থেকেই আমি অনুপ্রেরণা পাচ্ছি কোচ হিসেবে এই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার।’
’৯২-এর বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল তরুণ ওয়াকার ইউনুসকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ইনজুরি তাঁকে আর বিশ্বকাপ জয়ী দলটার অংশ হতে দেয়নি। ঘরে টিভিতে বসেই দেখতে হয়েছে ইতিহাসগড়া সেই বিশ্বকাপটা। বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে তবুও সেটাই তাঁর একমাত্র সুখস্মৃতি। পরবর্তী বিশ্বকাপগুলোতে শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাঁর।
’৯৬ সালেও পাকিস্তান ছিল অন্যতম ফেভারিট। আর বিশ্বকাপটা ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাটাও বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৩৯ রানে হেরে সেবারের মতো সমাপ্ত হয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন। আর সেই ম্যাচে ভারতের ইনিংসে ওয়াকারের শেষ দুই ওভার থেকেই ৪২ রান তুলে নিয়েছিলেন অজয় জাদেজা। ফলে তাঁর কিছুটা আক্ষেপ থাকাটাই স্বাভাবিক।
৯৯ বিশ্বকাপে দৃশ্যপট বদলে গেল অনেকখানি। সেবার পাকিস্তান গিয়েছিল ফাইনাল পর্যন্ত। গোটা টুর্নামেন্টেই তাদের পারফরমেন্স নজর কেড়েছিল সবার। কিন্তু যথারীতি ওয়াকারের বিশ্বকাপ দুর্ভাগ্যের অবসান ঘটল না। কারণ অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম তাঁর বদলে মূল একাদশে খেলাতে লাগলেন শোয়েব আকতারকে। সেবার একটি মাত্র ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন ওয়াকার। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচটাতে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর দলকে।
পরবর্তী বিশ্বকাপটা শুরুর আগে ভাগ্যদেবী কিছুটা মুখ তুলে তাকালেন ওয়াকারের দিকে। এবার তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হলো অধিনায়কত্বের ভার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ডের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো পাকিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত সেই বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্নই হয়ে থাকে ওয়াকারের জন্য। ২০০৭ বিশ্বকাপেও একই পরিণতি হয়েছিল পাকিস্তানের। তবে এবার আর দলের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না তিনি।
খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ সাফল্যের দেখা না পেলেও এবার কোচ হিসেবে এই বিশ্বকাপ দুর্ভাগ্য ঘোঁচাতে চাচ্ছেন ওয়াকার ইউনুস। আর শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের এবারের দলটা তাঁকে সেই সুযোগটা করে দিতে পারবে বলেই আশা করছেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘১৯৯২ সালে, কেউই ভাবতে পারে নি যে, আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারব। এবারও আমাদের সেরকম সুযোগ আছে। আমি কোচ হিসেবে আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আর আশা করছি এবার বিশ্বকাপ নিয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী সুখস্মৃতি আমার সঙ্গী হবে।’
’৯২-এর বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল তরুণ ওয়াকার ইউনুসকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ইনজুরি তাঁকে আর বিশ্বকাপ জয়ী দলটার অংশ হতে দেয়নি। ঘরে টিভিতে বসেই দেখতে হয়েছে ইতিহাসগড়া সেই বিশ্বকাপটা। বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে তবুও সেটাই তাঁর একমাত্র সুখস্মৃতি। পরবর্তী বিশ্বকাপগুলোতে শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাঁর।
’৯৬ সালেও পাকিস্তান ছিল অন্যতম ফেভারিট। আর বিশ্বকাপটা ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাটাও বেড়ে গিয়েছিল বহুগুণ। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৩৯ রানে হেরে সেবারের মতো সমাপ্ত হয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন। আর সেই ম্যাচে ভারতের ইনিংসে ওয়াকারের শেষ দুই ওভার থেকেই ৪২ রান তুলে নিয়েছিলেন অজয় জাদেজা। ফলে তাঁর কিছুটা আক্ষেপ থাকাটাই স্বাভাবিক।
৯৯ বিশ্বকাপে দৃশ্যপট বদলে গেল অনেকখানি। সেবার পাকিস্তান গিয়েছিল ফাইনাল পর্যন্ত। গোটা টুর্নামেন্টেই তাদের পারফরমেন্স নজর কেড়েছিল সবার। কিন্তু যথারীতি ওয়াকারের বিশ্বকাপ দুর্ভাগ্যের অবসান ঘটল না। কারণ অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম তাঁর বদলে মূল একাদশে খেলাতে লাগলেন শোয়েব আকতারকে। সেবার একটি মাত্র ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন ওয়াকার। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচটাতে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর দলকে।
পরবর্তী বিশ্বকাপটা শুরুর আগে ভাগ্যদেবী কিছুটা মুখ তুলে তাকালেন ওয়াকারের দিকে। এবার তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হলো অধিনায়কত্বের ভার। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ডের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো পাকিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত সেই বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্নই হয়ে থাকে ওয়াকারের জন্য। ২০০৭ বিশ্বকাপেও একই পরিণতি হয়েছিল পাকিস্তানের। তবে এবার আর দলের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না তিনি।
খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ সাফল্যের দেখা না পেলেও এবার কোচ হিসেবে এই বিশ্বকাপ দুর্ভাগ্য ঘোঁচাতে চাচ্ছেন ওয়াকার ইউনুস। আর শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের এবারের দলটা তাঁকে সেই সুযোগটা করে দিতে পারবে বলেই আশা করছেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘১৯৯২ সালে, কেউই ভাবতে পারে নি যে, আমরা বিশ্বকাপ জিততে পারব। এবারও আমাদের সেরকম সুযোগ আছে। আমি কোচ হিসেবে আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আর আশা করছি এবার বিশ্বকাপ নিয়ে একটা দীর্ঘস্থায়ী সুখস্মৃতি আমার সঙ্গী হবে।’
No comments