ভারতের স্পিনেই আটক পন্টিংরা
ক্রিকেট তখনই ‘ক্রিকেট’, যখন তাতে থাকে গৌরবময় অনিশ্চয়তা। অঙ্ক গুনে গুনে যদি এগিয়ে যায় ম্যাচের গতিপথ; তাতে আর রোমাঞ্চ কোথায়! ২০১১ বিশ্বকাপ সেই অনিশ্চয়তার ‘প্রস্তুতি’ই যেন নিয়ে রাখল। বেঙ্গালুরুর নিস্তব্ধ গ্যালারি যখন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের প্রহর গুনছিল, তক্ষুনি নাটকীয় ছোঁয়া। ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। ২১৪ রানে অলআউট ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ৩৮ রানে হারিয়ে পেল দারুণ এক জয়।
শেবাগ ছাড়া ভারতের আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। তবে পাঠানের ৩২, দশে নেমে অশ্বিনের ২৫, শেষ ব্যাটসম্যান নেহরার ১৯ ভারতকে ২০০ পেরোতে সাহায্য করেছে। ১৩৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত।
ম্যাচটা ৯ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া জিততে পারে বলেও মনে হচ্ছিল একসময়। ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১১৮ রান। জমিয়ে ব্যাট করছিলেন দুই ‘প’—পেইন আর পন্টিং। তিন পেসার খাচ্ছে বেধড়ক মার, দুই স্পিনার অশ্বিন আর চাওলাও সুবিধা করতে পারছেন না খুব একটা।
যুবরাজ সিং ভাঙলেন ৬৭ রানের জুটি। এর পর থেকেই মড়ক। চাওলা ২৮ রানের ব্যবধানে ক্লার্ক, হোয়াইট, হাসি আর ফার্গুসনকে ফেরালে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়ার। কাঁটা হয়ে ছিলেন পন্টিং। চোট থেকে ফিরে এটা তাঁর প্রথম ম্যাচ। সাবলীল খেলছিলেন অধিনায়ক। ৮৫ বলে ৫৭ করা পন্টিংকে ফিরিয়ে ‘প্রিয় শিকার’টি তুলে নিয়েছেন হরভজন। পন্টিংসহ অস্ট্রেলিয়ার শেষ চার উইকেট পড়েছে মাত্র ১০ রানে। লেজ ছেঁটেছেন ‘ভাজ্জি’।
প্রস্তুতি ম্যাচটায় দারুণ নাটকীয়তা দেখার তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরল দর্শক। বিশ্বকাপও যদি এমন হয়!
ভারত: ৪৪.৩ ওভারে ২১৪ (শেবাগ ৫৪, পাঠান ৩২, অশ্বিন ২৫*; লি ৩/৩৫, হ্যাস্টিংস ২/২৪, হাসি ২/২৫, বলিঞ্জার ১/২৯, জনসন ১/৪২, ক্রেজা ১/৫৬)। অস্ট্রেলিয়া: ৩৭.৫ ওভারে ১৭৬ (পন্টিং ৫৭, পেইন ৩৭, ওয়াটসন ৩৩; চাওলা ৪/৩১, হরভজন ৩/১৫, যুবরাজ ১/১৯, শ্রীশান্ত ১/২১, অশ্বিন ১/৪৭)।
ফল: ভারত ৩৮ রানে জয়ী।
শেবাগ ছাড়া ভারতের আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। তবে পাঠানের ৩২, দশে নেমে অশ্বিনের ২৫, শেষ ব্যাটসম্যান নেহরার ১৯ ভারতকে ২০০ পেরোতে সাহায্য করেছে। ১৩৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত।
ম্যাচটা ৯ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া জিততে পারে বলেও মনে হচ্ছিল একসময়। ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১১৮ রান। জমিয়ে ব্যাট করছিলেন দুই ‘প’—পেইন আর পন্টিং। তিন পেসার খাচ্ছে বেধড়ক মার, দুই স্পিনার অশ্বিন আর চাওলাও সুবিধা করতে পারছেন না খুব একটা।
যুবরাজ সিং ভাঙলেন ৬৭ রানের জুটি। এর পর থেকেই মড়ক। চাওলা ২৮ রানের ব্যবধানে ক্লার্ক, হোয়াইট, হাসি আর ফার্গুসনকে ফেরালে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়ার। কাঁটা হয়ে ছিলেন পন্টিং। চোট থেকে ফিরে এটা তাঁর প্রথম ম্যাচ। সাবলীল খেলছিলেন অধিনায়ক। ৮৫ বলে ৫৭ করা পন্টিংকে ফিরিয়ে ‘প্রিয় শিকার’টি তুলে নিয়েছেন হরভজন। পন্টিংসহ অস্ট্রেলিয়ার শেষ চার উইকেট পড়েছে মাত্র ১০ রানে। লেজ ছেঁটেছেন ‘ভাজ্জি’।
প্রস্তুতি ম্যাচটায় দারুণ নাটকীয়তা দেখার তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরল দর্শক। বিশ্বকাপও যদি এমন হয়!
ভারত: ৪৪.৩ ওভারে ২১৪ (শেবাগ ৫৪, পাঠান ৩২, অশ্বিন ২৫*; লি ৩/৩৫, হ্যাস্টিংস ২/২৪, হাসি ২/২৫, বলিঞ্জার ১/২৯, জনসন ১/৪২, ক্রেজা ১/৫৬)। অস্ট্রেলিয়া: ৩৭.৫ ওভারে ১৭৬ (পন্টিং ৫৭, পেইন ৩৭, ওয়াটসন ৩৩; চাওলা ৪/৩১, হরভজন ৩/১৫, যুবরাজ ১/১৯, শ্রীশান্ত ১/২১, অশ্বিন ১/৪৭)।
ফল: ভারত ৩৮ রানে জয়ী।
No comments