শেখ জামাল ক্লাবের আগমন এবং...
পরশু বাংলাদেশ লিগ কমিটির সভার আগে আবাহনীর এক কর্মকর্তার ফোন, ‘শেখ জামাল নাম নিয়ে দ্বিতীয় বিভাগের দল ধানমন্ডিকে নাকি পেশাদার ফুটবল লিগে খেলার অনুমতি দিচ্ছে বাফুফে? এটা তো পুরোপুরি বেআইনি। টাকা হলেই সব জায়গায় খেলা যায়?’
ওই কর্মকর্তা তবু ‘বেআইনি’ বলে ক্ষান্ত ছিলেন। মোহামেডানের এক কর্মকর্তা তো হুমকিই দিয়ে বসেন, ‘নিয়ম ভেঙে কোনো ক্লাবকে পেশাদার লিগে ঢোকানো হলে আমরা এই লিগে খেলবই না। বাফুফে এটা কী করছে! দেশের ফুটবলে কি কোনো নিয়মকানুন থাকবে না!’
নিয়মকানুন একেবারেই নেই, এটা বলা অন্যায় হবে। তবে এটা ঘটনা, ‘বি’ লিগ থেকে বাংলাদেশ লিগে রূপান্তরের পরও পেশাদার ফুটবল লিগে দল নেওয়ার এবং অবনমন করার সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড আজও হয়নি। যখন যেভাবে দরকার, সেভাবেই দল নেওয়া হচ্ছে। পরশু শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের খেলার অনুমতি পাওয়া তারই সর্বশেষ উদাহরণ।
অথচ মজাটা হলো, অনুমতি পাওয়ার পর চুপচাপ বড় দুটি দল। আবাহনীর পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদ শেখ জামালকে স্বাগতই জানালেন, ‘আমরা ওদের স্বাগত জানাই। নতুন দল এসেছে। ফুটবলের প্রতিযোগিতা বাড়বে। এটা ফুটবলের জন্য ভালোই হবে। মাঠেই দেখা হবে ওদের সঙ্গে।’
মোহামেডান অবশ্য স্বাগত জানায়নি। তবে এই আগমনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যানও করেনি। মোহামেডান কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ভূঁইয়া দুই দিন আগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও কাল তিনি নিরুত্তাপ, ‘এখন কিছু বলব না। মিটিং করে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাব।’
আরেক বড় দল শেখ রাসেলের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী শুভেচ্ছা রাখলেন নতুন দলের জন্য ‘বাফুফে কোন মানদণ্ডে শেখ জামালকে অনুমোদন দিয়েছে, জানি না। তবে এই দলটির আগমন ফুটবলের জন্য ভালো হলে অবশ্যই আমরা তাকে স্বাগত জানাই।’
যতই বিতর্ক থাক, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব বাংলাদেশ লিগে খেলতে যাচ্ছে, এটাই বাস্তবতা। কিসের ভিত্তিতে শেখ জামাল অনুমতি পেল—গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সেটিই। সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘গতবার তিনটি দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তখন কেউ অভিযোগ করেনি। অতীতের ধারাবাহিকতাই মানা হয়েছে।’
সালাউদ্দিন আরও দাবি করলেন, ‘কোনো অনিয়ম হয়নি। আমাদের বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড পূরণ করেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব অনুমতি পেয়েছে। আমরা কোনো ডিভিশনের নাম বলে দিইনি। যে কেউ আবেদন করতে পারত। তা ছাড়া বড় বাজেট নিয়ে এ দলটি আসায় ফুটবলের জন্যই তো লাভই।’
বড় বাজেটের দল আসা ফুটবলের জন্য অবশ্যই ভালো খবর। কিন্তু টাকা থাকলেই একটা দল অনুমতি পেয়ে যাবে, সেটিই বা কোন নিয়ম? সিলেট বিয়ানীবাজার, নারায়ণগঞ্জ শুকতারা প্রথম খেলতে এসে সাধ্যমতো টাকা খরচ করেছে। এক বছর পরই দল দুটি বিদায় নিয়েছে পেশাদার লিগ থেকে। লিগের দ্বিতীয় স্তর না থাকায় এই দুটি দল এখন কোথায় খেলবে? দ্বিতীয় স্তর চালু করার উদ্যোগ নিয়েও সেটি যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে!
বিয়ানীবাজারের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ সিলেট থেকে ফোনে প্রশ্ন রাখলেন, ‘আমরা দেড় কোটি টাকা খরচ করে দল গড়লাম। এখন আমাদের কী হবে? আমরা কোথায় যাব? এটা তো একটা লিগের সিস্টেম হতে পারে না! আমাদের আবারও সুযোগ দেওয়ার আবেদন করলেও বাফুফে সাড়া দেয়নি।’
শুকতারার ফুটবল ম্যানেজার রবিউল ইসলামও ক্ষুব্ধ, ‘অনিয়ম করে দ্বিতীয় বিভাগের দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা তো পেশাদার লিগে খেলেছি। আমাদের আবেদন গ্রহণ না করে বাফুফে ঠিক করেনি। এখন আমরা কোথায় খেলব?’
এমন আরও অনেক প্রশ্নকে অমীমাংসিত রেখেই চলছে বাংলাদেশের নামসর্বস্ব পেশাদার লিগ।
ওই কর্মকর্তা তবু ‘বেআইনি’ বলে ক্ষান্ত ছিলেন। মোহামেডানের এক কর্মকর্তা তো হুমকিই দিয়ে বসেন, ‘নিয়ম ভেঙে কোনো ক্লাবকে পেশাদার লিগে ঢোকানো হলে আমরা এই লিগে খেলবই না। বাফুফে এটা কী করছে! দেশের ফুটবলে কি কোনো নিয়মকানুন থাকবে না!’
নিয়মকানুন একেবারেই নেই, এটা বলা অন্যায় হবে। তবে এটা ঘটনা, ‘বি’ লিগ থেকে বাংলাদেশ লিগে রূপান্তরের পরও পেশাদার ফুটবল লিগে দল নেওয়ার এবং অবনমন করার সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড আজও হয়নি। যখন যেভাবে দরকার, সেভাবেই দল নেওয়া হচ্ছে। পরশু শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের খেলার অনুমতি পাওয়া তারই সর্বশেষ উদাহরণ।
অথচ মজাটা হলো, অনুমতি পাওয়ার পর চুপচাপ বড় দুটি দল। আবাহনীর পরিচালক কাজী নাবিল আহমেদ শেখ জামালকে স্বাগতই জানালেন, ‘আমরা ওদের স্বাগত জানাই। নতুন দল এসেছে। ফুটবলের প্রতিযোগিতা বাড়বে। এটা ফুটবলের জন্য ভালোই হবে। মাঠেই দেখা হবে ওদের সঙ্গে।’
মোহামেডান অবশ্য স্বাগত জানায়নি। তবে এই আগমনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যানও করেনি। মোহামেডান কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ভূঁইয়া দুই দিন আগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও কাল তিনি নিরুত্তাপ, ‘এখন কিছু বলব না। মিটিং করে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাব।’
আরেক বড় দল শেখ রাসেলের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী শুভেচ্ছা রাখলেন নতুন দলের জন্য ‘বাফুফে কোন মানদণ্ডে শেখ জামালকে অনুমোদন দিয়েছে, জানি না। তবে এই দলটির আগমন ফুটবলের জন্য ভালো হলে অবশ্যই আমরা তাকে স্বাগত জানাই।’
যতই বিতর্ক থাক, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব বাংলাদেশ লিগে খেলতে যাচ্ছে, এটাই বাস্তবতা। কিসের ভিত্তিতে শেখ জামাল অনুমতি পেল—গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সেটিই। সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘গতবার তিনটি দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তখন কেউ অভিযোগ করেনি। অতীতের ধারাবাহিকতাই মানা হয়েছে।’
সালাউদ্দিন আরও দাবি করলেন, ‘কোনো অনিয়ম হয়নি। আমাদের বেঁধে দেওয়া মানদণ্ড পূরণ করেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব অনুমতি পেয়েছে। আমরা কোনো ডিভিশনের নাম বলে দিইনি। যে কেউ আবেদন করতে পারত। তা ছাড়া বড় বাজেট নিয়ে এ দলটি আসায় ফুটবলের জন্যই তো লাভই।’
বড় বাজেটের দল আসা ফুটবলের জন্য অবশ্যই ভালো খবর। কিন্তু টাকা থাকলেই একটা দল অনুমতি পেয়ে যাবে, সেটিই বা কোন নিয়ম? সিলেট বিয়ানীবাজার, নারায়ণগঞ্জ শুকতারা প্রথম খেলতে এসে সাধ্যমতো টাকা খরচ করেছে। এক বছর পরই দল দুটি বিদায় নিয়েছে পেশাদার লিগ থেকে। লিগের দ্বিতীয় স্তর না থাকায় এই দুটি দল এখন কোথায় খেলবে? দ্বিতীয় স্তর চালু করার উদ্যোগ নিয়েও সেটি যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে!
বিয়ানীবাজারের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ সিলেট থেকে ফোনে প্রশ্ন রাখলেন, ‘আমরা দেড় কোটি টাকা খরচ করে দল গড়লাম। এখন আমাদের কী হবে? আমরা কোথায় যাব? এটা তো একটা লিগের সিস্টেম হতে পারে না! আমাদের আবারও সুযোগ দেওয়ার আবেদন করলেও বাফুফে সাড়া দেয়নি।’
শুকতারার ফুটবল ম্যানেজার রবিউল ইসলামও ক্ষুব্ধ, ‘অনিয়ম করে দ্বিতীয় বিভাগের দলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা তো পেশাদার লিগে খেলেছি। আমাদের আবেদন গ্রহণ না করে বাফুফে ঠিক করেনি। এখন আমরা কোথায় খেলব?’
এমন আরও অনেক প্রশ্নকে অমীমাংসিত রেখেই চলছে বাংলাদেশের নামসর্বস্ব পেশাদার লিগ।
No comments