ইরানের বিরুদ্ধে ইইউর কঠোর অবরোধ শুরু হচ্ছে
ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাস শিল্পের বিরুদ্ধে আজ সোমবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর অবরোধ শুরু হতে যাচ্ছে। বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে স্থগিত আলোচনায় ফিরতে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ইইউ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এ নিষেধাজ্ঞা উদ্যোগের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তেহরান দ্রুত এর জবাব দেবে এবং এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘গভীর অনুশোচনা’ করতে হবে।
প্রেস টিভি চ্যানেলকে ইরানের প্রেসিডেন্ট রোববার বলেন, ‘নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হোক বা এ বিষয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব গৃহীত হোক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই বন্ধুত্ব এবং একটা যৌক্তিক সমাধান।’
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা ইরানের বিরুদ্ধে জাহাজ বা বিমান তল্লাশির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে তেহরান দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, ইরানের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার ফলে তাদের (ইইউ) অনুশোচনা করতে হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত ৯ জুন ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফা অবরোধ আরোপ করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউ আলাদাভাবে অবরোধ আরোপের চিন্তাভাবনা করছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবরোধ আরোপ করলে এর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের জ্বালানি খাতের যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি ও সেবা বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, এর ফলে ইরানের তেল পরিশোধন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন এবং উত্তোলন ও অন্যান্য উৎপাদন কর্মকাণ্ডে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ইরান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অশোধিত তেল উৎপাদক হলেও যথেষ্ট পরিশোধনের সক্ষমতা না থাকায় তাদের চাহিদার ৪০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী কর্মকাণ্ডে সমর্থনকারী দেশগুলোকে ‘তেহরানের শত্রু’ অভিহিত করেন আহমাদিনেজাদ। তিনি বলেন, ‘ইরান যেকোনো হুমকির কঠিন জবাব দেবে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এর সহযোগী রাষ্ট্রগুলো ইরানের অগ্রগতিতে আতঙ্কিত। মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের মাধ্যমে ইরানের অগ্রগতি বন্ধ করতে পারবেন বলে তাঁরা মনে করছেন। তাঁরা চান না, ইরান তার প্রাপ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হোক।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে একইসঙ্গে আলোচনা ও চাপ—এই দ্বিমুখী কৌশলে এগোচ্ছে। অবরোধের উদ্যোগের পাশাপাশি ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাস্টন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ বিশ্বের ছয়টি প্রভাবশালী দেশের আলোচনা আবার শুরু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পশ্চিমারা দাবি করছে, ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করুক। তেহরান বরাবরই বলে আসছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ জ্বালানির চাহিদা মেটানোই তাদের উদ্দেশ্য।
অবরোধের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের কাছে প্রচলিত অস্ত্র তৈরি করা যায়—এমন সব দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্যও রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। তা ছাড়া ইইউ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর যেসব ব্যাংকের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে। এসব ব্যাংক নতুন শাখা খুলতে পারবে না।
একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক জানিয়েছেন, এ প্রস্তাবটি অনুমোদনের আগে বেশ কয়েকটি ইইউ দেশকে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে, জাতিসংঘের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর অবরোধ অনেক কঠোর হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, এর ফলে ইরানের জ্বালানি খাতের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এ নিষেধাজ্ঞা উদ্যোগের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তেহরান দ্রুত এর জবাব দেবে এবং এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘গভীর অনুশোচনা’ করতে হবে।
প্রেস টিভি চ্যানেলকে ইরানের প্রেসিডেন্ট রোববার বলেন, ‘নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হোক বা এ বিষয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব গৃহীত হোক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই বন্ধুত্ব এবং একটা যৌক্তিক সমাধান।’
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা ইরানের বিরুদ্ধে জাহাজ বা বিমান তল্লাশির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে তেহরান দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, ইরানের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার ফলে তাদের (ইইউ) অনুশোচনা করতে হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত ৯ জুন ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফা অবরোধ আরোপ করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউ আলাদাভাবে অবরোধ আরোপের চিন্তাভাবনা করছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবরোধ আরোপ করলে এর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের জ্বালানি খাতের যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি ও সেবা বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, এর ফলে ইরানের তেল পরিশোধন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন এবং উত্তোলন ও অন্যান্য উৎপাদন কর্মকাণ্ডে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ইরান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অশোধিত তেল উৎপাদক হলেও যথেষ্ট পরিশোধনের সক্ষমতা না থাকায় তাদের চাহিদার ৪০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী কর্মকাণ্ডে সমর্থনকারী দেশগুলোকে ‘তেহরানের শত্রু’ অভিহিত করেন আহমাদিনেজাদ। তিনি বলেন, ‘ইরান যেকোনো হুমকির কঠিন জবাব দেবে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এর সহযোগী রাষ্ট্রগুলো ইরানের অগ্রগতিতে আতঙ্কিত। মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের মাধ্যমে ইরানের অগ্রগতি বন্ধ করতে পারবেন বলে তাঁরা মনে করছেন। তাঁরা চান না, ইরান তার প্রাপ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হোক।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে একইসঙ্গে আলোচনা ও চাপ—এই দ্বিমুখী কৌশলে এগোচ্ছে। অবরোধের উদ্যোগের পাশাপাশি ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাস্টন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ বিশ্বের ছয়টি প্রভাবশালী দেশের আলোচনা আবার শুরু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
পশ্চিমারা দাবি করছে, ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করুক। তেহরান বরাবরই বলে আসছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে তারা পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ জ্বালানির চাহিদা মেটানোই তাদের উদ্দেশ্য।
অবরোধের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের কাছে প্রচলিত অস্ত্র তৈরি করা যায়—এমন সব দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্যও রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। তা ছাড়া ইইউ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর যেসব ব্যাংকের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে। এসব ব্যাংক নতুন শাখা খুলতে পারবে না।
একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক জানিয়েছেন, এ প্রস্তাবটি অনুমোদনের আগে বেশ কয়েকটি ইইউ দেশকে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছে, জাতিসংঘের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর অবরোধ অনেক কঠোর হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, এর ফলে ইরানের জ্বালানি খাতের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
No comments