উত্তর কোরিয়ার হুমকির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া শুরু
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র দিয়ে জবাবের হুমকি সত্ত্বেও জাপান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে চার দিনব্যাপী এই মহড়া শুরু হয়।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় পরমাণু শক্তিচালিত মার্কিন রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন জাপান সাগরের উদ্দেশে বুসান বন্দর ছেড়ে যায়। সিউলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মহড়ায় অংশ নিতে অন্য জাহাজগুলো বুসান ও পাশের জিনহায়ে বন্দর ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া মার্কিন সপ্তম নৌবহরের কয়েকটি জাহাজ কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, তারা সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের তৎপরতা খুব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্লেষক ইয়াং মো জিন বলেন, যৌথ মহড়ার জবাব দিতে পিয়ংইয়ং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা পরমাণু পরীক্ষা চালাতে পারে।
দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা জানান, মহড়াটি পীতসাগরেই হওয়ার কথা ছিল। চীনের প্রতিবাদের কারণে তা জাপান সাগরে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ভবিষ্যতে এমন যৌথ মহড়া দুই সাগরেই করা হবে। কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তত ১০টি যৌথ সামরিক মহড়া চালানো হবে।
এবারের মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন ছাড়াও আরও ২০টি রণতরী ও ডুবোজাহাজ, প্রায় ২০০টি বিমান ও আট হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে ইয়ং এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘যৌথ মহড়ার মাধ্যমে আমরা উত্তর কোরিয়ার প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। সেটি হলো, পিয়ংইয়ংকে অবশ্যই আগ্রাসী আচরণ বন্ধ করতে হবে।’ গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন এক বিবৃতিতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ার জবাব দেওয়া হবে।
এ ধরনের হুমকি উত্তর কোরিয়া প্রায়ই দিয়ে থাকে বলে দৃশ্যত বিষয়টি বিশেষ আমলে না নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এমন যুদ্ধংদেহী মন্তব্যের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। সম্প্রতি সিউল সফরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।
গত মার্চে পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ায় তৈরি টর্পেডোর আঘাতেই চেওনান ডুবেছে। তবে নিভৃত কমিউনিস্ট দেশটি বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় পরমাণু শক্তিচালিত মার্কিন রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন জাপান সাগরের উদ্দেশে বুসান বন্দর ছেড়ে যায়। সিউলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মহড়ায় অংশ নিতে অন্য জাহাজগুলো বুসান ও পাশের জিনহায়ে বন্দর ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া মার্কিন সপ্তম নৌবহরের কয়েকটি জাহাজ কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, তারা সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের তৎপরতা খুব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্লেষক ইয়াং মো জিন বলেন, যৌথ মহড়ার জবাব দিতে পিয়ংইয়ং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা পরমাণু পরীক্ষা চালাতে পারে।
দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা জানান, মহড়াটি পীতসাগরেই হওয়ার কথা ছিল। চীনের প্রতিবাদের কারণে তা জাপান সাগরে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ভবিষ্যতে এমন যৌথ মহড়া দুই সাগরেই করা হবে। কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তত ১০টি যৌথ সামরিক মহড়া চালানো হবে।
এবারের মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন ছাড়াও আরও ২০টি রণতরী ও ডুবোজাহাজ, প্রায় ২০০টি বিমান ও আট হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে ইয়ং এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘যৌথ মহড়ার মাধ্যমে আমরা উত্তর কোরিয়ার প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। সেটি হলো, পিয়ংইয়ংকে অবশ্যই আগ্রাসী আচরণ বন্ধ করতে হবে।’ গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন এক বিবৃতিতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ার জবাব দেওয়া হবে।
এ ধরনের হুমকি উত্তর কোরিয়া প্রায়ই দিয়ে থাকে বলে দৃশ্যত বিষয়টি বিশেষ আমলে না নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এমন যুদ্ধংদেহী মন্তব্যের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। সম্প্রতি সিউল সফরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।
গত মার্চে পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ায় তৈরি টর্পেডোর আঘাতেই চেওনান ডুবেছে। তবে নিভৃত কমিউনিস্ট দেশটি বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
No comments