সার্বিক বিনিয়োগ চিত্র মন্দাচ্ছন্ন
দেশের সার্বিক বিনিয়োগ চিত্র এখনো মন্দাচ্ছন্ন বলে মনে করছে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের অন্যতম সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
সংগঠনটি আরও মনে করে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির সুস্পষ্ট লক্ষণ থাকলেও বিনিয়োগের প্রকৃত বৃদ্ধি নির্ভর করছে জ্বালানি-বিদ্যুতের স্বল্পতাসহ বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির পথে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাগুলো সরকার কতটা কার্যকরভাবে দূর করতে পারে তার ওপর।
২০০৯-১০ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর এমসিসিআই যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে, তাতে এই অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন সূচক থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, বিভিন্ন খাতের অবস্থায় মিশ্র প্রবণতা থাকার পরও অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এসে অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এমসিসিআই মনে করে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার বিষয়টি বিনিয়োগ বিশেষত, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর নির্ভরশীল।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) কার্যক্রমের সাফল্যজনক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বেসরকারি বিনিয়োগকে টেনে আনতে সহায়তা করবে বলে এমসিসিআই মনে করে।
বাস্তবায়নের সামর্থ্য বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদারকরণ ও দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সামাজিক লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দ্রুত ও উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ জরুরি বলে এমসিসিআই মনে করছে।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আলোচ্য অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুর্বল থাকার পর চতুর্থ প্রান্তিকে তা গতি পেয়েছে। অর্থনীতির প্রধান প্রধান খাত তুলনামূলকভাবে শেষ প্রান্তিকে ভালো করেছে। এর ফলে অর্থবছর শেষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশে উপনীত হয়েছে বলে মেট্রো চেম্বারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমসিসিআই বলছে, সব খাতই এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে, যেখানে দাতা সংস্থাসহ কতিপয় গোষ্ঠী নৈরাশ্যমূলক সাড়ে পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেছিল।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে বড় ও মাঝারি আয়তনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দুর্বল হলেও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ও ঋণপত্র খোলার হার বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্য দিয়ে এটাই প্রতীয়মান হয়, শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী ক্ষুদ্র শিল্পসহ শিল্পগুলোর কর্মকাণ্ডেও গতিময়তা লক্ষ্য করা গেছে।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের ১০ মাসে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ সাড়ে ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গেছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি-জুন (২০১০) সময়কালের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল, তাতে রপ্তানি পুনরুদ্ধার ও নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল। এই সময়কালে সেই প্রয়াস অব্যাহত ছিল।
মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বিভিন্ন হাতিয়ার যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে ও বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সতর্কতার সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছে বলেও এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে এমসিসিআই আরও বলেছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জতিক বাজারের মূল্য প্রবণতায় প্রতীয়মান হয় যে, মূল্যস্ফীতির হার এখনো চড়া এবং সামনের মাসগুলোয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বমন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রভাবে বিনিয়োগের জন্য ঋণের চাহিদা বাড়বে, যা একপর্যায়ে চাহিদাজনিত মূল্যস্ফীতি উসকে দিতে পারে বলে এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় চাহিদা ও সরবরাহ উভয় দিক থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে মেট্রো চেম্বার।
বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার এখনো কম থাকলেও মাসওয়ারী মূল্যস্ফীতির হারের মধ্য দিয়ে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপটি প্রতীয়মান হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের এপ্রিলে এসে যেখানে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশ ছিল, সেখানে মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট শতাংশের ওপরে।
এই বাস্তবতায় রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির মধ্যে বিচক্ষণভাবে সমন্বয় করে মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছে মেট্রো চেম্বার।
সংগঠনটি আরও মনে করে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির সুস্পষ্ট লক্ষণ থাকলেও বিনিয়োগের প্রকৃত বৃদ্ধি নির্ভর করছে জ্বালানি-বিদ্যুতের স্বল্পতাসহ বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির পথে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাগুলো সরকার কতটা কার্যকরভাবে দূর করতে পারে তার ওপর।
২০০৯-১০ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর এমসিসিআই যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে, তাতে এই অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন সূচক থেকে এটাই প্রতীয়মান হয়, বিভিন্ন খাতের অবস্থায় মিশ্র প্রবণতা থাকার পরও অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এসে অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এমসিসিআই মনে করে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার বিষয়টি বিনিয়োগ বিশেষত, বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর নির্ভরশীল।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে উন্নতি ঘটানোর মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) কার্যক্রমের সাফল্যজনক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বেসরকারি বিনিয়োগকে টেনে আনতে সহায়তা করবে বলে এমসিসিআই মনে করে।
বাস্তবায়নের সামর্থ্য বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদারকরণ ও দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ সামাজিক লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দ্রুত ও উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ জরুরি বলে এমসিসিআই মনে করছে।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আলোচ্য অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুর্বল থাকার পর চতুর্থ প্রান্তিকে তা গতি পেয়েছে। অর্থনীতির প্রধান প্রধান খাত তুলনামূলকভাবে শেষ প্রান্তিকে ভালো করেছে। এর ফলে অর্থবছর শেষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশে উপনীত হয়েছে বলে মেট্রো চেম্বারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমসিসিআই বলছে, সব খাতই এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে, যেখানে দাতা সংস্থাসহ কতিপয় গোষ্ঠী নৈরাশ্যমূলক সাড়ে পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেছিল।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে বড় ও মাঝারি আয়তনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দুর্বল হলেও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ও ঋণপত্র খোলার হার বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্য দিয়ে এটাই প্রতীয়মান হয়, শিল্প খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী ক্ষুদ্র শিল্পসহ শিল্পগুলোর কর্মকাণ্ডেও গতিময়তা লক্ষ্য করা গেছে।
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের ১০ মাসে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ সাড়ে ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গেছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি-জুন (২০১০) সময়কালের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল, তাতে রপ্তানি পুনরুদ্ধার ও নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল। এই সময়কালে সেই প্রয়াস অব্যাহত ছিল।
মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বিভিন্ন হাতিয়ার যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে ও বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সতর্কতার সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেছে বলেও এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে এমসিসিআই আরও বলেছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জতিক বাজারের মূল্য প্রবণতায় প্রতীয়মান হয় যে, মূল্যস্ফীতির হার এখনো চড়া এবং সামনের মাসগুলোয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বমন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রভাবে বিনিয়োগের জন্য ঋণের চাহিদা বাড়বে, যা একপর্যায়ে চাহিদাজনিত মূল্যস্ফীতি উসকে দিতে পারে বলে এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় চাহিদা ও সরবরাহ উভয় দিক থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে মেট্রো চেম্বার।
বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার এখনো কম থাকলেও মাসওয়ারী মূল্যস্ফীতির হারের মধ্য দিয়ে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপটি প্রতীয়মান হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের এপ্রিলে এসে যেখানে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশ ছিল, সেখানে মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট শতাংশের ওপরে।
এই বাস্তবতায় রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির মধ্যে বিচক্ষণভাবে সমন্বয় করে মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছে মেট্রো চেম্বার।
No comments