অনেক আনন্দের এক জয়
ইদানীং বাংলাদেশ দলের জয়েও যেখানে মানুষ রাস্তায় নেমে নাচানাচি করে না, সেখানে পাকিস্তানে এমন উৎসব! ঢোলবাদ্য নিয়ে শত শত মানুষ নেমে পড়েছে লাহোর-ইসলামাবাদের সড়কে, পড়েছে মিষ্টি খাওয়ার ধুম। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্রের শীর্ষ ব্যক্তিরাও প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন ক্রিকেটারদের। এ তো কেবলই একটা জয় নয়, ১৫ বছরের লজ্জার অবসান! হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়া জয়ের উৎসব তাই আনন্দের ঢেউ তুলেছে সাম্প্রতিক সময়ে শুধুই সহিংসতার জন্য সংবাদ শিরোনাম হওয়া পাকিস্তানে। ওয়েবসাইট।
গত বছরের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর এ রকমই এক সহিংস ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে চলে গেছে পাকিস্তান থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে পাকিস্তানের ‘হোম গ্রাউন্ড’ তাই ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সাফল্যের মুখ দেখা সালমান বাটের আফসোস এখানেই, ‘বিশ্বসেরাদের হারানোর জন্য আমি তরুণ এই দলটার প্রতি কৃতজ্ঞ, কৃতজ্ঞ পাকিস্তানের মানুষের প্রতিও। এই ম্যাচটা দেশে দেশের মানুষের সামনে জিততে পারলেই বেশি ভালো লাগত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা আপাতত সম্ভব নয়। তার পরও দেশের মানুষকে বলছি, আমরা তাদের মনে রেখেছি।’
পরশুর আগে পাকিস্তান সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ১৯৯৫ সালে, সিডনিতে। আরেকটি জয়ের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হওয়ায় সবচেয়ে বেশি খুশি বাটের দলই। বাটের খুশির মাত্রা আরেকটু বেড়ে যাচ্ছে হেডিংলি টেস্টের শেষ দৃশ্য উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠায়, ‘ইতিহাসটা জানা থাকার কারণেই শেষটা স্নায়ুক্ষয়ী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, সবকিছু ঠিকভাবে শেষ হয়েছে এবং আমরা ম্যাচটা জিতেছি।’
পাকিস্তানের কাছে হেডিংলি টেস্ট জয় যতটা উচ্ছ্বাসের, অস্ট্রেলিয়ার কাছে কিন্তু ততটা হতাশার নয়। অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের দাবি অন্তত সেটাই। তিনি এটাও মনে করেন না যে, এই পরাজয় আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজে তাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে, ‘নভেম্বর আসতে এখনো অনেক দেরি। অ্যাশেজ নিয়ে আমরা এখনই ভাবছি না। আপনার যে কাজগুলো ভালো হচ্ছে না, পরাজয়ে সেসব জিনিস অনেক সময় সামনে চলে আসে। আমরা জানি, আমাদের করার মতো অনেক কিছুই আছে এবং এটাও জানি, কোনো কিছুই নিশ্চিত ধরে নেওয়া ঠিক নয়।’ পাকিস্তানের কাছে পরাজয় অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরাবে না বলে মনে করছেন অধিনায়ক।
টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর অভিজ্ঞতা পাকিস্তানের এই দলের সব ক্রিকেটারের জন্যই প্রথম। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলটার কোনো ক্রিকেটারও এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পাননি। তবে পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনুস ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো পাকিস্তান দলে ছিলেন। পুরোনো সেই স্মৃতি পরশু আরেকবার রোমন্থন করলেন সাবেক ফাস্ট বোলার, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আনন্দ অসাধারণ। তরুণ এই দলটার নতুন পথচলা শুরু হলো এখান থেকেই। আশা করি, তারা পাকিস্তানের ক্রিকেটকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।’
সাবেক অধিনায়ক আসিফ ইকবালের দৃষ্টি অত দূরে নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৯ জুলাই থেকে শুরু চার টেস্টের সিরিজের জন্যই তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টাকে বাটের জন্য ‘স্বপ্নের শুরু’ আর পাকিস্তানের ক্রিকেটে ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলে পিসিবির প্রতি তাঁর অনুরোধ, বাট এবং তাঁর দলকে যেন ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।
সেটা পিসিবি দিবে কি না কে জানে, আপাতত বোর্ড সভাপতি ইজাজ বাট ক্রিকেটারদের জন্য দিয়েছেন অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জেতা ক্রিকেটারদের ৫ লাখ রুপি বোনাস দেবে বোর্ড। ক্রিকেটাররা অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও।
গত বছরের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর এ রকমই এক সহিংস ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে চলে গেছে পাকিস্তান থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে পাকিস্তানের ‘হোম গ্রাউন্ড’ তাই ইংল্যান্ড। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সাফল্যের মুখ দেখা সালমান বাটের আফসোস এখানেই, ‘বিশ্বসেরাদের হারানোর জন্য আমি তরুণ এই দলটার প্রতি কৃতজ্ঞ, কৃতজ্ঞ পাকিস্তানের মানুষের প্রতিও। এই ম্যাচটা দেশে দেশের মানুষের সামনে জিততে পারলেই বেশি ভালো লাগত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা আপাতত সম্ভব নয়। তার পরও দেশের মানুষকে বলছি, আমরা তাদের মনে রেখেছি।’
পরশুর আগে পাকিস্তান সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ১৯৯৫ সালে, সিডনিতে। আরেকটি জয়ের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হওয়ায় সবচেয়ে বেশি খুশি বাটের দলই। বাটের খুশির মাত্রা আরেকটু বেড়ে যাচ্ছে হেডিংলি টেস্টের শেষ দৃশ্য উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠায়, ‘ইতিহাসটা জানা থাকার কারণেই শেষটা স্নায়ুক্ষয়ী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, সবকিছু ঠিকভাবে শেষ হয়েছে এবং আমরা ম্যাচটা জিতেছি।’
পাকিস্তানের কাছে হেডিংলি টেস্ট জয় যতটা উচ্ছ্বাসের, অস্ট্রেলিয়ার কাছে কিন্তু ততটা হতাশার নয়। অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের দাবি অন্তত সেটাই। তিনি এটাও মনে করেন না যে, এই পরাজয় আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজে তাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে, ‘নভেম্বর আসতে এখনো অনেক দেরি। অ্যাশেজ নিয়ে আমরা এখনই ভাবছি না। আপনার যে কাজগুলো ভালো হচ্ছে না, পরাজয়ে সেসব জিনিস অনেক সময় সামনে চলে আসে। আমরা জানি, আমাদের করার মতো অনেক কিছুই আছে এবং এটাও জানি, কোনো কিছুই নিশ্চিত ধরে নেওয়া ঠিক নয়।’ পাকিস্তানের কাছে পরাজয় অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরাবে না বলে মনে করছেন অধিনায়ক।
টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর অভিজ্ঞতা পাকিস্তানের এই দলের সব ক্রিকেটারের জন্যই প্রথম। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলটার কোনো ক্রিকেটারও এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পাননি। তবে পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনুস ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো পাকিস্তান দলে ছিলেন। পুরোনো সেই স্মৃতি পরশু আরেকবার রোমন্থন করলেন সাবেক ফাস্ট বোলার, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আনন্দ অসাধারণ। তরুণ এই দলটার নতুন পথচলা শুরু হলো এখান থেকেই। আশা করি, তারা পাকিস্তানের ক্রিকেটকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।’
সাবেক অধিনায়ক আসিফ ইকবালের দৃষ্টি অত দূরে নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৯ জুলাই থেকে শুরু চার টেস্টের সিরিজের জন্যই তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টাকে বাটের জন্য ‘স্বপ্নের শুরু’ আর পাকিস্তানের ক্রিকেটে ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলে পিসিবির প্রতি তাঁর অনুরোধ, বাট এবং তাঁর দলকে যেন ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।
সেটা পিসিবি দিবে কি না কে জানে, আপাতত বোর্ড সভাপতি ইজাজ বাট ক্রিকেটারদের জন্য দিয়েছেন অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জেতা ক্রিকেটারদের ৫ লাখ রুপি বোনাস দেবে বোর্ড। ক্রিকেটাররা অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও।
No comments