যশোরে দলীয় কোন্দল ও খুন
হওয়ার কথা ছিল সম্মেলন, কিন্তু ঘটেছে হত্যাকাণ্ড। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটাভুটির পরিস্থিতি ছিল না, বরং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের কোন্দলে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ত্রাস। জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে যশোর শহরে বেলুন বা ফেস্টুন ওড়েনি, মুহুর্মুহু গুলি আর বোমাবর্ষণ চলেছে, ঘটেছে ছুরিকাঘাতের একাধিক ঘটনা। এ-ই হলো রাজনীতি। আর এ-ই হলো লাগামহীন ক্ষমতার বেপরোয়া দাপট।
এক পক্ষে সাংসদ খালেদুর রহমান টিটো, অন্য পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এই দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে জেলার আওয়ামী লীগ থেকে ছাত্রলীগ পর্যন্ত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে লড়াই করছে। লড়াইটা জনস্বার্থের আন্দোলন নয়, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের রক্তাক্ত টানাটানি। কাক কাকের মাংস খায় না—এ প্রবাদ মিথ্যা করে উপদলীয় সংঘাতে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটেছে। গত রোববার নিহত হয়েছেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। সংবাদমাধ্যমের বরাতে মনে হচ্ছে, কেবল যশোরেই নয়, সারা দেশেই আওয়ামী লীগের ভেতর এ রকম অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ধূমায়িত হচ্ছে। বিষয়টিকে সরকার ও সরকারে আসীন আওয়ামী লীগের তরফে গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। কেননা, রাজনৈতিক বিবাদ অনেক ক্ষেত্রে নাগরিক জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগ এখন প্রতিপক্ষহীন। জয়ের এই প্রতাপ এখন ফুটে বের হচ্ছে যেমন যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে, তেমনই মূল দল ও এর শাখা-প্রশাখাগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেও। এসব দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের কেন্দ্র স্পষ্টতই পদ ও প্রভাব নিয়ে রেষারেষি। এবং এ কথা সবাই জানে যে দলীয় পদই আজকের দিনে ক্ষমতা ও বিত্তের পথ সুগম করার হাতিয়ার। এই ধারা আগেও ছিল এবং দিনবদলের সরকার সে ধারাকে বদলাতে তেমন সচেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ও শীর্ষ নেতৃত্বের খবরদারি সত্ত্বেও সন্ত্রাস, খুন আর দলবাজি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হওয়া সত্যি হতাশাজনক। কেবল কথায় যেমন চিঁড়ে ভেজে না, তেমনি মৌখিক হুঁশিয়ারিতে রক্তপাত ও সন্ত্রাসের ধারা কিছুমাত্র কমে না। কেননা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তপনা ও পেশিশক্তি এতই গভীরে যে, বড় রকম উদ্যোগ না নেওয়া ছাড়া এসব উপদ্রব দূর হওয়ার নয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই সরকারের নীতিনির্ধারক মহলকে তেমন শুদ্ধকরণের উদ্যোগ নিতেই হবে। দলীয় সংস্কৃতি ও নেতা-কর্মীদের আচরণ না বদলালে দেশের শুভ বদল ঘটানো খুব কঠিন।
অবস্থা দেখে মনে হয়, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছেন সরকারের ঘরের শত্রু বিভীষণ। আশা করি সরকারের নীতিনির্ধারক মহল রাজনীতি থেকে মাফিয়া ও সন্ত্রাসীদের দমনের সংকল্প নিয়ে জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবে।
এক পক্ষে সাংসদ খালেদুর রহমান টিটো, অন্য পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। এই দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে জেলার আওয়ামী লীগ থেকে ছাত্রলীগ পর্যন্ত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে লড়াই করছে। লড়াইটা জনস্বার্থের আন্দোলন নয়, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের রক্তাক্ত টানাটানি। কাক কাকের মাংস খায় না—এ প্রবাদ মিথ্যা করে উপদলীয় সংঘাতে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটেছে। গত রোববার নিহত হয়েছেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। সংবাদমাধ্যমের বরাতে মনে হচ্ছে, কেবল যশোরেই নয়, সারা দেশেই আওয়ামী লীগের ভেতর এ রকম অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ধূমায়িত হচ্ছে। বিষয়টিকে সরকার ও সরকারে আসীন আওয়ামী লীগের তরফে গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। কেননা, রাজনৈতিক বিবাদ অনেক ক্ষেত্রে নাগরিক জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে।
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগ এখন প্রতিপক্ষহীন। জয়ের এই প্রতাপ এখন ফুটে বের হচ্ছে যেমন যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে, তেমনই মূল দল ও এর শাখা-প্রশাখাগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেও। এসব দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের কেন্দ্র স্পষ্টতই পদ ও প্রভাব নিয়ে রেষারেষি। এবং এ কথা সবাই জানে যে দলীয় পদই আজকের দিনে ক্ষমতা ও বিত্তের পথ সুগম করার হাতিয়ার। এই ধারা আগেও ছিল এবং দিনবদলের সরকার সে ধারাকে বদলাতে তেমন সচেষ্ট নয় বলেই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ও শীর্ষ নেতৃত্বের খবরদারি সত্ত্বেও সন্ত্রাস, খুন আর দলবাজি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হওয়া সত্যি হতাশাজনক। কেবল কথায় যেমন চিঁড়ে ভেজে না, তেমনি মৌখিক হুঁশিয়ারিতে রক্তপাত ও সন্ত্রাসের ধারা কিছুমাত্র কমে না। কেননা রাজনীতিতে দুর্বৃত্তপনা ও পেশিশক্তি এতই গভীরে যে, বড় রকম উদ্যোগ না নেওয়া ছাড়া এসব উপদ্রব দূর হওয়ার নয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই সরকারের নীতিনির্ধারক মহলকে তেমন শুদ্ধকরণের উদ্যোগ নিতেই হবে। দলীয় সংস্কৃতি ও নেতা-কর্মীদের আচরণ না বদলালে দেশের শুভ বদল ঘটানো খুব কঠিন।
অবস্থা দেখে মনে হয়, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছেন সরকারের ঘরের শত্রু বিভীষণ। আশা করি সরকারের নীতিনির্ধারক মহল রাজনীতি থেকে মাফিয়া ও সন্ত্রাসীদের দমনের সংকল্প নিয়ে জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবে।
No comments