লস্করকে নিরাপত্তা দিচ্ছে আইএসআই
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) দেশটির নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাকে (এলইটি) নিরাপত্তা দিচ্ছে। জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে আইএসআই। গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে একটি শুনানির সময় এ কথা বলেন কংগ্রেস সদস্য মারভিন ওয়েইনবাম। আরেক কংগ্রেস সদস্য গ্যারি অ্যাকেরম্যান বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হামলা করার জন্য ৩২০টি স্থানের তালিকা রয়েছে এলইটির। এর মধ্যে ভারতে রয়েছে ২০টি লক্ষ্যবস্তু।
মারভিন ওয়েইনবাম বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আইএসআই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এলইটিকে গড়ে তোলা হয়েছিল ভারতীয় কাশ্মীর এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন পরিচালনার জন্য। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের শেষের বছরগুলোতে দলটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে তাদের প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করে এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিস্তৃত করে।’
গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ওয়েইনবাম জানান, ২০০২ সালে কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর পাকিস্তান এলইটিকে সহযোগিতা কমিয়ে দেয়। আইএসআইয়ের সমর্থনে দলটি তাদের কর্মতত্পরতা আফগানিস্তান সীমান্তে সরিয়ে আনে।
কংগ্রেস সদস্য ওয়েইনবাম বলেন, ‘তেহরিক-ই-তালেবান, পাকিস্তানি তালেবান, আল-কায়েদা ও হাক্কানি গোষ্ঠীর জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে এলইটিও যুক্ত। তবে অনেক জিহাদি গোষ্ঠী মনে করে এলইটি পাকিস্তানে বেশি নমনীয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর একটি কারণ সম্ভবত দেশটির সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান নেতৃত্ব এলইটি ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হুমকি সম্পর্কে সচেতন হলেও দেশটির সমাজকাঠামোয় তাদের শেকড় বেশ গভীরে। বিশেষ করে দলগত ও প্রাদেশিক রাজনীতি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল মুসলিম লীগ পাঞ্জাব প্রদেশে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে এলইটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এলইটি আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে সহিংস পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওয়েইনবাম বলেন, দলটিতে মিসর থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সদস্য রয়েছে। তাদের তহবিল সংগ্রহের উত্সও অনেক। মসজিদের দান, প্রবাসী পাকিস্তানি, ব্যবসায়ী ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন উত্স থেকে অনুদানের পাশাপাশি সরাসরি আইএসআই থেকেও আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে এলইটি।
আরেক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য অ্যাকেরম্যান বলেন, ‘মুম্বাই হামলার পর তদন্তকারীরা নথিপত্র ও ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য পেয়েছেন, বিশ্বজুড়ে ৩২০টি লক্ষবস্তুর একটি তালিকা তৈরি করেছে এলইটি। যার মধ্যে ২০টি ভারতে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘আফগানিস্তানে ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকেই এলইটি জঙ্গিরা বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করছে। জঙ্গি দলটি এখন জানান দিচ্ছে, এই হামলার পরিধি তারা বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।
এলইটি একটি বড় হুমকি এবং একে এখনই নির্মূল করা দরকার উল্লেখ করে অ্যাকেরম্যান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো জঙ্গি গোষ্ঠীটি এখনো প্রকাশ্যে তাদের তত্পরতা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে এই সমস্যার জট শেকড় গেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তানের শহর, বন্দর ও গ্রামাঞ্চলে এলইটির দুই হাজার সদস্য কাজ করছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
মার্কিন প্রশাসনের প্রতি সতর্কবার্তা জানিয়ে এই কংগ্রেস সদস্য বলেন, ‘আমাদের খেয়াল করা উচিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যে পাকিস্তান বাহিনীকে আমরা সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করেছি তারাই এলইটির পৃষ্ঠপোষক। অন্যদিকে এলইটিকে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলো, তারাই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমাদের মিত্র।’
শুনানিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা গ্যারি রেইড বলেন, ‘এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি শুধু তত্পরই না তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ারও ক্ষমতা রাখে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যন্য প্রযুক্তির ব্যবহারেও এরা পারদর্শী।
মারভিন ওয়েইনবাম বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আইএসআই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এলইটিকে গড়ে তোলা হয়েছিল ভারতীয় কাশ্মীর এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন পরিচালনার জন্য। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের শেষের বছরগুলোতে দলটি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে তাদের প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করে এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিস্তৃত করে।’
গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ওয়েইনবাম জানান, ২০০২ সালে কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর পাকিস্তান এলইটিকে সহযোগিতা কমিয়ে দেয়। আইএসআইয়ের সমর্থনে দলটি তাদের কর্মতত্পরতা আফগানিস্তান সীমান্তে সরিয়ে আনে।
কংগ্রেস সদস্য ওয়েইনবাম বলেন, ‘তেহরিক-ই-তালেবান, পাকিস্তানি তালেবান, আল-কায়েদা ও হাক্কানি গোষ্ঠীর জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে এলইটিও যুক্ত। তবে অনেক জিহাদি গোষ্ঠী মনে করে এলইটি পাকিস্তানে বেশি নমনীয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর একটি কারণ সম্ভবত দেশটির সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান নেতৃত্ব এলইটি ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হুমকি সম্পর্কে সচেতন হলেও দেশটির সমাজকাঠামোয় তাদের শেকড় বেশ গভীরে। বিশেষ করে দলগত ও প্রাদেশিক রাজনীতি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল মুসলিম লীগ পাঞ্জাব প্রদেশে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে এলইটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এলইটি আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে সহিংস পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওয়েইনবাম বলেন, দলটিতে মিসর থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সদস্য রয়েছে। তাদের তহবিল সংগ্রহের উত্সও অনেক। মসজিদের দান, প্রবাসী পাকিস্তানি, ব্যবসায়ী ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন উত্স থেকে অনুদানের পাশাপাশি সরাসরি আইএসআই থেকেও আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে এলইটি।
আরেক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য অ্যাকেরম্যান বলেন, ‘মুম্বাই হামলার পর তদন্তকারীরা নথিপত্র ও ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য পেয়েছেন, বিশ্বজুড়ে ৩২০টি লক্ষবস্তুর একটি তালিকা তৈরি করেছে এলইটি। যার মধ্যে ২০টি ভারতে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘আফগানিস্তানে ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকেই এলইটি জঙ্গিরা বিদেশি সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করছে। জঙ্গি দলটি এখন জানান দিচ্ছে, এই হামলার পরিধি তারা বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।
এলইটি একটি বড় হুমকি এবং একে এখনই নির্মূল করা দরকার উল্লেখ করে অ্যাকেরম্যান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো জঙ্গি গোষ্ঠীটি এখনো প্রকাশ্যে তাদের তত্পরতা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে এই সমস্যার জট শেকড় গেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তানের শহর, বন্দর ও গ্রামাঞ্চলে এলইটির দুই হাজার সদস্য কাজ করছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
মার্কিন প্রশাসনের প্রতি সতর্কবার্তা জানিয়ে এই কংগ্রেস সদস্য বলেন, ‘আমাদের খেয়াল করা উচিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যে পাকিস্তান বাহিনীকে আমরা সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করেছি তারাই এলইটির পৃষ্ঠপোষক। অন্যদিকে এলইটিকে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলো, তারাই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমাদের মিত্র।’
শুনানিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা গ্যারি রেইড বলেন, ‘এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি শুধু তত্পরই না তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ারও ক্ষমতা রাখে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যন্য প্রযুক্তির ব্যবহারেও এরা পারদর্শী।
No comments