উত্তর মেরুতে তাপমাত্রা এখন দুই হাজার বছরের মধ্যে উষ্ণতম
উত্তর মেরু বা আর্কটিকে তাপমাত্রা এখন গত দুই হাজার বছরের মধ্যে উষ্ণতম অবস্থায় রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই অঞ্চলের বরফখণ্ড, হ্রদের তলদেশ আর গাছ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, ১০০ বছর আগেও আর্কটিকে তাপমাত্রার তেমন পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু গত ১০০ বছরে সেখানে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। মূলত মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকেরা জানান, গ্রিনহাউসের প্রভাব ও সৌর উষ্ণায়ন দুটোর বিষয়েই আর্কটিকের আবহাওয়া যথেষ্ট সংবেদনশীল, সেখানে উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনা এটাই নিশ্চিত করছে। গবেষণায় ২৩টি এলাকার তাপমাত্রার চিত্র দশকওয়ারি ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই পর্যালোচনা থেকে দেখা গেছে, গত দশকে অর্থাত্ ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল সময়ে আর্কটিকের তাপমাত্রা সবচেয়ে উষ্ণ ছিল।
গবেষক দলের প্রধান নর্দান অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির গবেষক ড্যারেল কাউফম্যান বলেন, এক হাজার ৯০০ বছর ধরে আর্কটিকে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া চলেছে। কিন্তু বিশের শতক থেকে সেখানে বিপরীত প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই অঞ্চলের দুই হাজার বছরের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৫০ বছরে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল এবং গত দশকে তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি ছিল নাটকীয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯০০ সাল পর্যন্ত প্রতি সহস্রাব্দে উত্তর মেরুর তাপমাত্রা গড়ে দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস করে কমেছে। কিন্তু এর পর থেকে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে চলছে। গবেষক দলের আরেক সদস্য অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস ম্যাককেই বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীতেই প্রথম সূর্যের বাইরের অন্য তাপ উত্স আর্কটিকের তাপমাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তার করে।’
গবেষণাপত্রটি প্রকাশের পর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, জলবায়ু গবেষকেরা যেসব বিষয়ে আগে সতর্ক করেছিলেন, তার অনেক কিছুই এখন ঘটতে শুরু করেছে। ওই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে গত সপ্তাহে তিনি আর্কটিক ভ্রমণ করেন। বিবিসি।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের লড়াই ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান
প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়াও পরিবেশদূষণকারী অন্যান্য গ্যাসের নির্গমন বন্ধের চেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের লড়াই ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জেনেভায় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) বলেছে, একুশ শতকে জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনের জন্য মানবসৃষ্ট নির্গমনের ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেকই দায়ী তাপ আটকে রাখা মিথেন, নাইট্রোজেন যৌগ, নিচুমাত্রার ওজোন ও কালো ধোঁয়া।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনার সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে ও ব্যাপক আকারে বিশ্বের উষ্ণায়ন ঘটে চলেছে। তাই উষ্ণায়ন রোধেডিসেম্বরে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু চুক্তি সম্পাদন করা হবে।
সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকেরা জানান, গ্রিনহাউসের প্রভাব ও সৌর উষ্ণায়ন দুটোর বিষয়েই আর্কটিকের আবহাওয়া যথেষ্ট সংবেদনশীল, সেখানে উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনা এটাই নিশ্চিত করছে। গবেষণায় ২৩টি এলাকার তাপমাত্রার চিত্র দশকওয়ারি ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই পর্যালোচনা থেকে দেখা গেছে, গত দশকে অর্থাত্ ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল সময়ে আর্কটিকের তাপমাত্রা সবচেয়ে উষ্ণ ছিল।
গবেষক দলের প্রধান নর্দান অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির গবেষক ড্যারেল কাউফম্যান বলেন, এক হাজার ৯০০ বছর ধরে আর্কটিকে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া চলেছে। কিন্তু বিশের শতক থেকে সেখানে বিপরীত প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই অঞ্চলের দুই হাজার বছরের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৫০ বছরে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল এবং গত দশকে তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি ছিল নাটকীয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯০০ সাল পর্যন্ত প্রতি সহস্রাব্দে উত্তর মেরুর তাপমাত্রা গড়ে দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস করে কমেছে। কিন্তু এর পর থেকে ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে চলছে। গবেষক দলের আরেক সদস্য অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকোলাস ম্যাককেই বলেন, ‘বিংশ শতাব্দীতেই প্রথম সূর্যের বাইরের অন্য তাপ উত্স আর্কটিকের তাপমাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তার করে।’
গবেষণাপত্রটি প্রকাশের পর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, জলবায়ু গবেষকেরা যেসব বিষয়ে আগে সতর্ক করেছিলেন, তার অনেক কিছুই এখন ঘটতে শুরু করেছে। ওই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে গত সপ্তাহে তিনি আর্কটিক ভ্রমণ করেন। বিবিসি।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের লড়াই ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান
প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়াও পরিবেশদূষণকারী অন্যান্য গ্যাসের নির্গমন বন্ধের চেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের লড়াই ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জেনেভায় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) বলেছে, একুশ শতকে জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনের জন্য মানবসৃষ্ট নির্গমনের ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেকই দায়ী তাপ আটকে রাখা মিথেন, নাইট্রোজেন যৌগ, নিচুমাত্রার ওজোন ও কালো ধোঁয়া।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক আচিম স্টেইনার সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে ও ব্যাপক আকারে বিশ্বের উষ্ণায়ন ঘটে চলেছে। তাই উষ্ণায়ন রোধেডিসেম্বরে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু চুক্তি সম্পাদন করা হবে।
No comments