শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন ওবামা প্রতিবাদে সরব রক্ষণশীলেরা by ইব্রাহীম চৌধুরী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। এ নিয়ে সারা দেশে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। রক্ষণশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর উদারনৈতিক ধারণা ছড়িয়ে দিতে চান কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
টেক্সাস থেকে টেনেসি অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীল অভিভাবকেরা ওবামার বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শোনা থেকে নিজ সন্তানদের বিরত রাখার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর তাঁরা চাপ সৃষ্টি করছেন। রক্ষণশীল অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র স্কুলবর্ষ শুরু হয় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য সপ্তাহটি এমনিতেই বেশ উদ্যোগ-আয়োজনের। এর মধ্যে হোয়াইট হাউস থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, গোটা দেশের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ওবামা বক্তব্য দেবেন। তাঁর বক্তৃতার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা না হলেও বলা হয়েছে, যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রেসিডেন্ট উপদেশমূলক বক্তব্যই দেবেন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে। তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে। স্কুলছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে বসেই টিভির পর্দায় প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনতে পারবে। সব দেশের স্কুল-কলেজে এ নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
রক্ষণশীল অভিভাবকদের পাশাপাশি রক্ষণশীল রেডিও ও টেলিভিশনগুলোও এ ব্যাপারে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর সমাজতান্ত্রিক ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন, প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা মার্কসবাদের পাঠ গ্রহণ করবে—এমন প্রচারণা এখন তুঙ্গে রক্ষণশীল ব্যক্তিদের মধ্যে।
স্কুল কর্তৃপক্ষগুলো জানাচ্ছে, তাদের প্রতিদিন হাজার হাজার ফোনকল সামাল দিতে হচ্ছে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এক অভিভাবক প্রকৌশলী ব্রেট কার্টিম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, শ্রেণীকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামা সরাসরি সংযোগ স্থাপনের প্রয়াস নিয়েছেন। স্কুলগামী তিন সন্তানের অভিভাবক ব্রেট কার্টিস বলেন, মঙ্গলবার তিনি তাঁর সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। তাঁর মন্তব্য, ‘আমি চাই না আমাদের স্কুলগুলো হয়ে উঠুক কোনো সামাজিক আন্দোলনের লীলাভূমি।’
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলের চেয়ারম্যান জিম গ্রিয়ার বলেন, জনগণের করের অর্থ দিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রচারণায় নেমেছেন। প্রভাবশালী রক্ষণশীল বেতার ভাষ্যকার রাম লিম্বো তাঁর বেতার ভাষ্যে বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শকে পাকাপোক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন বারাক ওবামা।
মার্কিন শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র সান্ড্রা আবরিভিয়ান জানান, প্রেসিডেন্ট শুধু উপদেশমূলক বক্তব্য দেবেন। কঠিন পরিশ্রম করা এবং স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের টিকে থাকার পরামর্শ থাকবে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে। তবে তীব্র বিতর্কের মুখে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ওবামা কোনো নীতি-আদর্শ নিয়ে বক্তব্য দেবেন না। তাঁর বক্তব্যে কোনো দলীয় রাজনীতি থাকবে না। সর্বোপরি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যটি ছাত্রছাত্রীদের শোনানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের আগাম পাণ্ডুলিপি সোমবার দিনই সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে হিউস্টন নগরের একজন শিক্ষা বিশ্লেষক ফিলিস গ্রিফিন বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান এবং দেশের প্রধান নাগরিক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন ধারণা আমার কাছে বোধগম্য নয়। উপরন্তু যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরাই ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি করছেন।’ কারও সঙ্গে একমত পোষণ না করেও তাঁর বক্তব্য শোনার শিক্ষাটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য জরুরি বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।
টেক্সাস থেকে টেনেসি অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীল অভিভাবকেরা ওবামার বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শোনা থেকে নিজ সন্তানদের বিরত রাখার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর তাঁরা চাপ সৃষ্টি করছেন। রক্ষণশীল অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র স্কুলবর্ষ শুরু হয় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য সপ্তাহটি এমনিতেই বেশ উদ্যোগ-আয়োজনের। এর মধ্যে হোয়াইট হাউস থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, গোটা দেশের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ওবামা বক্তব্য দেবেন। তাঁর বক্তৃতার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা না হলেও বলা হয়েছে, যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রেসিডেন্ট উপদেশমূলক বক্তব্যই দেবেন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে। তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হবে। স্কুলছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে বসেই টিভির পর্দায় প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনতে পারবে। সব দেশের স্কুল-কলেজে এ নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
রক্ষণশীল অভিভাবকদের পাশাপাশি রক্ষণশীল রেডিও ও টেলিভিশনগুলোও এ ব্যাপারে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর সমাজতান্ত্রিক ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন, প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা মার্কসবাদের পাঠ গ্রহণ করবে—এমন প্রচারণা এখন তুঙ্গে রক্ষণশীল ব্যক্তিদের মধ্যে।
স্কুল কর্তৃপক্ষগুলো জানাচ্ছে, তাদের প্রতিদিন হাজার হাজার ফোনকল সামাল দিতে হচ্ছে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এক অভিভাবক প্রকৌশলী ব্রেট কার্টিম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, শ্রেণীকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামা সরাসরি সংযোগ স্থাপনের প্রয়াস নিয়েছেন। স্কুলগামী তিন সন্তানের অভিভাবক ব্রেট কার্টিস বলেন, মঙ্গলবার তিনি তাঁর সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। তাঁর মন্তব্য, ‘আমি চাই না আমাদের স্কুলগুলো হয়ে উঠুক কোনো সামাজিক আন্দোলনের লীলাভূমি।’
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান দলের চেয়ারম্যান জিম গ্রিয়ার বলেন, জনগণের করের অর্থ দিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রচারণায় নেমেছেন। প্রভাবশালী রক্ষণশীল বেতার ভাষ্যকার রাম লিম্বো তাঁর বেতার ভাষ্যে বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শকে পাকাপোক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন বারাক ওবামা।
মার্কিন শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র সান্ড্রা আবরিভিয়ান জানান, প্রেসিডেন্ট শুধু উপদেশমূলক বক্তব্য দেবেন। কঠিন পরিশ্রম করা এবং স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের টিকে থাকার পরামর্শ থাকবে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে। তবে তীব্র বিতর্কের মুখে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট ওবামা কোনো নীতি-আদর্শ নিয়ে বক্তব্য দেবেন না। তাঁর বক্তব্যে কোনো দলীয় রাজনীতি থাকবে না। সর্বোপরি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যটি ছাত্রছাত্রীদের শোনানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের আগাম পাণ্ডুলিপি সোমবার দিনই সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে হিউস্টন নগরের একজন শিক্ষা বিশ্লেষক ফিলিস গ্রিফিন বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান এবং দেশের প্রধান নাগরিক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন ধারণা আমার কাছে বোধগম্য নয়। উপরন্তু যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরাই ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি করছেন।’ কারও সঙ্গে একমত পোষণ না করেও তাঁর বক্তব্য শোনার শিক্ষাটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য জরুরি বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।
No comments