আফগানিস্তানে ন্যাটো জোটের বিমান হামলায় নিহত ৯০
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে কুন্দুজ প্রদেশে গত বৃহস্পতিবার রাতে ন্যাটো বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জন বেসামরিক লোকও রয়েছে। অন্যরা তালেবান জঙ্গি বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়। দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ প্রধান গুলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘কুন্দুজ প্রদেশের ওমর খেল গ্রামের কাছে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে তালেবান জঙ্গিরা দুটি জ্বালানি ট্যাংকার ছিনতাই করে। তারা ট্যাংকার দুটি কুন্দুজ নদীর কাছে নিয়ে গেলে ন্যাটো জোট তাদের ওপর হামলা চালায়। নিহতদের অধিকাংশই তালেবান জঙ্গি। এতে তালেবানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।’ খবর বিবিসি ও এএফপির।
পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, হামলায় ৯০ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৪০ জন গ্রামবাসী।
কুন্দুজ প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ ওমর হামলায় ৯০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। ন্যাটো জোট হামলার কথা স্বীকার করলেও হতাহতের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেনি। তবে জোটের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) মুখপাত্র গত বৃহস্পতিবার রাতে কাবুলে বলেন, ছিনতাইয়ের পর জ্বালানি ট্যাংকার দুটি কুন্দুজ নদীর পারে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। পরে স্থানীয় আইএসএএফ কমান্ডার সেখানে বিমান হামলার নির্দেশ দেন। এ হামলায় ট্যাংকার দুটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে অনেক জঙ্গি নিহত হয়।
ছিনতাই হওয়া ট্যাংকার দুটির একজন চালক বলেন, ‘তালেবান জঙ্গিরা ট্যাংকার দুটি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর দুজন সহকর্মীর শিরশ্ছেদ করে।’ বিমান হামলায় গুরুতর আহত লোকজনকে কুন্দুজের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ দাউদ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘জঙ্গিরা ট্যাংকার দুটি কুন্দুজ নদী পার করে আঙ্গরবাঘে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তারা একটি ট্যাংকার ওপারে নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপরটি এপারে আটকে যায়। পরে তারা গ্রামবাসীকে ওই ট্যাংকার থেকে ডিজেল নিয়ে যেতে বলে। গ্রামবাসী তেল নিতে ছুটে যায় ট্যাংকারের কাছে। এ সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।’
আফগানিস্তানে কর্মরত বিবিসির সাংবাদিক ক্রিস মোরিস বলেছেন, ‘এ হামলায় বেসামরিক লোকজন মারা গেলে তা ন্যাটো বাহিনীর জন্য ঝামেলা হয়ে দাঁড়াবে। কেননা, আন্তর্জাতিক বাহিনীর হাতে সাধারণ আফগান মারা যাওয়ার ঘটনা এখানে খুবই সংবেদনশীল। এতে ন্যাটো বাহিনীর বিপক্ষে জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যায়।’
আফগানিস্তানে শীর্ষ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল স্টানলি ম্যাকক্রিস্টল আফগান পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণার কয়েক দিনের মাথায় এ হামলার ঘটনা ঘটল। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের অবস্থা বিপজ্জনক। কিন্তু এখানে সফলতা অনিবার্য। তবে এ জন্য কৌশল বদলাতে হবে এবং সামগ্রিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পুলিশ প্রধান গুলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘কুন্দুজ প্রদেশের ওমর খেল গ্রামের কাছে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে তালেবান জঙ্গিরা দুটি জ্বালানি ট্যাংকার ছিনতাই করে। তারা ট্যাংকার দুটি কুন্দুজ নদীর কাছে নিয়ে গেলে ন্যাটো জোট তাদের ওপর হামলা চালায়। নিহতদের অধিকাংশই তালেবান জঙ্গি। এতে তালেবানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।’ খবর বিবিসি ও এএফপির।
পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, হামলায় ৯০ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৪০ জন গ্রামবাসী।
কুন্দুজ প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মদ ওমর হামলায় ৯০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। ন্যাটো জোট হামলার কথা স্বীকার করলেও হতাহতের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেনি। তবে জোটের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) মুখপাত্র গত বৃহস্পতিবার রাতে কাবুলে বলেন, ছিনতাইয়ের পর জ্বালানি ট্যাংকার দুটি কুন্দুজ নদীর পারে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। পরে স্থানীয় আইএসএএফ কমান্ডার সেখানে বিমান হামলার নির্দেশ দেন। এ হামলায় ট্যাংকার দুটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে অনেক জঙ্গি নিহত হয়।
ছিনতাই হওয়া ট্যাংকার দুটির একজন চালক বলেন, ‘তালেবান জঙ্গিরা ট্যাংকার দুটি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর দুজন সহকর্মীর শিরশ্ছেদ করে।’ বিমান হামলায় গুরুতর আহত লোকজনকে কুন্দুজের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ দাউদ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘জঙ্গিরা ট্যাংকার দুটি কুন্দুজ নদী পার করে আঙ্গরবাঘে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তারা একটি ট্যাংকার ওপারে নিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অপরটি এপারে আটকে যায়। পরে তারা গ্রামবাসীকে ওই ট্যাংকার থেকে ডিজেল নিয়ে যেতে বলে। গ্রামবাসী তেল নিতে ছুটে যায় ট্যাংকারের কাছে। এ সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।’
আফগানিস্তানে কর্মরত বিবিসির সাংবাদিক ক্রিস মোরিস বলেছেন, ‘এ হামলায় বেসামরিক লোকজন মারা গেলে তা ন্যাটো বাহিনীর জন্য ঝামেলা হয়ে দাঁড়াবে। কেননা, আন্তর্জাতিক বাহিনীর হাতে সাধারণ আফগান মারা যাওয়ার ঘটনা এখানে খুবই সংবেদনশীল। এতে ন্যাটো বাহিনীর বিপক্ষে জনগণের ক্ষোভ বেড়ে যায়।’
আফগানিস্তানে শীর্ষ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল স্টানলি ম্যাকক্রিস্টল আফগান পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণার কয়েক দিনের মাথায় এ হামলার ঘটনা ঘটল। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের অবস্থা বিপজ্জনক। কিন্তু এখানে সফলতা অনিবার্য। তবে এ জন্য কৌশল বদলাতে হবে এবং সামগ্রিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
No comments