গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিনতাই করার চেষ্টা হচ্ছে : গোলাম পরওয়ার
অনেক সত্য ইতিহাস কেন লেখা হয় না প্রশ্ন রেখে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কারা? এটাও কেউ কেউ ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। অনেক বড় দলের নেতারা বলেন-এই আন্দোলনে আমরা সম্পৃক্ত নই। আর তাদের ছাত্র সংগঠন দাবি করে তাদের নেতৃত্বে বিপ্লব হয়েছে! অথচ যারা বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারী সকলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাক্ষী এই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কারা। রামদা দলের হাত থেকে ইতিহাস বিকৃত করা বন্ধ করতে এ দেশের ছাত্র-জনতা আবারো অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাঁড়াবে।’
২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বিপ্লব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ মানে হচ্ছে যাকে বাধা দেয়া যায় না। বাংলাদেশের জনগণ ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সেটি বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে। দুই হাজারের অধিক মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছে। হাজার হাজার আহত-পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবুও ছাত্র-জনতাকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। এই গণঅভ্যুত্থান এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এ দেশের ছাত্র-জনতার।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সকল আন্দোলন সংগ্রাম ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। তিনটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনটি শাসক গোষ্ঠীর পতন হয়েছে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের আইয়ুব খান, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের এরশাদ এবং সবশেষে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতন হয়। এই পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশের জনগণের দুশমন পরিচয় দিয়েছে। তারা আমাদের ভূখণ্ডকে আসামের সঙ্গে যুক্ত করে মানচিত্র প্রকাশ করে সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে। আমাদের বিজয় দিবসকে ভারতের বিজয় দিবস দাবি করে নরেন্দ্র মোদি পোস্ট করার মাধ্যমে মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনতাই করতে চেয়েছে।’
দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল আজিজ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, কামরুল আহসান হাসান, শাহিন আহাম্মদ খান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন প্রমুখ।
No comments