কেরান হজে করণীয় by মুফতি ইবরাহীম আনোয়ারী
হজের
মাসগুলোতে একসঙ্গে ওমরা ও হজ উভয়টির ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরা পালন করে
ইহরাম না খুলে ওই একই ইহরামে হজ সমাপন করাকে হজে কেরান বা কেরান হজ বলে।
১. প্রথমে ওমরা ও হজ উভয়টার নিয়তে ইহরাম বাঁধবে। ইহরাম বাঁধা ফরজ।
২. বায়তুল্লায় প্রবেশ করে তাওয়াফে ওমরা বা ওমরার তাওয়াফ আদায় করবে। এই তাওয়াফ ফরজ।
৩. তাওয়াফের পর ওমরার সায়ি করবে। এই সায়ি ওয়াজিব।
৪. তারপর তাওয়াফে কুদুম করবে। মিকাতের বাইরে থেকে মক্কায় প্রবেশকারীদের জন্য এই তাওয়াফ সুন্নত।
৫. তারপর সায়ি করবে। এই সায়ি ওয়াজিব। কেরানকারীর জন্য এই সায়ি এখানেই করে নেওয়া উত্তম। না করলে তাওয়াফে জিয়ারতের পর এই ওয়াজিব সায়ি আদায় করতে হবে।
৬. ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় থেকে আদায় করবে। এটা সুন্নত।
৭. ৯ জিলহজ সূর্য ঢলে পড়া থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত উকুফে আরাফা (আরাফায় অবস্থান) করবে। উকুফে আরফা হজের প্রধান ফরজ।
৮. ৯ জিলহজ রাতে উকুফে মুজদালিফা (মুজদালিফায় অবস্থান) করবে। এটা ওয়াজিব।
৯. ১০ জিলহজ মিনায় এসে জামারায়ে আকাবায় (বড় শয়তানকে) কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।
১০. তারপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
১১. তারপর মাথা মু-ন করে বা চুল ছোট করে ইহরাম খুলবে। এই মাথা মুন্ডানো বা চুল ছোট করা ওয়াজিব।
১২. তাওয়াফে জিয়ারত করা ফরজ।
১৩. ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন তিন জামারায় কংকর নিক্ষেপ করবে। এই কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।
১৪. বিদায়ি তাওয়াফ করবে। এই বিদায়ি তাওয়াফ ওয়াজিব। মক্কা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বিদায়ি তাওয়াফ করলে হজে কেরানের কার্যাবলি শেষ হবে।
ইহরাম অবস্থায় করণীয় : নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানপূর্বক (পুরুষের জন্য) হজ অথবা ওমরা কিংবা হজ ও ওমরা উভয়টির নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফের তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সায়ি করার পর মাথা মু-ন করে বা চুল ছোট করে মুক্ত হওয়া পর্যন্ত অবস্থাকে ইহরাম বলে।
যেখান থেকে ইহরাম বাঁধে : হজ বা ওমরার উদ্দেশে রওনা হলে মিকাত অর্থাৎ শরিয়ত কর্তৃক ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করার আগেই ইহরাম বেঁধে নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান প্রভৃতি পূর্বঞ্চালীয় লোকদের জন্য এই নির্ধারিত স্থানটি হলো ইয়ালামলাম (মক্কা থেকে দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম)। এর আগে অবশ্যই ইহরাম বেঁধে নেবেন। বিমানবন্দরে গিয়ে বা হাজীক্যাম্প থেকে রওনা হওয়ার আগে বাসায় বা মসজিদে যে কোনো জায়গায় এহরাম বাঁধা যায়। যারা মদিনা শরিফ আগে যাওয়ার ইচ্ছা করবেন, তারা বিনা ইহরামে রওনা হতে পারেন। মদিনা জিয়ারতের পর যখন মক্কা শরিফের উদ্দেশে রওনা হবেন, তখন মদিনা থেকে মক্কা শরিফ গমনকরীদের মিকাত যেহেতু জুলহুলাইফা, তাই জুলহুলাইফা নামক স্থান থেকে বা মদিনা থেকেই ইহরাম বেঁধে মক্কা শরিফে রওনা হবেন। যারা মক্কা শরিফে থাকা অবস্থায় নফল ওমরা করতে চান ইহরাম বাঁধার জন্য তাদের হারামের সীমানার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো তানয়িম। বর্তমানে সেখানে মসজিদে আয়েশা নামক একটি মসজিদ আছে। সেখানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে নফল ওমরা করবেন। জেরানা নামক স্থান থেকেও ইহরাম বেঁধে আসা যায়।
>>>মুফতি ইবরাহীম আনোয়ারী
১. প্রথমে ওমরা ও হজ উভয়টার নিয়তে ইহরাম বাঁধবে। ইহরাম বাঁধা ফরজ।
২. বায়তুল্লায় প্রবেশ করে তাওয়াফে ওমরা বা ওমরার তাওয়াফ আদায় করবে। এই তাওয়াফ ফরজ।
৩. তাওয়াফের পর ওমরার সায়ি করবে। এই সায়ি ওয়াজিব।
৪. তারপর তাওয়াফে কুদুম করবে। মিকাতের বাইরে থেকে মক্কায় প্রবেশকারীদের জন্য এই তাওয়াফ সুন্নত।
৫. তারপর সায়ি করবে। এই সায়ি ওয়াজিব। কেরানকারীর জন্য এই সায়ি এখানেই করে নেওয়া উত্তম। না করলে তাওয়াফে জিয়ারতের পর এই ওয়াজিব সায়ি আদায় করতে হবে।
৬. ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় থেকে আদায় করবে। এটা সুন্নত।
৭. ৯ জিলহজ সূর্য ঢলে পড়া থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত উকুফে আরাফা (আরাফায় অবস্থান) করবে। উকুফে আরফা হজের প্রধান ফরজ।
৮. ৯ জিলহজ রাতে উকুফে মুজদালিফা (মুজদালিফায় অবস্থান) করবে। এটা ওয়াজিব।
৯. ১০ জিলহজ মিনায় এসে জামারায়ে আকাবায় (বড় শয়তানকে) কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।
১০. তারপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
১১. তারপর মাথা মু-ন করে বা চুল ছোট করে ইহরাম খুলবে। এই মাথা মুন্ডানো বা চুল ছোট করা ওয়াজিব।
১২. তাওয়াফে জিয়ারত করা ফরজ।
১৩. ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন তিন জামারায় কংকর নিক্ষেপ করবে। এই কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব।
১৪. বিদায়ি তাওয়াফ করবে। এই বিদায়ি তাওয়াফ ওয়াজিব। মক্কা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বিদায়ি তাওয়াফ করলে হজে কেরানের কার্যাবলি শেষ হবে।
ইহরাম অবস্থায় করণীয় : নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানপূর্বক (পুরুষের জন্য) হজ অথবা ওমরা কিংবা হজ ও ওমরা উভয়টির নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফের তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সায়ি করার পর মাথা মু-ন করে বা চুল ছোট করে মুক্ত হওয়া পর্যন্ত অবস্থাকে ইহরাম বলে।
যেখান থেকে ইহরাম বাঁধে : হজ বা ওমরার উদ্দেশে রওনা হলে মিকাত অর্থাৎ শরিয়ত কর্তৃক ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করার আগেই ইহরাম বেঁধে নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান প্রভৃতি পূর্বঞ্চালীয় লোকদের জন্য এই নির্ধারিত স্থানটি হলো ইয়ালামলাম (মক্কা থেকে দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম)। এর আগে অবশ্যই ইহরাম বেঁধে নেবেন। বিমানবন্দরে গিয়ে বা হাজীক্যাম্প থেকে রওনা হওয়ার আগে বাসায় বা মসজিদে যে কোনো জায়গায় এহরাম বাঁধা যায়। যারা মদিনা শরিফ আগে যাওয়ার ইচ্ছা করবেন, তারা বিনা ইহরামে রওনা হতে পারেন। মদিনা জিয়ারতের পর যখন মক্কা শরিফের উদ্দেশে রওনা হবেন, তখন মদিনা থেকে মক্কা শরিফ গমনকরীদের মিকাত যেহেতু জুলহুলাইফা, তাই জুলহুলাইফা নামক স্থান থেকে বা মদিনা থেকেই ইহরাম বেঁধে মক্কা শরিফে রওনা হবেন। যারা মক্কা শরিফে থাকা অবস্থায় নফল ওমরা করতে চান ইহরাম বাঁধার জন্য তাদের হারামের সীমানার বাইরে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো তানয়িম। বর্তমানে সেখানে মসজিদে আয়েশা নামক একটি মসজিদ আছে। সেখানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে এসে নফল ওমরা করবেন। জেরানা নামক স্থান থেকেও ইহরাম বেঁধে আসা যায়।
>>>মুফতি ইবরাহীম আনোয়ারী
No comments