নির্বাচনী মওসুমের শুরু: সঙ্কটময় সময়ে আফগানিস্তান
বহু
মাসের বিলম্ব এবং রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য
প্রস্তুতি নিচ্ছে আফগানিস্তান। নির্বাচনে আরও রক্তপাতের ঝুঁকি রয়েছে এবং
জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, যেমনটা আগের নির্বাচনগুলোতে হয়েছে।
নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে রোববার প্রচারণার সময় শুরু হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাকে হারানোর জন্য রয়েছে আরও ১৭ জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা সকলেই পুরুষ এবং তাদের মধ্যে একজন যুদ্ধবাজও রয়েছেন যার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক মুজাহিদিন নেতার ভাই এবং নির্বাচনে তিনি প্রতিশোধ নিতে চান।
নির্বাচনের প্রধান ইস্যুগুলো এ রকম:
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ বছরের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তালেবানরা এতে অংশ নিচ্ছে না, এবং মনে করছে যে ১৮ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সাথে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে এবং তালেবানদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশী সেনা প্রত্যাহার করে নেবে তারা। একইসাথে তালেবানদের এই প্রতিশ্রুতিও দিতে হচ্ছে যে, আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে না।
১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চুক্তি চূড়ান্ত করতে চায় ওয়াশিংটন। কিন্তু বিষয়টির জটিলতার কারণে এই সময়সীমার মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত নাও হতে পারে।
এর অর্থ হলো আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই ঠিক করতে হবে কিভাবে তিনি তালেবানদের সাথে লেনদেন করবেন, যারা অব্যাহতভাবে কাবুল সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি কেমন দাঁড়াবে, এটা এখনও অস্পষ্ট।
সম্ভাব্য সবকিছুই এখানে থাকতে পারে: নারী অধিকার, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সংবিধান ইত্যাদি।
বহু আফগানের আশঙ্কা হলো তালেবান শাসন দ্রুত ফিরে আসবে বা একটা গৃহযুদ্ধ শুরু হবে – যেটা মোকাবেলা করতে হবে পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানের নড়বড়ে অর্থনীতি এবং ব্যাপক দুর্নীতি, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে যেগুলো হয়তো তেমন গুরুত্ব পাবে না।
২৮ সেপ্টেম্বরের নির্বাচন হয়তো প্রথম ধাপ মাত্র। কোন প্রার্থী যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে, খুব সম্ভবত নভেম্বরের শেষের দিকে।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হরো নির্বাচন আদৌ হবে কি না।
চলতি বছরে অন্তত দুইবার নির্বাচনের সময় প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এটা আরও পেছানোর অর্থ হলো আরও অস্থিরতা তৈরি হবে, এবং ঘানির প্রতিপক্ষরা এই অপ্রত্যাশিত সময় বৃদ্ধির কারণে চরম ক্রুদ্ধ হয়ে আছেন।
কিছু পর্যবেক্ষক বলেছেন যে, এ বছর নির্বাচনে দেরি করার কারণ হলো মার্কিন-তালেবান আলোচনার সুযোগ করে দেয়া। কিন্তু নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ধীরগতিও এর একটা কারণ।
নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের মতে, নয় মিলিয়নের মতো মানুষ ভোটের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে যে, এগুলোর মধ্যে অনেক ‘ভুতুরে’ ভোটারও রয়েছে।
গত অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচনেও বহু সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ভোটিং মেশিন, ভোটার নিবন্ধন ও জাল ব্যালট ভর্তিসহ নানা অভিযোগ উঠেছিল তখন।
নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে রোববার প্রচারণার সময় শুরু হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাকে হারানোর জন্য রয়েছে আরও ১৭ জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা সকলেই পুরুষ এবং তাদের মধ্যে একজন যুদ্ধবাজও রয়েছেন যার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক মুজাহিদিন নেতার ভাই এবং নির্বাচনে তিনি প্রতিশোধ নিতে চান।
নির্বাচনের প্রধান ইস্যুগুলো এ রকম:
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ বছরের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তালেবানরা এতে অংশ নিচ্ছে না, এবং মনে করছে যে ১৮ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সাথে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে এবং তালেবানদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশী সেনা প্রত্যাহার করে নেবে তারা। একইসাথে তালেবানদের এই প্রতিশ্রুতিও দিতে হচ্ছে যে, আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে না।
১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চুক্তি চূড়ান্ত করতে চায় ওয়াশিংটন। কিন্তু বিষয়টির জটিলতার কারণে এই সময়সীমার মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত নাও হতে পারে।
এর অর্থ হলো আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই ঠিক করতে হবে কিভাবে তিনি তালেবানদের সাথে লেনদেন করবেন, যারা অব্যাহতভাবে কাবুল সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি কেমন দাঁড়াবে, এটা এখনও অস্পষ্ট।
সম্ভাব্য সবকিছুই এখানে থাকতে পারে: নারী অধিকার, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সংবিধান ইত্যাদি।
বহু আফগানের আশঙ্কা হলো তালেবান শাসন দ্রুত ফিরে আসবে বা একটা গৃহযুদ্ধ শুরু হবে – যেটা মোকাবেলা করতে হবে পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানের নড়বড়ে অর্থনীতি এবং ব্যাপক দুর্নীতি, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে যেগুলো হয়তো তেমন গুরুত্ব পাবে না।
২৮ সেপ্টেম্বরের নির্বাচন হয়তো প্রথম ধাপ মাত্র। কোন প্রার্থী যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে, খুব সম্ভবত নভেম্বরের শেষের দিকে।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হরো নির্বাচন আদৌ হবে কি না।
চলতি বছরে অন্তত দুইবার নির্বাচনের সময় প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এটা আরও পেছানোর অর্থ হলো আরও অস্থিরতা তৈরি হবে, এবং ঘানির প্রতিপক্ষরা এই অপ্রত্যাশিত সময় বৃদ্ধির কারণে চরম ক্রুদ্ধ হয়ে আছেন।
কিছু পর্যবেক্ষক বলেছেন যে, এ বছর নির্বাচনে দেরি করার কারণ হলো মার্কিন-তালেবান আলোচনার সুযোগ করে দেয়া। কিন্তু নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ধীরগতিও এর একটা কারণ।
নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের মতে, নয় মিলিয়নের মতো মানুষ ভোটের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে যে, এগুলোর মধ্যে অনেক ‘ভুতুরে’ ভোটারও রয়েছে।
গত অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচনেও বহু সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ভোটিং মেশিন, ভোটার নিবন্ধন ও জাল ব্যালট ভর্তিসহ নানা অভিযোগ উঠেছিল তখন।
No comments