ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে জিতবে কে?
ভারত
ও পাকিস্তান। দুই দেশের হাতেই রয়েছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। এক দেশ থেকে
আরেক দেশে ভয়াবহ আঘাত করতে সক্ষম এসব অস্ত্র। ভারতের হাতে আছে অগ্নি-৩
ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৯ ধরনের অপারেশনাল ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলোর পাল্লা ৩০০০ থেকে
৫০০০ কিলোমিটার। অন্যদিকে পাকিস্তানের হাতে আছে শাহিন-২ ক্ষেপণাস্ত্র। এর
পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার। এ ছাড়া আছে ১৪০ থেকে ১৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড।
সে তুলনায় পিছিয়ে আছে ভারত। ভারতের হাতে আছে এমন ১৩০ থেকে ১৪০টি অস্ত্র। যদি এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায় তাহলে এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সমূহ ঝুঁকি রয়েছে। আর যদি তাই হয় তাহলে জিতবে কে? বিশেষ করে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পালওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মোহাম্মদ। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হামলার কড়া জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দেবেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও সমস্বরে জবাব দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি তার দেশে হামলা চালানো হয় তবে প্রতিশোধ নেবেন তারাও। দুই দেশের সামরিক কর্তারাও কম যাননি। তারাই একই রকম হুমকি দিয়েছেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এ দুটি দেশের মধ্যে কাশ্মির ইস্যুতে দুটি যুদ্ধ হয়েছে। এখন যদি সত্যিই আরেকটি যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে কে জিতবে আর কে হারবে? এমন বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। এখানে দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:
সামরিক বাজেট
২০১৮ সালে ভারত সামরিক খাতে বরাদ্দ দিয়েছে ৪ লাখ কোটি রুপি, যা তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা প্রায় ২.১ ভাগ। দেশটিতে রয়েছে ১৪ লাখ সক্রিয় সেনাসদস্য। এ তথ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস)।
অন্যদিকে গত বছর পাকিস্তান তার সামরিক খাতে খরচ করেছে এক লাখ ২৬ হাজার কোটি রুপি, যা তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা প্রায় ৩.৬ ভাগ। দেশটিতে রয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ সেনা সদস্য। ২০১৮ সালে তারা সামরিক খাতে বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে ১০ কোটি ডলার। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সরকারের মোট বার্ষিক খরচের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগেরও বেশি খরচ করা হয়েছে সামরিক খাতে। এ তথ্য স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআআই)। এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সরকারি খাতের শতকরা ১৬.৭ ভাগ খরচ হয়েছে সামরিক খাতে।
তুলনামূলকভাবে ২০১৮ সালে ভারতে সামরিক খাতে সরকারি খরচের পরিমাণ শতকরা ১২ ভাগের নিচে রয়েছে। ২০১৭ সালে তা ছিল শতকরা ৯.১ ভাগ।
ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কার বেশি?
ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের হাতেই আছে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র। ভারতের আছে ৯ ধরনের অপারেশনাল ক্ষেপণাস্ত্র। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) তথ্যমতে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হলো অগ্নি-৩। এর পাল্লা ৩০০০ কিলোমিটার থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
অন্যদিকে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গড়ে উঠেছে চীনের সহায়তায়। তাদের রয়েছে মোবাইল শর্ট এবং মধ্যম পাল্লার অস্ত্র। সিএসআইএস বলছে, এসব অস্ত্র ভারতের যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে সক্ষম। তাদের হাতে রয়েছে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হলো শাহিন-২। এর পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার।
কোন সেনাবাহিনী শক্তিশালী বেশি?
আইআইএসএসের মতে, ভারতের আছে ১২ লাখ শক্তিশালী সেনাসদস্য। তাদের সহায়তায় রয়েছে কমপক্ষে ৩৫৬৫টি যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েনযোগ্য ট্যাংক, ৩১০০ ইনফ্যান্ট্রি যুদ্ধযান, ৩৩৬টি আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার এবং ৯৭১৯ পিস আর্টিলারি। এক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেকটা খর্ব। তাদের কাছে আছে মাত্র ৫ লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য। ট্যাংক আছে ২৪৯৬টি। আছে ১৬০৫টি আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার। ৪৪৭২টি আর্টিলারি গান। আরো আছে ৩৭৫টি স্বচালিত ছোট কামানবিশেষ। এ মাসে আইআইএসএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের কাছে সেনাসদস্য বেশি থাকা সত্ত্বেও তাদের সক্ষমতা কম। কারণ, তাদের পর্যাপ্ত লজিস্টিক, রক্ষাবেক্ষণ, গোলাবারুদ ও খুচরা যন্ত্রাংশের ঘাটতি রয়েছে।
বিমান বাহিনী
ভারতের বিমান বাহিনীতে আছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ সদস্য। তাদের কাছে আছে ৮১৪টি যুদ্ধজাহাজ। ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে যথেষ্ট বড়। কিন্তু তাদের যুদ্ধজাহাজের উড্ডয়ন নিয়ে উদ্বেগ আছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের বিমানবাহিনীতে আছে রাশিয়ার পুরনো জেট। যেমন মিগ-২১। এগুলো ১৯৬০ এর দশকে প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। এসব জেট বিমান শিগগিরই সরিয়ে ফেলা হবে। অন্যদিকে ২০৩২ সাল নাগাদ ভারতের হাতে আসতে পারে ২২টি স্কোয়াড্রন।
পাকিস্তানের হাতে আছে ৪২৫টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে চীনা প্রযুক্তির এফ-৭ পিজি এবং আমেরিকান এফ-১৬ ফাইটিং ফলকন জেট। এ ছাড়া তাদের হাতে আছে ৭টি আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক এয়ারক্রাফট। ভারতের চেয়ে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের হাতে আছে তিনটি এয়ারক্রাফট বেশি। আইআইএসএস তার ২০১৯ সালের এক হিসাবে বলেছে, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
নৌ বিাহিনী
ভারতের নৌবাহিনীর হাতে আছে একটি যুদ্ধজাহাজ বহনকারী জাহাজ। আছে ১৬টি সাবমেরিন, ১৪টি ডেস্ট্রয়ার, ১৩টি ফ্রিগেট, ১০৬টি পেট্রোল ও উপকূলীয় যুদ্ধবিষয়ক যান, ৭৫টি যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য এয়ারক্রাফট। তা ছাড়া ভারতের নৌবাহিনীতে আছে ৬৭ হাজার ৭০০ সদস্য।
তবে পাকিস্তানের উপকূলভাগ ভারতের চেয়ে কম। তাদের এ জন্য অস্ত্রের পরিমাণও অত বেশি নয়। তাদের কাছে আছে ৯টি ফ্রিগেট, ৮টি সাবমেরিন, ১৭টি পেট্রোল ও উপকূলে ব্যবহারযোগ্য যান, ৮টি যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য যুদ্ধজাহাজ।
সে তুলনায় পিছিয়ে আছে ভারত। ভারতের হাতে আছে এমন ১৩০ থেকে ১৪০টি অস্ত্র। যদি এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায় তাহলে এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সমূহ ঝুঁকি রয়েছে। আর যদি তাই হয় তাহলে জিতবে কে? বিশেষ করে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পালওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মোহাম্মদ। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ হামলার কড়া জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দেবেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও সমস্বরে জবাব দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি তার দেশে হামলা চালানো হয় তবে প্রতিশোধ নেবেন তারাও। দুই দেশের সামরিক কর্তারাও কম যাননি। তারাই একই রকম হুমকি দিয়েছেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এ দুটি দেশের মধ্যে কাশ্মির ইস্যুতে দুটি যুদ্ধ হয়েছে। এখন যদি সত্যিই আরেকটি যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে কে জিতবে আর কে হারবে? এমন বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। এখানে দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো:
সামরিক বাজেট
২০১৮ সালে ভারত সামরিক খাতে বরাদ্দ দিয়েছে ৪ লাখ কোটি রুপি, যা তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা প্রায় ২.১ ভাগ। দেশটিতে রয়েছে ১৪ লাখ সক্রিয় সেনাসদস্য। এ তথ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস)।
অন্যদিকে গত বছর পাকিস্তান তার সামরিক খাতে খরচ করেছে এক লাখ ২৬ হাজার কোটি রুপি, যা তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা প্রায় ৩.৬ ভাগ। দেশটিতে রয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ সেনা সদস্য। ২০১৮ সালে তারা সামরিক খাতে বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে ১০ কোটি ডলার। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সরকারের মোট বার্ষিক খরচের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগেরও বেশি খরচ করা হয়েছে সামরিক খাতে। এ তথ্য স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআআই)। এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সরকারি খাতের শতকরা ১৬.৭ ভাগ খরচ হয়েছে সামরিক খাতে।
তুলনামূলকভাবে ২০১৮ সালে ভারতে সামরিক খাতে সরকারি খরচের পরিমাণ শতকরা ১২ ভাগের নিচে রয়েছে। ২০১৭ সালে তা ছিল শতকরা ৯.১ ভাগ।
ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কার বেশি?
ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের হাতেই আছে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো পারমাণবিক অস্ত্র। ভারতের আছে ৯ ধরনের অপারেশনাল ক্ষেপণাস্ত্র। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) তথ্যমতে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হলো অগ্নি-৩। এর পাল্লা ৩০০০ কিলোমিটার থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
অন্যদিকে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গড়ে উঠেছে চীনের সহায়তায়। তাদের রয়েছে মোবাইল শর্ট এবং মধ্যম পাল্লার অস্ত্র। সিএসআইএস বলছে, এসব অস্ত্র ভারতের যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে সক্ষম। তাদের হাতে রয়েছে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হলো শাহিন-২। এর পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার।
কোন সেনাবাহিনী শক্তিশালী বেশি?
আইআইএসএসের মতে, ভারতের আছে ১২ লাখ শক্তিশালী সেনাসদস্য। তাদের সহায়তায় রয়েছে কমপক্ষে ৩৫৬৫টি যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েনযোগ্য ট্যাংক, ৩১০০ ইনফ্যান্ট্রি যুদ্ধযান, ৩৩৬টি আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার এবং ৯৭১৯ পিস আর্টিলারি। এক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেকটা খর্ব। তাদের কাছে আছে মাত্র ৫ লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য। ট্যাংক আছে ২৪৯৬টি। আছে ১৬০৫টি আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার। ৪৪৭২টি আর্টিলারি গান। আরো আছে ৩৭৫টি স্বচালিত ছোট কামানবিশেষ। এ মাসে আইআইএসএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের কাছে সেনাসদস্য বেশি থাকা সত্ত্বেও তাদের সক্ষমতা কম। কারণ, তাদের পর্যাপ্ত লজিস্টিক, রক্ষাবেক্ষণ, গোলাবারুদ ও খুচরা যন্ত্রাংশের ঘাটতি রয়েছে।
বিমান বাহিনী
ভারতের বিমান বাহিনীতে আছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ সদস্য। তাদের কাছে আছে ৮১৪টি যুদ্ধজাহাজ। ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে যথেষ্ট বড়। কিন্তু তাদের যুদ্ধজাহাজের উড্ডয়ন নিয়ে উদ্বেগ আছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের বিমানবাহিনীতে আছে রাশিয়ার পুরনো জেট। যেমন মিগ-২১। এগুলো ১৯৬০ এর দশকে প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। এসব জেট বিমান শিগগিরই সরিয়ে ফেলা হবে। অন্যদিকে ২০৩২ সাল নাগাদ ভারতের হাতে আসতে পারে ২২টি স্কোয়াড্রন।
পাকিস্তানের হাতে আছে ৪২৫টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে চীনা প্রযুক্তির এফ-৭ পিজি এবং আমেরিকান এফ-১৬ ফাইটিং ফলকন জেট। এ ছাড়া তাদের হাতে আছে ৭টি আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক এয়ারক্রাফট। ভারতের চেয়ে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের হাতে আছে তিনটি এয়ারক্রাফট বেশি। আইআইএসএস তার ২০১৯ সালের এক হিসাবে বলেছে, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
নৌ বিাহিনী
ভারতের নৌবাহিনীর হাতে আছে একটি যুদ্ধজাহাজ বহনকারী জাহাজ। আছে ১৬টি সাবমেরিন, ১৪টি ডেস্ট্রয়ার, ১৩টি ফ্রিগেট, ১০৬টি পেট্রোল ও উপকূলীয় যুদ্ধবিষয়ক যান, ৭৫টি যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য এয়ারক্রাফট। তা ছাড়া ভারতের নৌবাহিনীতে আছে ৬৭ হাজার ৭০০ সদস্য।
তবে পাকিস্তানের উপকূলভাগ ভারতের চেয়ে কম। তাদের এ জন্য অস্ত্রের পরিমাণও অত বেশি নয়। তাদের কাছে আছে ৯টি ফ্রিগেট, ৮টি সাবমেরিন, ১৭টি পেট্রোল ও উপকূলে ব্যবহারযোগ্য যান, ৮টি যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য যুদ্ধজাহাজ।
No comments