পরস্পরের দাবি: ভারতের দুটি পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
ভারত
ও পাকিস্তান দুই দেশই পরস্পরের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
পাকিস্তান ভারতের দুটি ও ভারত পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার
দাবি করেছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই নিজ দেশের কোনো বিমান ভূপাতিত হওয়ার
ঘটনা বা কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটারে দাবি করেছেন, ভূপাতিত ভারতীয় জেট বিমানের একটি পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ও অন্যটি পড়েছে ভারতীয় অংশে। এ ঘটনায় একজন বৈমানিককে আটক করা হয়। পাকিস্তানের দাবি, অস্বীকার করে ভারত বলেছে, তাদের কোনো বৈমানিক ধরা পড়েনি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ভারত। এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন মেজর গফুর। তিনি বলেন, তাদের অপারেশনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়নি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, গতকাল পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিমান হামলা চালানোর ঘটনায় আমাদের জবাব দেওয়ার ছাড়া বিকল্প ছিল না। ভারত আগ্রাসন চালিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, তারা শত শত জঙ্গি হত্যার কথা বলেছে। কিন্তু তাদের বোমায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভারতীয় বিমানবাহিনী সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছিল, কিন্তু তাদের ফেরত পাঠাতে বাধ্য করা হয়েছে। ভারতের এ দাবির পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দুটি বিমান ভূপাতিত করার বিবৃতি দেওয়া হয়। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এক সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান কিছুক্ষণের জন্য ভারতীয় সীমানায় ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের ভারতীয় বিমানবাহিনী ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান পুনচ ও নওশেরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে। ফিরে যাওয়ার সময় তারা বোমা ফেলে গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বিমানবাহিনী সীমান্ত এলাকায় আঘাত (স্ট্রাইক) এনেছে। তবে ওই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি তারা। তবে এটাকে বেসামরিক হামলা বলেছে। তাদের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যাওয়ায় সীমান্তসংলগ্ন কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারতের জিনিউজ বলছে, দেশের আটটি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, শ্রীনগর, জম্মু, লে, অমৃতসর, পাঠানকোট, গগ্গল, দেরাদুন ও চণ্ডীগড়। আজ বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের আকাশসীমায় পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ায় জম্মু-কাশ্মীর-সহ উত্তর ভারতের আকাশসীমায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার জম্মু-কাশ্মীরের বুদগাম এলাকায় আজ সকালে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমা ছোড়ার ঘটনার জবাবে সীমান্তে ভারী মর্টার শেল ছুড়ছে পাকিস্তান। এ ঘটনার মধ্যেই ওই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে অন্তত ৪০ জন জওয়ান নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে। পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতেই গতকাল ভোররাতে পাকিস্তানের ভেতরে অভিযান চালায় ভারত।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের ভাষ্য, পুলওয়ামায় হামলার পর জইশ-ই-মুহাম্মদের জঙ্গি ও প্রশিক্ষকেরা পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে সরে যায়। তারা খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে একটি পাঁচ তারকা রিসোর্টে ওঠে। এটি জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত।
বালাকোটের শিবিরে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও আধুনিক কৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ নিতেন জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারের আত্মীয় ও সহযোগী জঙ্গিরা।
ভারত বলছে, বিমান হামলার সময় বালাকোটের শিবিরে অন্তত ৩২৫ জন জঙ্গি ছিল। আর প্রশিক্ষক ছিল ২৫-২৭ জন।
শিবিরটি একসময় হিজবুল মুজাহিদিনও ব্যবহার করত। জঙ্গিদের উসকানি দিতে এই শিবিরে জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহার ও অন্য নেতারা ভাষণ দিত।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের ভাষ্য, কুনহার নদীর পাশে শিবিরটি অবস্থিত। এখানে জঙ্গিদের পানিপথেও প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়া হতো। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যরা ছিলেন এখানকার প্রশিক্ষক।
ভারতীয় সূত্রের ভাষ্য, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে ৩টায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমান বালাকোটের শিবিরে হামলা চালায়। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটারে দাবি করেছেন, ভূপাতিত ভারতীয় জেট বিমানের একটি পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ও অন্যটি পড়েছে ভারতীয় অংশে। এ ঘটনায় একজন বৈমানিককে আটক করা হয়। পাকিস্তানের দাবি, অস্বীকার করে ভারত বলেছে, তাদের কোনো বৈমানিক ধরা পড়েনি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে ভারত। এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন মেজর গফুর। তিনি বলেন, তাদের অপারেশনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়নি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, গতকাল পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিমান হামলা চালানোর ঘটনায় আমাদের জবাব দেওয়ার ছাড়া বিকল্প ছিল না। ভারত আগ্রাসন চালিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, তারা শত শত জঙ্গি হত্যার কথা বলেছে। কিন্তু তাদের বোমায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভারতীয় বিমানবাহিনী সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছিল, কিন্তু তাদের ফেরত পাঠাতে বাধ্য করা হয়েছে। ভারতের এ দাবির পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দুটি বিমান ভূপাতিত করার বিবৃতি দেওয়া হয়। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের এক সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান কিছুক্ষণের জন্য ভারতীয় সীমানায় ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের ভারতীয় বিমানবাহিনী ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান পুনচ ও নওশেরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে। ফিরে যাওয়ার সময় তারা বোমা ফেলে গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বিমানবাহিনী সীমান্ত এলাকায় আঘাত (স্ট্রাইক) এনেছে। তবে ওই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি তারা। তবে এটাকে বেসামরিক হামলা বলেছে। তাদের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যাওয়ায় সীমান্তসংলগ্ন কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারতের জিনিউজ বলছে, দেশের আটটি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, শ্রীনগর, জম্মু, লে, অমৃতসর, পাঠানকোট, গগ্গল, দেরাদুন ও চণ্ডীগড়। আজ বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের আকাশসীমায় পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ায় জম্মু-কাশ্মীর-সহ উত্তর ভারতের আকাশসীমায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার জম্মু-কাশ্মীরের বুদগাম এলাকায় আজ সকালে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমা ছোড়ার ঘটনার জবাবে সীমান্তে ভারী মর্টার শেল ছুড়ছে পাকিস্তান। এ ঘটনার মধ্যেই ওই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে অন্তত ৪০ জন জওয়ান নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে। পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতেই গতকাল ভোররাতে পাকিস্তানের ভেতরে অভিযান চালায় ভারত।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের ভাষ্য, পুলওয়ামায় হামলার পর জইশ-ই-মুহাম্মদের জঙ্গি ও প্রশিক্ষকেরা পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে সরে যায়। তারা খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে একটি পাঁচ তারকা রিসোর্টে ওঠে। এটি জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির। শিবিরটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত।
বালাকোটের শিবিরে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও আধুনিক কৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ নিতেন জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারের আত্মীয় ও সহযোগী জঙ্গিরা।
ভারত বলছে, বিমান হামলার সময় বালাকোটের শিবিরে অন্তত ৩২৫ জন জঙ্গি ছিল। আর প্রশিক্ষক ছিল ২৫-২৭ জন।
শিবিরটি একসময় হিজবুল মুজাহিদিনও ব্যবহার করত। জঙ্গিদের উসকানি দিতে এই শিবিরে জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহার ও অন্য নেতারা ভাষণ দিত।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের ভাষ্য, কুনহার নদীর পাশে শিবিরটি অবস্থিত। এখানে জঙ্গিদের পানিপথেও প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়া হতো। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যরা ছিলেন এখানকার প্রশিক্ষক।
ভারতীয় সূত্রের ভাষ্য, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে ৩টায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিরেজ-২০০০ যুদ্ধবিমান বালাকোটের শিবিরে হামলা চালায়। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।
No comments