ঘুষ লাগে ৬০ ঘাটে by মুজিব মাসুদ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের
এয়ারফ্রেইট কার্গো কমপ্লেক্স ও কার্গো ভিলেজ এখন চুরি আর লুটপাটের
স্বর্গরাজ্য। এখান থেকে পণ্য ছাড়াতে ৬০ ঘাটে ঘুষ দিতে হয়। অন্যথায় কোনো
পণ্য নড়ে না। বাংলাদেশ বিমান, কুরিয়ার সার্ভিস আর কাস্টমসের একটি সিন্ডিকেট
এই ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। সাধারণ ব্যবসায়ীরা এর নাম দিয়েছেন
ঘুষ চুরি আর দুর্নীতির বন্দর।
ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একটি পণ্য খালাস করতে বিমান ও কাস্টমসের প্রায় ৬০টি ঘাটে ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। আর প্রতিটি ঘাটে ঘাটে দিতে হয় মোটা অংকের টাকার ঘুষ। ঘুষের এই হার ৫শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার বেশি। জরুরি হলে গুনতে হয় দ্বিগুণের বেশি। তাদের অভিযোগ একটি ফ্লাইট অবতরণের ২০ থেকে ২৫ দিনের আগে ওই ফ্লাইটের পণ্য খালাস সম্ভব হচ্ছে না। শুধু ঘুষ না দেয়ার কারণে এই বিলম্ব। ছাড় না পাওয়ায় পণ্যগুলো বিমানবন্দরের রানওয়ের খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে পচতে থাকে। এই সুযোগে একটি সিন্ডিকেট কার্টন ভেঙে, পলিথিন খুলে হরহামেশা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে শত শত কোটি টাকার মূল্যবান পণ্য। অরক্ষিত পুরো টার্মিনাল। গার্মেন্টস এক্সেসরিস, মোবাইল ফোন, কেমিক্যাল থেকে শুরু করে এমন কোনো পণ্য নেই এখান থেকে চুরি আর লুট হচ্ছে না। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি চুরি ও হারিয়ে যাওয়া মালামালের অভিযোগ বিমানের ক্লেইম শাখায় ফ্লাইলবন্দি হয়ে আছে।
বিমানের কার্গো কমপ্লেক্সের প্রধান জেনারেল ম্যানেজার আলী আহসান বাবু যুগান্তরকে জানান, কার্গো সেক্টরটি বিমানের সবচেয়ে বড়। কিন্তু এখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নেই। তাই আমদানি-রফতানিকারকদের মালামাল খালাস ও ছাড় করতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। চুরির ঘটনাও হচ্ছে। বেশ কিছু চুরি ধরাও পড়েছে বিমানের সিকিউরিটি গার্ডদের হাতে। তবে ইতিমধ্যে সেক্টরটিকে কম্পিউটারাইজ করা হয়েছে। কিছু যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা হয়েছে। কার্গো টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে।
ঘুষ-দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে ম্যানুয়ালি কাজ হওয়ায় কিছু ঘুষ-দুর্নীতি ছিল। এখন সবকিছু কম্পিউটারাইজড হয়ে গেছে। তার মতে, কার্গো কমপ্লেক্সে অন্তত ২০টি সংস্থার লোকজন কাজ করছে। এত সংস্থার কে কখন কি করছে তা মনিটরিং করা খুবই কষ্টকর। তারপরও তিনি বলেন, যদি কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট বা আমদানি-রফতানিকারক স্পেসিফিক কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের জায়গার মালিক সিভিল এভিয়েশন। ইতিমধ্যে তারা বিমানকে কার্গো টার্মিনাল করে দিয়েছে। আরও জায়গা দেয়ার বিষয়েও কথাবার্তা চলছে। তিনি বলেন, ওয়্যারহাউসগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় মালামাল রানওয়েতে রাখা ছাড়া বিকল্প নেই। তবে দ্রুত ছাড় করা সম্ভব হলে এই সমস্যা থাকবে না। তিনি বলেন, সমস্যা না থাকলে তার টেবিলে ১ মিনিটের বেশি কোনো ফাইল থাকে না। একই নির্দেশ তিনি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও দিয়েছেন।
সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলেন, পণ্যসামগ্রী ওয়্যারহাউসের বাইরে থাকলেও দিতে হচ্ছে গোডাউন চার্জ। ১০ দিন পরপর এই চার্জ বাড়তে থাকে। একটি অ্যারো বিলের অধীনে থাকা মালামাল একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে। এগুলো খুঁজে বের করতেও দিনের পর দিন কাজ করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের প্রতিনিধিকে। নিয়ম অনুযায়ী ফ্লাইট থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালামাল নির্ধারিত গোডাউনে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু গোডাউন খালি থাকলেও এই কাজ কেউ করছে না। বর্তমানে কার্গো কমপ্লেক্সে দুটি ওয়্যারহাউস, একটি স্ট্রং রুম ও একটি ডেঞ্জার রুম রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো মালামাল রাখা হচ্ছে না।
শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরকে ঘিরে আমদানি-রফতানিকারকদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় সাড়ে ১৪শ’ সিএন্ডএফ এজেন্ট কাজ করছেন। নিয়ম অনুযায়ী মালামাল আনা-নেয়া থেকে শুরু করে বিল তৈরি সংক্রান্ত সব কাজ বিমান ও কাস্টমস কর্মীদের করার কথা। কিন্তু বাস্তবে সব কাজ করছে সিএন্ডএফ কর্মীরা। সংশ্লিষ্টরা ব্যস্ত ঘুষ বাণিজ্যে। মালামাল আনা-নেয়ার জন্য ট্রলি, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিও সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে কিনে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনালটি সোনা চোরাচালানিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ায় কার্গো কমপ্লেক্সটিকে নিরাপদ রুটে পরিণত করেছে। গত সপ্তাহে কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কনটেইনার থেকে ৭ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টমস।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশন, বিমান, কার্গো টার্মিনালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কুরিয়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ, বিমান সিকিউরিট, কাস্টমস, এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন)সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে গড়া একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। আগে বিল সংক্রান্ত সবকিছু ম্যানুয়ালি হতো। সম্প্রতি সব কিছু কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। এ কারণে ঘুষের রেটও বেড়ে গেছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য মাত্র একটি গেট দিয়ে মালামাল আনা-নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় গেটটি। অথচ সংশ্লিষ্ট চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ব্যবহার করছে সবগুলো গেট। প্রকাশ্যে তারা গাড়ি নিয়ে সবগুলো গেইট দিয়ে নির্বিঘ্নে আসা-যাওয়া করছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীই নয়, যে কেউ ঢুকে যেতে পারে অ্যাপ্রোনসহ স্পর্শকাতর এলাকায়। বুধবার সরেজমিন কার্গো কমপ্লেক্সের রানওয়েতে গিয়ে দেখা গেছে আইডি কার্ড, অ্যাপ্রোন কিংবা কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছাড়া অন্তত ২শ’ সাধারণ মানুষ কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। অনেকে কনটেনাইর থেকে পলিথিন খুলে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ পচা-গলা কাপড়ের বান্ডিল, নষ্ট গার্মেন্টস সামগ্রী কুড়িয়ে নিচ্ছে।
জানা গেছে এসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিদেশ থেকে আসা মূল্যবান প্যাকেট-কার্টন ছিঁড়ে মোবাইল সেট, গার্মেন্টস সামগ্রী, কেমিক্যাল বের করে ওই প্যাকেটে অন্য দ্রব্যসামগ্রী কিংবা নকল ও ভেজাল সামগ্রী ঢুকিয়ে দিচ্ছে। প্রকাশ্যে এভাবে কার্টন খোলার ঘটনা ঘটলেও কেউ বাধা দিচ্ছে না। উত্তরা ও হাতিরপুল এলাকার একটি সিন্ডিকেট এসব নকল ও ভেজাল সামগ্রীর জোগান দিচ্ছে। বিনিময়ে তারাও প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করছে। কার্গো কমপ্লেক্সে পণ্যসামগী দেখার জন্য পর্যাপ্ত সিকিউরিটি গার্ড নেই। যার যার মালামাল তাকে কিংবা তার মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্টকে পাহারা দিতে হচ্ছে। যার কারণে টার্মিনালের ভেতর গিজগিজ করছে মানুষজন।
সিএন্ডএফ এজেন্ট নেতৃবৃন্দ জানান, পণ্যসামগ্রী রাখার মধ্যে কোনো ডিসিপ্লিন নেই। একজন আমদানিকারকের একটি প্যাকেট টার্মিনালে পড়ে আছে। আরেকটি প্যাকেট পড়ে আছে আধা কিলোমিটার দূরের বিমানের রানওয়েতে। চুরি হওয়া কিংবা নষ্ট হওয়া মালামালের ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না। জরিমানা দিলেও সেটা নামকাওয়াস্তে। গ্রিন চ্যানেল, বিমানের কার্গো গোডাউনসহ বিমান ল্যান্ডিং এরিয়াতে অযতেœ, অবহেলায় মূল্যবান ও স্পর্শকাতর মালামাল পড়ে থাকে দিনের পর দিন। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে নষ্ট হলেও কেউ সংরক্ষণ করে না। বেশির ভাগ মালামালের প্যাকেট ছেঁড়া, ফাটা। যার কারণে প্যাকেট থেকে পড়ে গিয়ে শত শত কোটি টাকার মালামাল হারিয়ে যাচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে বিমানের রানওয়েতে মালামাল পড়ে থাকলেও ব্যবসায়ীদের ঘণ্টা হিসাবে গোডাউন চার্জ দিতে হচ্ছে বিমানকে।
গ্রিন চ্যানেল গোডাউনে শুল্কমুক্ত মালামাল থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে রাখা হচ্ছে শুল্কযুক্ত মালামাল। সময়মতো লোডার, ট্রলি, ফর্কলিফট না থাকায় সেসব মাল বের করা যায় না। নিয়ম অনুযায়ী টার্মিনালের লোডাররাই মালামাল বের করে দেয়ার কথা। কিন্তু সময়মতো কোনো লোডার পাওয়া যায় না। টাকা ছাড়া তারা কোনো কাজই করে না। অভিযোগ রয়েছে, বিমানের শ্রমিক লীগ সমর্থিত সিবিএ নেতারা এই কার্গো কমপ্লেক্স থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি টাকার বেশি ঘুষ বাণিজ্য করছে।
কমপ্লেক্স থেকে মালামাল চুরি হচ্ছে যেভাবে : ১৯৮৪ সালের দিকে সিভিল এভিয়েশন কার্গো ভিলেজ ভবন তৈরি হয়। জানা গেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি কার্গো ফ্লাইট ওঠানামা করে। নিয়ম হল ফ্লাইট নামার সঙ্গে সঙ্গে বিমান কর্তৃপক্ষ অ্যারোবিল অনুযায়ী মালামাল গোডাউনে সংরক্ষণ করা। এরপর অ্যারো বিল দেখিয়ে আমদানিকারক ও তাদের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট শুল্কায়ন শেষে মালামাল তাদের হেফাজতে নিয়ে নেবে। কিন্তু এ নিয়ম মানা হয় না। অনুসন্ধানে জানা গেছে কার্গো টার্মিনালকে ঘিরে বর্তমানে সক্রিয় প্রায় অর্ধশত সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। টুইন ট্রাক্টর চালক, পিকআপ চালক, লোডার, ট্রলিম্যান ও গাড়ির ড্রাইভারদের নেতৃত্বে রয়েছে একটি গ্র“প। বে (উড়াজাহাজে তোলার জন্য মাল রাখার স্থান) ও কার্গো এলাকায় রাখা মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশ বিমানের নিরাপত্তা শাখার। ওই শাখার একটি সংঘবদ্ধ গ্র“পই রয়েছে চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। বিমানের গোডাউন থেকে কবির এন্টারপ্রাইজের প্রায় ৫ কোটি টাকা দামের এলসি করা ৩০ বেল্ট গার্মেন্টস কাপড়ের পুরোটাই চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মাকসুদুর রহমান বাদী হয়ে এয়ারফ্রেইটের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, চক্রটি তার আবেদনপত্রটিও গায়েব করে দিয়েছে। ১৮ এপ্রিল চোরাই চক্র প্রকাশ্যে টার্মিনাল এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে প্রায় ১০ কোটি টাকার কেমিক্যাল চুরি করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি খোদ সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর সম্পাদকের বিপুল পরিমাণ গার্মেন্টস সামগ্রী ও কাপড় চুরি হয়ে গেছে। এই ঘটনায় তিনি বিমানের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের শেষ দিকে গাজীপুর এলাকার একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর দুই কার্টন মূল্যবান বোতাম চুরি করে ওই কার্টনে মাঠ থেকে কাটা ঘাস ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। রাজধানীর মোতালেব প্লাজার একজন ব্যবসায়ী জানান, তার ১০টি কার্টন খুলে কে বা কারা মূল্যবান ৬ হাজার মোবাইল সেট নিয়ে গেছে। কার্টনগুলো খুলে দেখা গেছে সেখানে ৫শ’ খেলনা মোবাইল সেট।
ঢাকা কাস্টমস্ এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এসএম এ খায়ের বলেন, গোডাউনে মালামাল আসার পর ফ্লাইট চেকিং করে মালামাল কোথায় কি অবস্থায় রাখা হয় তার সঠিক তথ্য বিমানের এয়ারওয়ে বিলে লেখা থাকার কথা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লেখা থাকলেও সঠিকভাবে ওই মালামাল পাওয়া যায় না। মালামাল খোঁজার জন্য বিমানে কর্তব্যরত অফিসারের শরণাপন্ন হলে তারা আবেদন করার পরামর্শ দেন। হেলপার দিয়ে ওই মাল খুঁজে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও ওই মাল আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ প্রসঙ্গে এয়ারফ্রেইটের জেনারেল ম্যানেজার (আমদানি) একেএম মঞ্জরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার অফিসে গেলে তিনি সংবাদপত্রের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দেন। রুম থেকে বেরিয়ে এসে এই প্রতিবেদকের ভিজিটিং কার্ড ফেরত দিয়ে জেনারেল ম্যানেজার (কার্গো) আলী আহসান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। সিএন্ডএফ এজেন্টদের অভিযোগ রোজা শুরুর পর ২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বিমানের কোনো অফিসারকে আসনে পাওয়া যায় না। তবে তারা জানান, ম্যানেজার থেকে ঊর্ধ্বতন অফিসাররা কার্গো কমপ্লেক্সকে ভালো করার চেষ্টা করলেও শ্রমিক লীগ সমর্থিত সিবিএ নেতাদের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে সবকিছু ভেস্তে যাচ্ছে।
No comments