সবার দৃষ্টি ছয় রাজ্যে
ভোট এগিয়ে আসছে। ব্যবসার সুযোগ বাড়ছে অনেকের। হায়দরাবাদ শহরে গতকাল বিভিন্ন দলের নির্বাচনী ব্যানার ভাঁজ করে রাখছেন এক বিক্রেতা। ছবি: এএফপি |
উত্তর প্রদেশ: ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য এটি। লোকসভায় রাজ্যটির আসনসংখ্যা ৮০। রাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ২০০৯ সালের নির্বাচনে ২৩টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু দলটির জনপ্রিয়তা এখন নিম্নগামী। এসপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), যারা গতবার পেয়েছিল ২০টি আসন। এ রাজ্যে গতবার অপ্রত্যাশিতভাবে ২১টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এখানে ২০০৪ সালের নির্বাচন থেকেই বিজেপির দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছিল ভোটাররা। তবে এবার নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতি ভোটাররা মুখ তুলে তাকাতে পারে।
মহারাষ্ট্র: নির্বাচনী রাজনীতিতে ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহারাষ্ট্র। লোকসভায় এর আসনসংখ্যা ৪৮। গেলবার কংগ্রেস ১৭ এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি আটটি আসন পেয়ে জোটগতভাবে সরকার গঠন করেছিল। শিবসেনা ও বিজেপি পেয়েছিল যথাক্রমে ১১টি ও নয়টি আসন। রাজ্যটিতে শহরের ভোটাররা ক্রমেই বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এবারের ভোটে কংগ্রেস-এনসিপি এবং শিবসেনা-বিজেপি উভয় জোটের মূল আলোকপাত তারাই। পাশাপাশি এএপিও শহুরে ভোটারদের দৃষ্টি কাড়ার আশা করছে।
অন্ধ্র প্রদেশ: অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে দুটি রাজ্য হওয়ায় রাজ্যটির রাজনৈতিক ভূচিত্রই পাল্টে গেছে। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কিরণ রেড্ডির নতুন দল গড়া থেকে শুরু করে আরও অনেক রাজনৈতিক খেলা এবার এই রাজ্যে উপভোগ্য হবে। গতবার অবিভক্ত অন্ধ্রে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ৩১টি আসন। তবে তেলেঙ্গানা আলাদা রাজ্য হয়ে যাওয়ার পর শ্রিমান্ধে মূল লড়াইটা হবে কংগ্রেস নেতা জগমোহন রেড্ডির সঙ্গে তেলেগু দেশম পার্টির এন চন্দ্রবাবু নাইডুর। হার এড়াতে এবার নাইডু বিজেপির সঙ্গে জোট করতে যাচ্ছেন। আর তেলেঙ্গানায় স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও।
পশ্চিমবঙ্গ: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট প্রশ্নে তাঁর নির্বাচনী কার্ড কীভাবে চালেন, সেটা দেখতেই মুখিয়ে আছে সবাই। মমতা এখন নিজেকে সম্ভাব্য কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনে ৪২টির মধ্যে ৩০টির মতো পেয়ে গেলেই তিনি এ ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন বলে সমর্থকদের বিশ্বাস। গতবার তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯টি আসন। গতবার মাত্র নয় আসন পেয়ে দুর্গ হারানো বামপন্থী সিপিএম এবার ঘুরে দাঁড়াবে এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বিহার: ৪০ আসনের রাজ্যটি বিজেপি ও মোদির কাছে উত্তর প্রদেশের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। জাতপাতের সংকট এখানে প্রকট। মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার প্রতিবাদে বিজেপির সঙ্গ ছাড়া জেডি (ইউ) নেতা নীতিশ কুমারকে জবাব দিতে উচ্চবর্ণের লোকজন মোদির পাশে দাঁড়াবে বলে দলটির বিশ্বাস। নীতিশের হিসাব ছিল, মোদিকে ত্যাগ করায় সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী ও মুসলমানেরা তাঁকে সমর্থন দেবে। তবে সে গুড়ে বালি। এখন রাজ্যের আরেক শক্তি লালুপ্রসাদের আরজেডি ও কংগ্রেস জোটের সঙ্গে তাঁকে ভাগাভাগি করে নিতে হবে মুসলিম ভোট।
তামিলনাড়ু: ৩৯ আসনের এই রাজ্যে গত নির্বাচনে ডিএমকে ১৮টি, কংগ্রেস আটটি এবং এআইএডিএমকে নয়টি আসন পেয়েছিল। তবে ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধির বড় ছেলে আলাগিরি বিদ্রোহ করে বসায় সম্ভাবনা বাড়ছে এআইএডিমকে প্রধান জয়ললিতার। যদিও বামদের সঙ্গে তাঁর জোট ভেঙে পড়েছে। সর্বশেষ জরিপ বলছে, জয়ললিতাও খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। বিজেপির সঙ্গে রাজ্যের ছোট কয়েকটি দল জোট বেঁধেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মহারাষ্ট্র: নির্বাচনী রাজনীতিতে ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহারাষ্ট্র। লোকসভায় এর আসনসংখ্যা ৪৮। গেলবার কংগ্রেস ১৭ এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি আটটি আসন পেয়ে জোটগতভাবে সরকার গঠন করেছিল। শিবসেনা ও বিজেপি পেয়েছিল যথাক্রমে ১১টি ও নয়টি আসন। রাজ্যটিতে শহরের ভোটাররা ক্রমেই বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এবারের ভোটে কংগ্রেস-এনসিপি এবং শিবসেনা-বিজেপি উভয় জোটের মূল আলোকপাত তারাই। পাশাপাশি এএপিও শহুরে ভোটারদের দৃষ্টি কাড়ার আশা করছে।
অন্ধ্র প্রদেশ: অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে দুটি রাজ্য হওয়ায় রাজ্যটির রাজনৈতিক ভূচিত্রই পাল্টে গেছে। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কিরণ রেড্ডির নতুন দল গড়া থেকে শুরু করে আরও অনেক রাজনৈতিক খেলা এবার এই রাজ্যে উপভোগ্য হবে। গতবার অবিভক্ত অন্ধ্রে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ৩১টি আসন। তবে তেলেঙ্গানা আলাদা রাজ্য হয়ে যাওয়ার পর শ্রিমান্ধে মূল লড়াইটা হবে কংগ্রেস নেতা জগমোহন রেড্ডির সঙ্গে তেলেগু দেশম পার্টির এন চন্দ্রবাবু নাইডুর। হার এড়াতে এবার নাইডু বিজেপির সঙ্গে জোট করতে যাচ্ছেন। আর তেলেঙ্গানায় স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও।
পশ্চিমবঙ্গ: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট প্রশ্নে তাঁর নির্বাচনী কার্ড কীভাবে চালেন, সেটা দেখতেই মুখিয়ে আছে সবাই। মমতা এখন নিজেকে সম্ভাব্য কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনে ৪২টির মধ্যে ৩০টির মতো পেয়ে গেলেই তিনি এ ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন বলে সমর্থকদের বিশ্বাস। গতবার তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১৯টি আসন। গতবার মাত্র নয় আসন পেয়ে দুর্গ হারানো বামপন্থী সিপিএম এবার ঘুরে দাঁড়াবে এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বিহার: ৪০ আসনের রাজ্যটি বিজেপি ও মোদির কাছে উত্তর প্রদেশের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। জাতপাতের সংকট এখানে প্রকট। মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার প্রতিবাদে বিজেপির সঙ্গ ছাড়া জেডি (ইউ) নেতা নীতিশ কুমারকে জবাব দিতে উচ্চবর্ণের লোকজন মোদির পাশে দাঁড়াবে বলে দলটির বিশ্বাস। নীতিশের হিসাব ছিল, মোদিকে ত্যাগ করায় সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী ও মুসলমানেরা তাঁকে সমর্থন দেবে। তবে সে গুড়ে বালি। এখন রাজ্যের আরেক শক্তি লালুপ্রসাদের আরজেডি ও কংগ্রেস জোটের সঙ্গে তাঁকে ভাগাভাগি করে নিতে হবে মুসলিম ভোট।
তামিলনাড়ু: ৩৯ আসনের এই রাজ্যে গত নির্বাচনে ডিএমকে ১৮টি, কংগ্রেস আটটি এবং এআইএডিএমকে নয়টি আসন পেয়েছিল। তবে ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধির বড় ছেলে আলাগিরি বিদ্রোহ করে বসায় সম্ভাবনা বাড়ছে এআইএডিমকে প্রধান জয়ললিতার। যদিও বামদের সঙ্গে তাঁর জোট ভেঙে পড়েছে। সর্বশেষ জরিপ বলছে, জয়ললিতাও খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। বিজেপির সঙ্গে রাজ্যের ছোট কয়েকটি দল জোট বেঁধেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments