কাদের মোল্লার দণ্ড, আপিল নিষ্পত্তির ৬০ দিন পার
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল নিষ্পত্তির ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস (সংশোধন) আইনের ২১(৪) ধারা অনুসারে আপিল দায়েরের ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই সংশোধনী আনা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—এই বিধানটি বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, ৬০ দিনের মধ্যে শেষ না হলে কী হবে, তা বলা নেই। এটা নির্দেশনামূলক। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আছে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা শুনতে ও রায় দিতে পারবেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে ৩ মার্চ কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাজা বাতিল চেয়ে কাদের মোল্লাকে খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করে আসামিপক্ষ। ইতিমধ্যে আইনে উল্লেখ করা ৬০ দিন সময় পেরিয়ে গেছে।
কাদের মোল্লার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর ১০ দিন শুনানি হয়েছে। আজ সোমবার আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আপিল শুনানির জন্য ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায় ঘোষণার ২৯ দিনের মাথায় ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। এরপর ১৮ এপ্রিল আপিল বিভাগ ২ মে দিন ধার্য করে এই সময়ের পূর্বে উভয়পক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেন। সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে আপিল বিভাগ আসামিপক্ষকে ১৬ মের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিধান অনুযায়ী আপিলের বিষয়ে আসামি সাঈদীকে নোটিশ দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আইনের উল্লেখ করা ৬০ দিন সময়ের ইতিমধ্যে ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে।
কাদের মোল্লার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রধান সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল শুনানি হয়নি। আমরা থাকি, তারা (আসামিপক্ষ) আসে না। তাদের আসা উচিত, অনেকেই আসেন। এটা আর কিছু না, বিলম্ব করার জন্য।’ তিনি বলেন, সাঈদীর আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে বলা হয়েছে। ১৬ মে একটা তারিখ আছে। সাঈদীর ব্যাপারে কারাগারে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
কাদের মোল্লার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রথম থেকেই বলেছি, আইন দ্বারা সর্বোচ্চ আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া যায় না। এটা নির্দেশনামূলক। সর্বোচ্চ আদালত পূর্ণ ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলা নিষ্পত্তিতে ওই সময়সীমা মানতে বাধ্য নন। তিনি মনে করেন, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের ওপর একটা চাপ সৃষ্টির জন্যই এ বিধানটি করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। অন্যান্য অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
এ অবস্থায় ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সংশোধিত আইনে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির বিধানও রাখা হয়। আইনে রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে।
অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। রায়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালিকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, ধর্মান্তরিত করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি।
ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও দণ্ড ঘোষণা না হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে তাঁকে খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন সাঈদী। আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আজ বিষয়টি ১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
৬০ দিনের বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী এম জহির প্রথম আলোকে বলেন, এটা হচ্ছে নির্দেশনামূলক, বাধ্যতামূলক নয়। এ রকম হয়ে থাকে। যদি না হয় তাহলে কী করবে, খালাস পেয়ে যাবে? কী হবে বলা নেই, তাই এটা বাধ্যতামূলক নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে—এই বিধানটি বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, ৬০ দিনের মধ্যে শেষ না হলে কী হবে, তা বলা নেই। এটা নির্দেশনামূলক। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা আছে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা শুনতে ও রায় দিতে পারবেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। পরে ৩ মার্চ কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাজা বাতিল চেয়ে কাদের মোল্লাকে খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করে আসামিপক্ষ। ইতিমধ্যে আইনে উল্লেখ করা ৬০ দিন সময় পেরিয়ে গেছে।
কাদের মোল্লার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর ১০ দিন শুনানি হয়েছে। আজ সোমবার আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আপিল শুনানির জন্য ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায় ঘোষণার ২৯ দিনের মাথায় ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। এরপর ১৮ এপ্রিল আপিল বিভাগ ২ মে দিন ধার্য করে এই সময়ের পূর্বে উভয়পক্ষকে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেন। সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে আপিল বিভাগ আসামিপক্ষকে ১৬ মের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিধান অনুযায়ী আপিলের বিষয়ে আসামি সাঈদীকে নোটিশ দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আইনের উল্লেখ করা ৬০ দিন সময়ের ইতিমধ্যে ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে।
কাদের মোল্লার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রধান সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল শুনানি হয়নি। আমরা থাকি, তারা (আসামিপক্ষ) আসে না। তাদের আসা উচিত, অনেকেই আসেন। এটা আর কিছু না, বিলম্ব করার জন্য।’ তিনি বলেন, সাঈদীর আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে বলা হয়েছে। ১৬ মে একটা তারিখ আছে। সাঈদীর ব্যাপারে কারাগারে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
কাদের মোল্লার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রথম থেকেই বলেছি, আইন দ্বারা সর্বোচ্চ আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া যায় না। এটা নির্দেশনামূলক। সর্বোচ্চ আদালত পূর্ণ ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলা নিষ্পত্তিতে ওই সময়সীমা মানতে বাধ্য নন। তিনি মনে করেন, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের ওপর একটা চাপ সৃষ্টির জন্যই এ বিধানটি করা হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। অন্যান্য অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
এ অবস্থায় ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সংশোধিত আইনে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির বিধানও রাখা হয়। আইনে রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে।
অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। রায়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালিকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, ধর্মান্তরিত করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি।
ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও দণ্ড ঘোষণা না হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে তাঁকে খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন সাঈদী। আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আজ বিষয়টি ১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
৬০ দিনের বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী এম জহির প্রথম আলোকে বলেন, এটা হচ্ছে নির্দেশনামূলক, বাধ্যতামূলক নয়। এ রকম হয়ে থাকে। যদি না হয় তাহলে কী করবে, খালাস পেয়ে যাবে? কী হবে বলা নেই, তাই এটা বাধ্যতামূলক নয়।
No comments