আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য আবেদন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) চেয়ারম্যান মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনিদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তিনি আগামী সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরোধিতার মুখে তিনি এ ঘোষণা দেন।
গত শুক্রবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ দাবি করা আমাদের বৈধ অধিকার।’ এর মধ্যে ওয়াশিংটন বলেছে, ফিলিস্তিনের এ পদক্ষেপ ‘হিতে বিপরীত ফল’ বয়ে আনতে পারে।
রামাল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, তাঁরা নিরাপত্তা পরিষদে যাচ্ছেন। তাঁদের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ, একটি রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘে একটি আসন দরকার।
মাহমুদ আব্বাস জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে ১২০টির বেশি দেশ ফিলিস্তিনের আবেদনের প্রতি সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছে। মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে ২০১০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেওয়া ভাষণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আগামী বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জাতিসংঘে যোগ দিতে পারবে বলে তিনি ওই ভাষণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
পূর্ণ স্বীকৃতির জন্য সাধারণ পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন। তবে এতে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগবে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের আবেদনে তারা ভেটো দেবে।
মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভেটো সম্পর্কে কিছু বলেননি।
আব্বাস ভাষণে নিজেকে শুধু পশ্চিম তীরের জনগণের নয়, গোটা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। যদিও তিনি তাঁর ভাষণে গাজা বা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই বলেননি।
মাহমুদ আব্বাসের ভাষণের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনিরা ‘সুপরিকল্পিতভাবে’ ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা এড়িয়ে চলছে।
হামাসের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজি হামাদ বলেন, মাহমুদ আব্বাসের ভাষণ পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার স্বপ্ন, প্রতিশ্রুতি ও আশাবাদে পরিপূর্ণ। তিনি বলেন, হামাসের কেউ রাষ্ট্রের অধিকারের বিপক্ষে নন। ১৯৬৭ সাল থেকেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন প্রশ্ন হলো, তাঁরা এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন কি না, রাষ্ট্র ঘোষণার পর দখলদারির অবসান ঘটবে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা কি তাঁদের স্বাধীনতা ও মর্যাদা পাবে? এখনো আমাদের কাছে এর কোনো উত্তর নেই।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মার্ক রেগেভ ফিলিস্তিনের এ উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, এটি ১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও পিএলওর মধ্যে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তির লঙ্ঘন।
গত শুক্রবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ দাবি করা আমাদের বৈধ অধিকার।’ এর মধ্যে ওয়াশিংটন বলেছে, ফিলিস্তিনের এ পদক্ষেপ ‘হিতে বিপরীত ফল’ বয়ে আনতে পারে।
রামাল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, তাঁরা নিরাপত্তা পরিষদে যাচ্ছেন। তাঁদের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ, একটি রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘে একটি আসন দরকার।
মাহমুদ আব্বাস জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে ১২০টির বেশি দেশ ফিলিস্তিনের আবেদনের প্রতি সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছে। মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে ২০১০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেওয়া ভাষণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আগামী বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জাতিসংঘে যোগ দিতে পারবে বলে তিনি ওই ভাষণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
পূর্ণ স্বীকৃতির জন্য সাধারণ পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন। তবে এতে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগবে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনের আবেদনে তারা ভেটো দেবে।
মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভেটো সম্পর্কে কিছু বলেননি।
আব্বাস ভাষণে নিজেকে শুধু পশ্চিম তীরের জনগণের নয়, গোটা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। যদিও তিনি তাঁর ভাষণে গাজা বা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই বলেননি।
মাহমুদ আব্বাসের ভাষণের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনিরা ‘সুপরিকল্পিতভাবে’ ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা এড়িয়ে চলছে।
হামাসের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজি হামাদ বলেন, মাহমুদ আব্বাসের ভাষণ পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার স্বপ্ন, প্রতিশ্রুতি ও আশাবাদে পরিপূর্ণ। তিনি বলেন, হামাসের কেউ রাষ্ট্রের অধিকারের বিপক্ষে নন। ১৯৬৭ সাল থেকেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন প্রশ্ন হলো, তাঁরা এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন কি না, রাষ্ট্র ঘোষণার পর দখলদারির অবসান ঘটবে। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা কি তাঁদের স্বাধীনতা ও মর্যাদা পাবে? এখনো আমাদের কাছে এর কোনো উত্তর নেই।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মার্ক রেগেভ ফিলিস্তিনের এ উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, এটি ১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও পিএলওর মধ্যে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তির লঙ্ঘন।
No comments