লড়াই সম্প্রসারিত করতে হবে, তবে যেখানে ইচ্ছা হামলা করা যাবে না
যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসবিরোধী উপদেষ্টা বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে অবশ্যই আফগানিস্তানের মতো ‘উত্তপ্ত’ রণাঙ্গনের বাইরে সম্প্রসারিত করতে হবে। তবে আইনগত বিধিনিষেধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন-তখন বা যেখানে ইচ্ছা সেখানে আক্রমণ করতে পারবে না।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা জন ব্রেনান গত শুক্রবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ স্কুলে বক্তব্য দেন। ব্রেনানের ওই বক্তব্য ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই, বিশেষ করে লড়াইয়ের ভৌগোলিক বিস্তৃতির বৈধতার প্রশ্নকে কেন্দ্র করে।
জন ব্রেনান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এটা মনে করে না যে, আল-কায়েদার বিরুদ্ধে তাদের সামরিক শক্তি প্রয়োগের কর্তৃত্ব শুধু আফগানিস্তান বা এ ধরনের রণাঙ্গনগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যদি কোনো দেশের সরকার নিজেরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছা পোষণ করে বা অক্ষম হয়, তবে অবশ্যই আমরা সেখানে একতরফা পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখি। তবে তার মানে এই নয়, আমরা যখন বা যেখানে ইচ্ছা সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারি।
ব্রেনান বলেন, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং যুদ্ধের নীতিমালাসহ এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির কারণে বিদেশি ভূখণ্ডে একতরফা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের ওপর সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এর আগে প্রশাসনিক এবং কংগ্রেস কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের ধরনের বৈধতা নিয়ে ওবামা প্রশাসন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। পত্রিকাটির মতে, বর্তমানের শীর্ষস্থানীয় আল-কায়েদা নেতা থেকে হাজার হাজার সাধারণ পদাতিক জঙ্গির বিরুদ্ধে চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা কমান্ডো অভিযান কোন মাত্রায় তীব্রতর করা যেতে পারে, তা-ই তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু। শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ আলোচনা ভবিষ্যৎ সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের জন্য জরুরি।
অন্যদিকেওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে গত শুক্রবার বলা হয়েছে, ওবামা প্রশাসন ইয়েমেনে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে চালকবিহীন বিমান হামলা এবং অন্য ধরনের বিমান হামলার পরিধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছু হামলার লক্ষ্যবস্তু দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে, যেখানে জঙ্গিরা প্রথমবারের মতো এলাকা দখল করেছে। সেনাবাহিনীর জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড এ অভিযানগুলো চালাচ্ছে। পত্রিকাটির মতে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশ থাকায় পাকিস্তানে ইচ্ছামতো চালকবিহীন বিমান হামলা পরিচালনা করতে পারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। কিন্তু ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় প্রতিটি হামলার আগে হোয়াইট হাউসের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
ব্রেনান সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিচার প্রচলিত আদালতের বদলে সামরিক আদালতে পরিচালনার ব্যাপারে কিছু আইনপ্রণেতার আহ্বানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মার্কিন আদালত ও জনগণ এটি প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা জন ব্রেনান গত শুক্রবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ স্কুলে বক্তব্য দেন। ব্রেনানের ওই বক্তব্য ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই, বিশেষ করে লড়াইয়ের ভৌগোলিক বিস্তৃতির বৈধতার প্রশ্নকে কেন্দ্র করে।
জন ব্রেনান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এটা মনে করে না যে, আল-কায়েদার বিরুদ্ধে তাদের সামরিক শক্তি প্রয়োগের কর্তৃত্ব শুধু আফগানিস্তান বা এ ধরনের রণাঙ্গনগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যদি কোনো দেশের সরকার নিজেরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছা পোষণ করে বা অক্ষম হয়, তবে অবশ্যই আমরা সেখানে একতরফা পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখি। তবে তার মানে এই নয়, আমরা যখন বা যেখানে ইচ্ছা সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারি।
ব্রেনান বলেন, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং যুদ্ধের নীতিমালাসহ এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির কারণে বিদেশি ভূখণ্ডে একতরফা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের ওপর সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এর আগে প্রশাসনিক এবং কংগ্রেস কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছিল, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের ধরনের বৈধতা নিয়ে ওবামা প্রশাসন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। পত্রিকাটির মতে, বর্তমানের শীর্ষস্থানীয় আল-কায়েদা নেতা থেকে হাজার হাজার সাধারণ পদাতিক জঙ্গির বিরুদ্ধে চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা কমান্ডো অভিযান কোন মাত্রায় তীব্রতর করা যেতে পারে, তা-ই তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু। শীর্ষ কর্মকর্তাদের এ আলোচনা ভবিষ্যৎ সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের জন্য জরুরি।
অন্যদিকেওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে গত শুক্রবার বলা হয়েছে, ওবামা প্রশাসন ইয়েমেনে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে চালকবিহীন বিমান হামলা এবং অন্য ধরনের বিমান হামলার পরিধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। কিছু হামলার লক্ষ্যবস্তু দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে, যেখানে জঙ্গিরা প্রথমবারের মতো এলাকা দখল করেছে। সেনাবাহিনীর জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড এ অভিযানগুলো চালাচ্ছে। পত্রিকাটির মতে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশ থাকায় পাকিস্তানে ইচ্ছামতো চালকবিহীন বিমান হামলা পরিচালনা করতে পারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। কিন্তু ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় প্রতিটি হামলার আগে হোয়াইট হাউসের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
ব্রেনান সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিচার প্রচলিত আদালতের বদলে সামরিক আদালতে পরিচালনার ব্যাপারে কিছু আইনপ্রণেতার আহ্বানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মার্কিন আদালত ও জনগণ এটি প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
No comments