এশিয়া অঞ্চলে সামরিক কৌশল পুনর্বিন্যাস করছে যুক্তরাষ্ট্র
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত সামরিক শক্তি পুনর্বিন্যাসের পদক্ষেপকে জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে মার্কিন সামরিক বাহিনী এ অঞ্চলে আরও বিমানশক্তি, স্থলসেনা এবং উচ্চপ্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল এসব কথা জানিয়েছেন।
হেগেল গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন। ‘সাংগ্রি-লা সিকিউরিটি ডায়ালগ’ নামের ওই সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি সাইবার হামলার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেন। অন্যদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এশিয়ার দেশগুলোকে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করা রুখতে হবে।
সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান হেগেল। তিনি তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও সহযোগী দেশগুলোকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার কৌশলগত প্রাধান্য অব্যাহত রাখতে পরিপূর্ণভাবে সক্ষম। হেগেল বলেন, ‘আমাদের পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি টিকবে না এমনটি ভাবা অদূরদর্শী হবে।’ এ যুক্তির পক্ষে তিনি বলেন, চরম বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।
হেগেল এ অঞ্চলের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যাসংকুল বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের প্রচেষ্টা, চীনের চারপাশের সাগরগুলোতে অবস্থিত দ্বীপ ও জলসীমার দাবি নিয়ে উত্তেজনা এবং মহাকাশ ও সাইবার জগতে অনভিপ্রেত কর্মকাণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কম্পিউটার পদ্ধতিতে সাইবার হামলার জন্য আগে থেকেই চীনের সরকার ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছোড়া হচ্ছে। তবে এর আগে সরাসরি চীনকে দোষারোপ না করে আকার-ইঙ্গিতে তা বোঝানো হচ্ছিল। কিন্তু হেগেল অনেকটা সরাসরি চীনের দিকে আঙুল তুলেছেন। সাইবার হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের জন্য ভয়ংকর বিপদ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব হামলার মধ্যে বেশ কিছুর সঙ্গে চীনা সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন গণমাধ্যম পেন্টাগনের একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে দেখা যায়, চীনা হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অস্ত্র কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশ করেছে। সাইবার হামলা নিয়ে প্রায়ই উভয় দেশ একে অপরকে অভিযুক্ত করে থাকে।
অবশ্য সাইবার হামলার ঘটনায় চীনকে তিরস্কার করলেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক থাকা দরকার বলেও উল্লেখ করেছেন হেগেল।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সবার কণ্ঠেই ছিল অনেকটা একই সুর। তাঁরা বলেছেন, সামরিক খাতে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রুখতে হবে।
চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
হেগেল গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন। ‘সাংগ্রি-লা সিকিউরিটি ডায়ালগ’ নামের ওই সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি সাইবার হামলার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেন। অন্যদিকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এশিয়ার দেশগুলোকে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করা রুখতে হবে।
সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান হেগেল। তিনি তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও সহযোগী দেশগুলোকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার কৌশলগত প্রাধান্য অব্যাহত রাখতে পরিপূর্ণভাবে সক্ষম। হেগেল বলেন, ‘আমাদের পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি টিকবে না এমনটি ভাবা অদূরদর্শী হবে।’ এ যুক্তির পক্ষে তিনি বলেন, চরম বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।
হেগেল এ অঞ্চলের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বেশ কিছু সমস্যাসংকুল বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের প্রচেষ্টা, চীনের চারপাশের সাগরগুলোতে অবস্থিত দ্বীপ ও জলসীমার দাবি নিয়ে উত্তেজনা এবং মহাকাশ ও সাইবার জগতে অনভিপ্রেত কর্মকাণ্ড।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কম্পিউটার পদ্ধতিতে সাইবার হামলার জন্য আগে থেকেই চীনের সরকার ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছোড়া হচ্ছে। তবে এর আগে সরাসরি চীনকে দোষারোপ না করে আকার-ইঙ্গিতে তা বোঝানো হচ্ছিল। কিন্তু হেগেল অনেকটা সরাসরি চীনের দিকে আঙুল তুলেছেন। সাইবার হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের জন্য ভয়ংকর বিপদ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব হামলার মধ্যে বেশ কিছুর সঙ্গে চীনা সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন গণমাধ্যম পেন্টাগনের একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে দেখা যায়, চীনা হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অস্ত্র কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশ করেছে। সাইবার হামলা নিয়ে প্রায়ই উভয় দেশ একে অপরকে অভিযুক্ত করে থাকে।
অবশ্য সাইবার হামলার ঘটনায় চীনকে তিরস্কার করলেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক থাকা দরকার বলেও উল্লেখ করেছেন হেগেল।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সবার কণ্ঠেই ছিল অনেকটা একই সুর। তাঁরা বলেছেন, সামরিক খাতে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রুখতে হবে।
চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
No comments