অ্যালকোহলের কারণে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকিতে
যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎ সাবিজ্ঞানী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সেখানে হাজার হাজার মানুষ অ্যালকোহল সেবনজনিত মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের বদভ্যাস থেকে জনগণকে ফেরানো না গেলে আগামী দুই দশকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এ কারণে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখে পৌঁছে যাবে। তাঁদের অভিযোগ, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকার জনস্বাস্থ্য নয়, বরং মদ ব্যবসায়ীদের মুনাফা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছে। দি ল্যানসেট নামের স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকীতে গত সোমবার তাদের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানসের সাবেক সভাপতি ইয়ান গিলমোর, সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিক শেরন ও নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস হ্যাওকি এ গবেষণা চালিয়েছেন।
গবেষকেরা বলেছেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা বেড়ে গেছে। ১৯৮০-এর দশকে প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে ৪ দশমিক ৯ জন অ্যালকোহল সেবনজনিত রোগে ভুগে মারা গেছে। এখন সেই হার ১১ দশমিক ৪ জনে এসে পৌঁছেছে। এর জন্য তাঁরা অ্যালকোহলের সহজলভ্যতা ও নজরদারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০-এর দশকে ফ্রান্সে অতিরিক্ত মদ্যপান জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে বহু লোক ক্যানসারসহ যকৃৎ ও পাকস্থলীর প্রদাহজনিত রোগে মারা যায়। এ ছাড়া মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণও বেড়ে যায়। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সরকার সে সময় মানহীন সস্তা মদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি সাধারণ মদের ওপর বাড়তি কর আরোপ করে। দাম বেড়ে যাওয়ায় অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা কমে যায়।
গবেষকেরা বলেছেন, যুক্তরাজ্য এ সংকট থেকে বাঁচতে ফ্রান্সের নীতি অনুসরণ করতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা অ্যালকোহল সেবনকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখতে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিচ্ছে। অন্যদিকে, অ্যালকোহল উৎ পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, তারাও অ্যালকোহলের অপব্যবহার ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
গবেষক দলের প্রধান ইয়ান গিলমোর বলেছেন, সাবান বা পাউডারের মতো অ্যালকোহল কোনো নিত্যপণ্য নয়। এটি একটি মাদক। ফলে এটির অপব্যবহার ঠেকাতে অবশ্যই সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তবে, মদ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ওয়াইন অ্যান্ড স্পিরিট ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পুরো ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অ্যালকোহল ব্যবসায়ীরাই যে সরকারকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দেন, সে বিষয়টি গবেষকেরা এড়িয়ে গেছেন।
রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানসের সাবেক সভাপতি ইয়ান গিলমোর, সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিক শেরন ও নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস হ্যাওকি এ গবেষণা চালিয়েছেন।
গবেষকেরা বলেছেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা বেড়ে গেছে। ১৯৮০-এর দশকে প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে ৪ দশমিক ৯ জন অ্যালকোহল সেবনজনিত রোগে ভুগে মারা গেছে। এখন সেই হার ১১ দশমিক ৪ জনে এসে পৌঁছেছে। এর জন্য তাঁরা অ্যালকোহলের সহজলভ্যতা ও নজরদারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০-এর দশকে ফ্রান্সে অতিরিক্ত মদ্যপান জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে বহু লোক ক্যানসারসহ যকৃৎ ও পাকস্থলীর প্রদাহজনিত রোগে মারা যায়। এ ছাড়া মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণও বেড়ে যায়। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সরকার সে সময় মানহীন সস্তা মদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি সাধারণ মদের ওপর বাড়তি কর আরোপ করে। দাম বেড়ে যাওয়ায় অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা কমে যায়।
গবেষকেরা বলেছেন, যুক্তরাজ্য এ সংকট থেকে বাঁচতে ফ্রান্সের নীতি অনুসরণ করতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা অ্যালকোহল সেবনকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখতে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিচ্ছে। অন্যদিকে, অ্যালকোহল উৎ পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, তারাও অ্যালকোহলের অপব্যবহার ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
গবেষক দলের প্রধান ইয়ান গিলমোর বলেছেন, সাবান বা পাউডারের মতো অ্যালকোহল কোনো নিত্যপণ্য নয়। এটি একটি মাদক। ফলে এটির অপব্যবহার ঠেকাতে অবশ্যই সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তবে, মদ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ওয়াইন অ্যান্ড স্পিরিট ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পুরো ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অ্যালকোহল ব্যবসায়ীরাই যে সরকারকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দেন, সে বিষয়টি গবেষকেরা এড়িয়ে গেছেন।
No comments