ভোটে হারলেই ক্ষমতা ছাড়বেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। ভোটে হেরে গেলে তিনি পদত্যাগ করবেন। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে প্রেসিডেন্ট সালেহর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। গতকালও পুলিশের গুলিতে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, ‘তারা (বিক্ষোভকারীরা) আমাকে সরাতে চাইলে নির্বাচনের মাধ্যমে সরাতে হবে। নির্বাচনে হারলেই আমি পদত্যাগ করব।’ তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছে, যার অনেকই অবৈধ। সালেহ আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ ‘নতুন কিছু’ নয়। বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিরোধীদলীয় এমপি, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ গতকাল ব্যাপক বিক্ষোভ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের চারদিকে ঘিরে রাখে। ‘জনতা পরিবর্তন চায়’, ‘জনগণ বর্তমান শাসনের অবসান চায়’, ‘চলে যাও, সালেহ’ প্রভৃতি স্ল্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
পার্লামেন্টের বিরোধী জোট দ্য কমন ফোরাম বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, তারা সব দল, বিশেষত তরুণদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তাদের এই বিক্ষোভ প্রেসিডেন্ট সালেহর নিপীড়ন, জুলুম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এর আগে জাতীয় মতৈক্যের সরকার গঠনে প্রেসিডেন্ট সালেহর আহ্বান নাকচ করে দেয় বিরোধী জোট।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এডেনে গতকাল পুলিশের গুলিতে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এ নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দেশটিতে নিহত লোকের সংখ্যা ১২-তে দাঁড়াল। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত সাত সেনাসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
এডেন শহরে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে আলী আল খালাকি নামের একজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। অন্য চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল দেশটির ধর্মীয় নেতারা এক বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগকে ‘অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে জনগণের প্রতি নির্যাতন ও গ্রেপ্তার বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। শেখ আবদুল মাজিদ জিনদানির নেতৃত্বে ধর্মীয় নেতারা এই বিবৃতি দেন। উল্লেখ্য, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র শেখ জিনদানির নাম কালো তালিকভুক্ত করেছে।
সর্বশেষ ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে সাত বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলী আবদুল্লাহ সালেহ। এর আগে তিনি ঘোষণা করেন, মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি নন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট সালেহর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। গতকালও পুলিশের গুলিতে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সালেহ বলেন, ‘তারা (বিক্ষোভকারীরা) আমাকে সরাতে চাইলে নির্বাচনের মাধ্যমে সরাতে হবে। নির্বাচনে হারলেই আমি পদত্যাগ করব।’ তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছে, যার অনেকই অবৈধ। সালেহ আরও বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ ‘নতুন কিছু’ নয়। বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিরোধীদলীয় এমপি, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ গতকাল ব্যাপক বিক্ষোভ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের চারদিকে ঘিরে রাখে। ‘জনতা পরিবর্তন চায়’, ‘জনগণ বর্তমান শাসনের অবসান চায়’, ‘চলে যাও, সালেহ’ প্রভৃতি স্ল্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
পার্লামেন্টের বিরোধী জোট দ্য কমন ফোরাম বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, তারা সব দল, বিশেষত তরুণদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তাদের এই বিক্ষোভ প্রেসিডেন্ট সালেহর নিপীড়ন, জুলুম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এর আগে জাতীয় মতৈক্যের সরকার গঠনে প্রেসিডেন্ট সালেহর আহ্বান নাকচ করে দেয় বিরোধী জোট।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এডেনে গতকাল পুলিশের গুলিতে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এ নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দেশটিতে নিহত লোকের সংখ্যা ১২-তে দাঁড়াল। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত সাত সেনাসহ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
এডেন শহরে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে আলী আল খালাকি নামের একজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। অন্য চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল দেশটির ধর্মীয় নেতারা এক বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগকে ‘অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে জনগণের প্রতি নির্যাতন ও গ্রেপ্তার বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। শেখ আবদুল মাজিদ জিনদানির নেতৃত্বে ধর্মীয় নেতারা এই বিবৃতি দেন। উল্লেখ্য, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র শেখ জিনদানির নাম কালো তালিকভুক্ত করেছে।
সর্বশেষ ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে সাত বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলী আবদুল্লাহ সালেহ। এর আগে তিনি ঘোষণা করেন, মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগে তিনি পদত্যাগ করতে রাজি নন।
No comments