ডেনমার্ক না ভারতে হামলা—এই নিয়ে বিভক্ত লস্কর
লস্কর-ই-তাইয়েবা ভারতে মুম্বাই হামলার মতো আরেকটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার দুই সদস্য ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানি ও তাহায়ুর হোসেইন রানাকে ইলিনয়ের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) এমন তথ্যই উপস্থাপন করেছে।
এফবিআইয়ের ভাষ্যমতে, ভারতে হামলার ব্যাপারে লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতৃত্বের সঙ্গে হেডলি ওরফে দাউদ ও রানার মতানৈক্য দেখা দেয়। যার ফলে ভারতে মুম্বাই হামলার মতো আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটতে পারেনি। এফবিআই সংগঠনটির এক সদস্যকে ‘এ’ নামে চিহ্নিত করে আদালতে বলে, ওই সদস্য এই দুজনকে ভারতে হামলার ব্যাপারে উত্সাহিত করেন। কিন্তু হেডলি ওরফে দাউদ ও রানা ২০০৫ সালে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গ কার্টুন এঁকে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলা ডেনমার্কের পত্রিকাটির কার্যালয়ে হামলা চালাতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এফবিআই তাদের তদন্তে দেখেছে, তাঁরা দুজন হুজির কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মীরির সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
এফবিআই আরও জানায়, এক সময় লস্কর-ই-তাইয়েবা ডেনিশ ওই পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা চালানোর বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কিন্তু পরে তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ভারতে হামলা চালানোর বিষয়টি তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখে। এতে হতাশ হন হেডলি ওরফে দাউদ ও রানা; তবে তাঁরা ডেনিশ পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে পিছপা হননি।
এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট লরেঞ্জো বেনেডিক্ট ইলিনয়ের আদালতে বলেন, ২০০৯ সালের জুলাই ও আগস্টে হেডলি ওরফে দাউদ লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য ‘এ’-এর সঙ্গে অনেকগুলো ই-মেইল আদান-প্রদান করেন। যেখানে ‘এ’ হেডলি ওরফে দাউদকে জানান, ডেনিশ প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়েছে। ‘এ’ তাঁকে ভারতে গিয়ে সম্ভাব্য হামলার স্থানগুলো দেখে আসার নির্দেশ দেন। এসব ই-মেইলই প্রমাণ করে, ‘এ’ হেডলি ওরফে দাউদকে ডেনমার্কের পত্রিকার কার্যালয়ের চেয়ে ভারতে হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিলেন।
‘এ’-এর এই মনোভাব পরিবর্তনের বিষয়টি তাঁকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখে হেডলি ওরফে দাউদের পাঠানো এক ই-মেইলেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওই ই-মেইলে হেডলি ওরফে দাউদ বলেন, ‘আমাকে আপনার কত দিনের জন্য দরকার? মানে ভারতীয় প্রকল্প শেষ করার জন্য কত দিন সময় দেওয়া হবে আমাকে? এটা (ভারতে হামলা) কি আসলেই বেশি জরুরি? আমার মনে হয়, এটার চেয়ে ডেনিশ প্রকল্প অনেক বেশি জরুরি।’
এফবিআই জানায়, তবে ‘এ’-এর এমন মনোভাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হেডলি ওরফে দাউদ। তিনি কোপেনহেগেনে যান এবং রানার সহায়তায় ইউরোপের অন্যান্য জায়গাও পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া আগস্টের ১১ তারিখে ‘এ’ হেডলি ওরফে দাউদকে লেখেন, ‘এ হামলা (ভারতে হামলা) সফল করতে তোমার গায়ের রং আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করবে। আমারটা এ ব্যাপারে আমাকে ততটা সহায়তা করবে না...।
এফবিআইয়ের ভাষ্যমতে, ভারতে হামলার ব্যাপারে লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতৃত্বের সঙ্গে হেডলি ওরফে দাউদ ও রানার মতানৈক্য দেখা দেয়। যার ফলে ভারতে মুম্বাই হামলার মতো আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটতে পারেনি। এফবিআই সংগঠনটির এক সদস্যকে ‘এ’ নামে চিহ্নিত করে আদালতে বলে, ওই সদস্য এই দুজনকে ভারতে হামলার ব্যাপারে উত্সাহিত করেন। কিন্তু হেডলি ওরফে দাউদ ও রানা ২০০৫ সালে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গ কার্টুন এঁকে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলা ডেনমার্কের পত্রিকাটির কার্যালয়ে হামলা চালাতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এফবিআই তাদের তদন্তে দেখেছে, তাঁরা দুজন হুজির কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মীরির সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
এফবিআই আরও জানায়, এক সময় লস্কর-ই-তাইয়েবা ডেনিশ ওই পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা চালানোর বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কিন্তু পরে তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ভারতে হামলা চালানোর বিষয়টি তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখে। এতে হতাশ হন হেডলি ওরফে দাউদ ও রানা; তবে তাঁরা ডেনিশ পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে পিছপা হননি।
এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট লরেঞ্জো বেনেডিক্ট ইলিনয়ের আদালতে বলেন, ২০০৯ সালের জুলাই ও আগস্টে হেডলি ওরফে দাউদ লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য ‘এ’-এর সঙ্গে অনেকগুলো ই-মেইল আদান-প্রদান করেন। যেখানে ‘এ’ হেডলি ওরফে দাউদকে জানান, ডেনিশ প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়েছে। ‘এ’ তাঁকে ভারতে গিয়ে সম্ভাব্য হামলার স্থানগুলো দেখে আসার নির্দেশ দেন। এসব ই-মেইলই প্রমাণ করে, ‘এ’ হেডলি ওরফে দাউদকে ডেনমার্কের পত্রিকার কার্যালয়ের চেয়ে ভারতে হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিলেন।
‘এ’-এর এই মনোভাব পরিবর্তনের বিষয়টি তাঁকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখে হেডলি ওরফে দাউদের পাঠানো এক ই-মেইলেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওই ই-মেইলে হেডলি ওরফে দাউদ বলেন, ‘আমাকে আপনার কত দিনের জন্য দরকার? মানে ভারতীয় প্রকল্প শেষ করার জন্য কত দিন সময় দেওয়া হবে আমাকে? এটা (ভারতে হামলা) কি আসলেই বেশি জরুরি? আমার মনে হয়, এটার চেয়ে ডেনিশ প্রকল্প অনেক বেশি জরুরি।’
এফবিআই জানায়, তবে ‘এ’-এর এমন মনোভাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হেডলি ওরফে দাউদ। তিনি কোপেনহেগেনে যান এবং রানার সহায়তায় ইউরোপের অন্যান্য জায়গাও পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া আগস্টের ১১ তারিখে ‘এ’ হেডলি ওরফে দাউদকে লেখেন, ‘এ হামলা (ভারতে হামলা) সফল করতে তোমার গায়ের রং আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করবে। আমারটা এ ব্যাপারে আমাকে ততটা সহায়তা করবে না...।
No comments