পরমাণু-সংকট নিয়ে ইরানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের
পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চলমান সংকট নিরসনে ইরানের দেওয়া গুচ্ছ (প্যাকেজ) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ফিলিপ ক্রাউলি জানিয়েছেন, নতুন এই প্রস্তাবে নিজের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুই জানায়নি ইরান। তবে রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলেন, ইরানের প্রস্তাবে আলোচনা করার মতো কিছু বিষয় তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন। গত বুধবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানোশের মোত্তাকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন ও জার্মানির প্রতিনিধির কাছে নতুন এই প্যাকেজ প্রস্তাব হস্তান্তর করেন। খবর বিবিসি অনলাইনের।
বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মূল উদ্বেগের বিষয় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। কিন্তু সে বিষয়ে ওই প্রস্তাবে কিছু বলা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ইরানকে প্রমাণ করতে হবে, যে প্রতিশ্রুতি তারা করেছিল তা পূরণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরান তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করুক, কারণ তাদের আশঙ্কা এর মাধ্যমে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহকারী মোজতবা সামারেহ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে বলেছিলেন, তাঁর দেশ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে না। তবে পরমাণু অস্ত্র নির্মূলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে তাঁরা আগ্রহী। এ ছাড়া ইরান বরাবর বলে আসছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বেসামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য।
এদিকে ইরানের নতুন প্রস্তাব সম্পর্কে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘এই প্রস্তাবে আলোচনার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে একটি সমন্বিত আলোচনায় আগ্রহী ইরান।’ ইরানের তেল বাণিজ্যের ওপর অবরোধ আরোপ করা হবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। লাভরভ বলেন, ‘তেল বাণিজ্যসহ একটি সার্বিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব সমর্থন পাবে না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এর আগে ইরানকে সতর্ক করেছিলেন, পরমাণু-সংকট নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি না হলে ইরানের ওপর নতুন অবরোধ চাপানো হবে।
মস্কো থেকে বিবিসির সাংবাদিক ব্রিজেট কেন্ডাল মন্তব্য করেন, পরিস্থিতির বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, ইরান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার মধ্যে দূরত্ব থেকেই যাচ্ছে। ফলে এ সংকট নিয়ে ছয়টি রাষ্ট্রের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা সহজ হবে না।
বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মূল উদ্বেগের বিষয় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। কিন্তু সে বিষয়ে ওই প্রস্তাবে কিছু বলা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ইরানকে প্রমাণ করতে হবে, যে প্রতিশ্রুতি তারা করেছিল তা পূরণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরান তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করুক, কারণ তাদের আশঙ্কা এর মাধ্যমে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহকারী মোজতবা সামারেহ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাকে বলেছিলেন, তাঁর দেশ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে না। তবে পরমাণু অস্ত্র নির্মূলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে তাঁরা আগ্রহী। এ ছাড়া ইরান বরাবর বলে আসছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বেসামরিক খাতে ব্যবহারের জন্য।
এদিকে ইরানের নতুন প্রস্তাব সম্পর্কে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘এই প্রস্তাবে আলোচনার জন্য কিছু বিষয় রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে একটি সমন্বিত আলোচনায় আগ্রহী ইরান।’ ইরানের তেল বাণিজ্যের ওপর অবরোধ আরোপ করা হবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। লাভরভ বলেন, ‘তেল বাণিজ্যসহ একটি সার্বিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব সমর্থন পাবে না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এর আগে ইরানকে সতর্ক করেছিলেন, পরমাণু-সংকট নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি না হলে ইরানের ওপর নতুন অবরোধ চাপানো হবে।
মস্কো থেকে বিবিসির সাংবাদিক ব্রিজেট কেন্ডাল মন্তব্য করেন, পরিস্থিতির বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, ইরান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার মধ্যে দূরত্ব থেকেই যাচ্ছে। ফলে এ সংকট নিয়ে ছয়টি রাষ্ট্রের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা সহজ হবে না।
No comments