অর্থবছরের প্রথম মাসে এডিপির মাত্র ২ শতাংশ বাস্তবায়ন
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের জন্য মোট বরাদ্দের ৭ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে। কিন্তু এই মাসে এডিপি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে মোট বরাদ্দের মাত্র ২ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই মাসে এডিপি বাবদ ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অথচ একই সময়ে ছাড় করা হয়েছে এক হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
অবশ্য এডিপি বাস্তবায়নের এই হার গত তিন অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ২০০৮-০৯, ২০০৭-০৮ ও ২০০৬-০৭ এই তিন অর্থবছরের প্রতিটির প্রথম মাসে মোট এডিপি বরাদ্দের মাত্র ১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল।
সরকার যে উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনতে পারেনি, ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিরাট এডিপির বিপরীতে এক মাসে মাত্র ২ শতাংশ বাস্তবায়ন হওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, প্রতি অর্থবছরই প্রথম দিকে বা প্রথম প্রান্তিকে এডিপির বাস্তবায়নের হার খুব অল্প ও গতি খুব শ্লথ থাকে। সে বিবেচনায় এবারও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
কিন্তু অনেকে এ-ও বলছেন, গতানুগতিক এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বছরের শেষদিকে তাড়াহুড়ো করে অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে অপচয় বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন সব সময়েই দুর্বল; এবারের বিশেষ ভয় হলো—এটি এতই উচ্চাভিলাষী যে ব্যর্থতার আশঙ্কা ব্যাপক। তাই শুরু থেকেই পরিবীক্ষণ, দেখাশোনা ও মূল্যায়নে জোর দিতে হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে অর্ধেক এডিপি বাবদ একটি টাকাও খরচ করতে পারেনি।
চলতি অর্থবছর এডিপিতে ৮৮৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছর ছিল ৯০৪টি।
আর গত অর্থবছর সংশোধিত এডিপির আয়তন ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যা মোট বরাদ্দের ৮৬ শতাংশ।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অর্থবছরের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে এই সরকার এসে তা কমিয়ে আনে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই মাসে এডিপি বাবদ ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অথচ একই সময়ে ছাড় করা হয়েছে এক হাজার ২০৫ কোটি টাকা।
অবশ্য এডিপি বাস্তবায়নের এই হার গত তিন অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ২০০৮-০৯, ২০০৭-০৮ ও ২০০৬-০৭ এই তিন অর্থবছরের প্রতিটির প্রথম মাসে মোট এডিপি বরাদ্দের মাত্র ১ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছিল।
সরকার যে উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনতে পারেনি, ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিরাট এডিপির বিপরীতে এক মাসে মাত্র ২ শতাংশ বাস্তবায়ন হওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, প্রতি অর্থবছরই প্রথম দিকে বা প্রথম প্রান্তিকে এডিপির বাস্তবায়নের হার খুব অল্প ও গতি খুব শ্লথ থাকে। সে বিবেচনায় এবারও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
কিন্তু অনেকে এ-ও বলছেন, গতানুগতিক এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বছরের শেষদিকে তাড়াহুড়ো করে অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে অপচয় বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন সব সময়েই দুর্বল; এবারের বিশেষ ভয় হলো—এটি এতই উচ্চাভিলাষী যে ব্যর্থতার আশঙ্কা ব্যাপক। তাই শুরু থেকেই পরিবীক্ষণ, দেখাশোনা ও মূল্যায়নে জোর দিতে হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ৪৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে অর্ধেক এডিপি বাবদ একটি টাকাও খরচ করতে পারেনি।
চলতি অর্থবছর এডিপিতে ৮৮৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছর ছিল ৯০৪টি।
আর গত অর্থবছর সংশোধিত এডিপির আয়তন ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যা মোট বরাদ্দের ৮৬ শতাংশ।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অর্থবছরের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে এই সরকার এসে তা কমিয়ে আনে।
No comments