মিয়ানমারের আফিম চাষ ১০ বছরে সর্বোচ্চ উল্লম্ফন: জাতিসংঘের সতর্কর্তা
জরিপে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ সালে পপি চাষের জমি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লেও প্রতি হেক্টরে আফিম উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে। ইউএনওডিসি বলছে, তীব্র সংঘাত, অনিরাপত্তা ও বাস্তুচ্যুতির কারণে কৃষকরা ঠিকমতো চাষ করতে পারছেন না। ফলে ফলন কম হচ্ছে। এদিকে মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষকরা আবার পপি চাষে মনোযোগী হচ্ছেন। ২০১৯ সালে ১ কেজি কাঁচা আফিমের দাম ছিল ১৪৫ ডলার। বর্তমানে যার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২৯ ডলারে। অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বর্ধিত বাজারমূল্য ও জীবিকার সংকটে কৃষকদের বড় অংশ আবার পপি চাষে ঝুঁকছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়ানমার-উৎপাদিত হেরোইনের প্রবাহ বাড়ছে। ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে হেরোইন সরবরাহ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়ানমারের হেরোইন দ্রুত প্রবেশ করছে। এমনকি ২০২৪ ও ২০২৫ সালের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-এ বাণিজ্যিক বিমানের যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৬০ কেজি মিয়ানমার-উৎপাদিত হেরোইন জব্দ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই নতুন সরবরাহ অঞ্চল বৈশ্বিক মাদকবাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বলা হচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এই মাদক চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা। ডেলফিন শান্টজ বলেন, নিরবচ্ছিন্ন সংঘাত, বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং মূল্যবৃদ্ধির লোভ- সব মিলিয়ে কৃষকরা পপি চাষে আকৃষ্ট হচ্ছেন। গত বছরের বৃদ্ধি মিয়ানমারের ভবিষ্যতের জন্য গভীর প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি শুধু অঞ্চলই নয়, বৈশ্বিক মাদকবাজারকেও প্রভাবিত করবে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে এখনই জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

No comments