ট্রাম্পকে কি আর জেলে যেতে হবে
ট্রাম্পের জন্য এটি অভূতপূর্ব একটি অবস্থা। তাঁর আগে ফৌজদারি অভিযোগ মাথায় নিয়ে কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। এমনকি গত বছরের আগপর্যন্ত সাবেক কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হননি।
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এর আগে একাধিকবার বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে যে মামলা হয়েছে এবং গোপন নথি অব্যবস্থাপনার জন্য যে অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি এসব মামলার সমাপ্তি টানবেন। এ ছাড়া কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর।
গত মঙ্গলবার মার্কিন নির্বাচনের পর রাত থেকেই ট্রাম্পের পক্ষে ফল আসতে শুরু করে। এরপর গতকাল বুধবার কৌঁসুলি স্মিথ যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে ট্রাম্পের মামলাগুলো কীভাবে দ্রুত শেষ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একটি সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের লয়োলা ল স্কুলের সংবিধানিক আইন বিষয়ের অধ্যাপক জেসিকা লেভিনসন বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মামলাগুলোর কার্যক্রম যতটা সম্ভব দেরি করার চেষ্টা চালানো হয়। ওই চেষ্টা যে দারুণ কাজে লেগেছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এর মধ্যেই নিউইয়র্কের একজন বিচারক ট্রাম্পের মামলার ঘোষণার জন্য আগামী মাসে দিন ধার্য রেখেছেন। নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে নির্বাচনের আগে এ মামলার রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এখন বিচারককে ওই সাজা ঘোষণা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করতে পারেন। কারণ, ট্রাম্প ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে গেছেন। ট্রাম্প অবশ্য এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন।
নিউইয়র্কের আদালতে এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাঁর সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প। ব্যবসায়িক তথ্য নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়।
আগামী ২৬ নভেম্বর ওই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আদালত ওই সাজা ঘোষণা করবেন কি না, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন থেকে গেছে। ট্রাম্পের আইনি দল চেষ্টা করছে, আদালত যেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করতে না পারেন। এর আগে এ মামলা যতটা সম্ভব বিলম্বিত করার চেষ্টা চালান আইনজীবীরা। এখন ট্রাম্পের আইনি দলের কৌশলের সঙ্গে পরিচিত এক সূত্র বলেছে, পুরো মামলা এখন বাতিল করার চেষ্টা করতে পারেন আইনজীবীরা।
ট্রাম্পের অ্যাটর্নিরা আদালতের কাছে আবেদন করবেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পেরও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের মতোই সাংবিধানিক সুরক্ষা রয়েছে। তাই রাষ্ট্রীয় আইনজীবীর কোনো পদক্ষেপ থেকে তিনি সুরক্ষা পেতে পারেন।
তবে ট্রাম্পের আইনজীবীদের ১২ নভেম্বরের আগেই বিচারক হুয়ান মার্চানের আদালতে এ আবেদন দাখিল করতে হবে। কারণ, বিচারকের পক্ষ থেকে এ তারিখ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের এক সিদ্ধান্তে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিছুটা দায়মুক্তির সুযোগ রয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তের আলোকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ তুলে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। বিচারক মার্চান যদি অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল হয়ে যাবে। তাঁর কোনো সাজা হবে না।
কিন্তু বিচারক মার্চান যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে আইনজীবীরা সাজা পেছানোর আবেদন করবেন, যাতে তাঁরা আপিল করতে পারেন। তাঁদের এ আবেদন মঞ্জুর হলে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিরা তখন আপিল বিভাগে আবেদন করবেন এবং সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন। তাঁরা আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলা অবধি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা পেছানোর জন্য বলবেন। এ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে।
বিচারক মার্চান যদি সাজা ঘোষণা করতে চান, তবে তিনি সর্বোচ্চ চার বছর ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দিতে পারবেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প কারাগারে যাবেন না বলেই মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
এর কারণ হিসেবে আইনজীবীরা ব্যাখ্যা করেছেন, ট্রাম্প একজন প্রবীণ ব্যক্তি এবং ‘ফার্স্ট টাইম অফেন্ডার’ অর্থাৎ প্রথমবার কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাই তাঁকে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই। যেকোনো সাজার বিরুদ্ধে আইনজীবীরা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলতে পারেন। তাঁরা সাংবিধানিক যুক্তি তুলে ধরে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। এ নিয়ে আরজির প্রক্রিয়া বছরের পর বছর চলতে পারে।
তবে এটি যেহেতু রাষ্ট্রীয় মামলা, তাই আগামী বছর ক্ষমতায় এলেও ট্রাম্প নিজেকে এতে ক্ষমা ঘোষণা করতে পারবেন না।
৬ জানুয়ারির মামলা
বিবিসি জানায়, স্পেশাল কাউন্সেল বা বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জো বাইডেনের কাছে তাঁর ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিতে না পেরে সেই নির্বাচনী ফল বদলে ফেলার জন্য জোরদার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
চলতি বছরের গ্রীষ্মে ওই মামলা আইনি অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়, যখন সুপ্রিম কোর্ট জানান প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালে সরকারি কাজকর্মে ফৌজদারি মামলার বিষয়ে আংশিকভাবে রক্ষাকবচ ছিল ট্রাম্পের।
এরপর স্মিথ যুক্তি দিয়েছিলেন যে ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফলকে বদলে ফেলার চেষ্টার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন আনুষ্ঠানিক দায়িত্বের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর নেয়ামা রাহমানির মতে, যেহেতু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছেন, তাই এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ফৌজদারি বিষয় থেকে আপাতত তিনি ‘রেহাই’ পাবেন।
তাঁর কথায়, ‘এটা সুপ্রতিষ্ঠিত বিষয় যে একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না। তাই ডিসি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই নির্বাচনী জালিয়াতির মামলা খারিজ হয়ে যাবে।’
সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প জেতার পর ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলোর ওপর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা এ মামলাগুলো যতটা সম্ভব বিলম্বিত করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছেন। ট্রাম্প নির্বাচিত হলে স্মিথকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। এখন ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হলে এ মামলা দ্রুত শেষ হবে।
গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, কোনো ইতস্তত ছাড়াই তিনি স্মিথকে চাকরিচ্যুত করবেন। হিউ হুইটের এক রেডিও অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এসব মামলায় নিজেকে ক্ষমা ঘোষণা করবেন নাকি জ্যাক স্মিথকে তাড়াবেন? ট্রাম্প এর জবাবে বলেন, ‘এটা অনেক সোজা। আমি দুই সেকেন্ডেই তাঁকে বরখাস্ত করব।’
ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের মামলা নিয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে স্মিথের আলোচনা কয়েক দিন ধরে চলবে। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা যত দ্রুত ওই মামলা থেকে ট্রাম্পকে অব্যাহতি দেওয়া যায় সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে বিচার বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, স্মিথকে বরখাস্ত করার আগে বা মামলা বাতিলের আদেশ হওয়ার আগে তিনি সরে আসবেন না।
ফেডারেল আইন অনুযায়ী, পদ ছাড়ার আগে স্মিথকে অবশ্যই তাঁর সরে যাওয়ার কারণ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে গোপনীয় নথি দিয়ে যেতে হবে।
এদিকে ফ্লোরিডায় গোপন নথি সরানো নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটির ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ মামলারও নেতৃত্বে রয়েছেন জ্যাক স্মিথ। ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর মার-এ-লাগোর ভবনে সংবেদনশীল নথি সংরক্ষণ এবং সেই নথি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক আইলিন ক্যানন জুলাই মাসে অভিযোগগুলো খারিজ করে দিয়েছিলেন।
তাঁর যুক্তি ছিল এই মামলার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিচার বিভাগ যথাযথভাবে জ্যাক স্মিথকে নিযুক্ত করেনি। প্রসঙ্গত, বিচারক আইলিন ক্যাননকে নিয়োগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন স্মিথ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতে যাওয়ার কারণে এই মামলার ভবিষ্যৎও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ২০২০ সালের নির্বাচনী ফল–সংক্রান্ত মামলার মতোই হতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, জর্জিয়াতেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে ২০২০ সালে সেখানকার নির্বাচনী ফলাফল বদলে ফেলার চেষ্টার কারণে।
এই মামলা একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিসকে ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণার চেষ্টা।
এই মামলায় কাজ করার জন্য একজন অ্যাটর্নিকে নিযুক্ত করেছিলেন ফানি উইলিস, যার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে ফানি উইলিসকে অযোগ্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছিল।
ফানি উইলিসকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত কি না, সে বিষয়টি এখন আদালতে বিবেচনাধীন।
তবে এখন যেহেতু ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন, তাই এ মামলা আরও বিলম্বের সম্মুখীন হতে পারে বা সম্ভবত খারিজও হয়ে যেতে পারে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্বে থাকাকালে এই মামলাও থেমে থাকবে বলেই অনুমান করা যায়। যদি উইলিসকে অপসারণ করা হয়, সূত্র সিএনএনকে বলেছে যে, তারা মনে করে যে অন্য একজন প্রসিকিউটর মামলাটি নিতে চাইবেন না এবং এটি আর চলবে না। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো বিচারক এ মামলা চালাতে চাইবেন বলে মনে হয় না। এতে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিরা মামলাটি বাতিল করে দেবেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলায় তাঁর ভূমিকা, সাবেক সাংবাদিক-কলাম লেখক এলিজাবেথ জেন ক্যারলকে ধর্ষণ ও মানহানির মামলা ও জালিয়াতির মতো আলোচিত মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের করা জালিয়াতির এক মামলায় ট্রাম্পকে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে আপিল আদালতে ট্রাম্পকে দুটি আপিলের শুনানিতে হাজিরা দিতে হয়। এর মধ্যে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ফেডারেল আদালতে এলিজাবেথ জেন ক্যারলের করা দুটি মানহানির মামলায় ট্রাম্প হেরেছেন। জুরিরা তাঁকে যৌন নির্যাতনের জন্য দায়ী করেন এবং ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ও ৮ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেন।
সেপ্টেম্বরে ফেডারেল আপিল কোর্ট ট্রাম্পের আপিল শুনানি গ্রহণ করেন। আদালত এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আপিল কোর্টে তাঁর জালিয়াতি মামলারও যুক্তিতর্ক শুনেছেন। এ মামলার একজন বিচারক বলেছেন, ঋণ ও বিমার দাম বেশি পেতে ট্রাম্প ও তাঁর সন্তানেরা জালিয়াতি করে সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়েছেন।
পরে পাঁচ বিচারকের আপিল কোর্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জরিমানা কম করার বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এ বিষয়ে আদালতের দেওয়া রুলিং নিয়ে নিউইয়র্কের আপিল কোর্টে যাওয়া হতে পারে। এর বাইরে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলা নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকলেও এসব মামলা থাকবে। ১৯৯৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের রুলিং অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট তাঁর ক্ষমতা ব্যবহার করে দেওয়ানি মামলার দায়মুক্তি পাবেন না।
No comments