কেমন হবে ট্রাম্প দুনিয়া? by মোহাম্মদ আবুল হোসেন

বিশ্ব যখন যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রেষারেষিতে উত্তাল তখন বিশ্বমোড়লের দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু একদিনের মধ্যে তিনি যুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা কীভাবে সামলাবেন এবং কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, সে বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেননি। দৃশ্যত, এটাই বিশ্বের চোখে হবে ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ। গাজায়, পশ্চিমতীরে গণহত্যা, লেবাননে অব্যাহতভাবে হামলা কীভাবে সমাধান দেবেন তিনি তা দেখার জন্য উদগ্রীব বিশ্ব। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে তিনি কোন পথে হাঁটেন তাও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে আরও একটি কথা বলে রাখা ভালো। তা হলো বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দা-কুমড়ো সম্পর্ক।  প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। চীনের বিরুদ্ধে তিনি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তারপর ক্ষমতায় আসেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। তাইওয়ান ইস্যুতে তার সরকার চীনের সঙ্গে যুদ্ধং দেহী অবস্থান নেয়। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। তা চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়। এর জবাবে তাইওয়ানকে অভয় দেন বাইডেন। বলেন, তাইওয়ান আক্রান্ত হলে তার পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দক্ষিণ চীন সাগরে আরেকটি যুদ্ধের আশঙ্কা ঘোরাফেরা করছে। এ সমস্যা কীভাবে সমাধান করবেন ট্রাম্প, তাও তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তাকে ফোনকলে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সহযোগিতা করলে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়েই সুবিধা পাবে। সংঘর্ষ বা সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করলে দুই পক্ষই হেরে যাবে। এ জন্য তিনি দুই দেশকে মতবিরোধের যথাযথ সমাধান দাবি করেছেন। বলেছেন, এর মধ্যদিয়ে একটি নতুন যুগের পথ বের করতে হবে। এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে শি জিনপিং বলেছেন, দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থের জন্যই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্থিতিশীল, সুস্থ এবং টেকসই সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও। শি জিনপিং আশা প্রকাশ করেছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শক্তিশালী সংলাপ ও যোগাযোগ, মতবিরোধ সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা, সহযোগিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সুযোগ বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি সঠিক পথ বের করলে তাতে নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে শুধু দুই দেশই উপকৃত হবে- এমন নয়, একই সঙ্গে বিশ্বও উপকৃত হবে। আলাদা ফোনকলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জেডি ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়ে একই রকম বার্তা দিয়েছেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং। শুধু চীন নয়, ইউরোপেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন ট্রাম্প। ওই অঞ্চলে ন্যাটো সহ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূমিকা তা নিয়ে নির্বাচনের আগে কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ফলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর মনোযোগ আকৃষ্ট হয়েছে ইউরোপে। বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেন ইউরোপিয়ান নেতারা। সেখানে বেশ কয়েক ডজন নেতা উপস্থিত হন। ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা এবং তার পরবর্তীতে ইউরোপের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা। কারণ, ট্রাম্পের ২০১৬-২০২০ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ইউরোপের সঙ্গে নাটকীয়ভাবে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছিল। ইউরোপিয়ান দেশগুলো তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে না এটা নিয়ে ক্ষোভ ছিল ট্রাম্পের। ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ঘাটতি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। এই দু’টি ইস্যুতেই তিনি ইউরোপের সবচেয়ে বড় শক্তি জার্মানির ওপর ছিলেন ক্ষুব্ধ। তখন জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন অ্যানজেলা মারকেল। এখন ওলাফ শুলজ। এ সময়ে ইউরোপের জন্য ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্সি কেমন হবে? বিশেষ করে ইউক্রেন ইস্যুতে? ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটির মিটিংয়ে যোগ দিতে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে অবস্থান করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই আয়োজনের ব্রেইনচাইল্ড হলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ইউক্রেনে রাশিয়া যখন পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরু করে তখন এই গ্রুপের বিষয়টি মাথায় ঢোকে তার। এতে ইউরোপ যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা নিয়ে আলোচনা হয়। ইউরোপিয়ান নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক হলো, ইউক্রেনকে দেয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন হয়তো ধীরগতি করে দেবে, হয়তো বন্ধ করবে না। ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হলো এককভাবে সবচেয়ে বড় ডোনার। যদি যুক্তরাষ্ট্র এই সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেয়, ধীর করে দেয়, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধকে টিকিয়ে রাখতে ঘাটতি কাঁধে নিতে হবে ইউরোপকে। ট্রাম্প এখন কোনপথে হাঁটবেন তা পরিষ্কার নয়। এমন অবস্থা মাথায় রেখেই নির্বাচিত হওয়ার পর পরই ট্রাম্পকে বুধবার ফোনকলে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, চমৎকার ফোনালাপ হয়েছে তাদের মধ্যে। একদিনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারেন বলে আগে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তিনি ইউক্রেনকে বিজয়ী দেখে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান নাকি রাশিয়াকে বিজয়ী দেখতে চান- এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। ওদিকে ইউক্রেনের পাশে থাকার অঙ্গীকার বার বার করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ সহ ইউরোপিয়ান নেতারা। তারা যেন তাদের কথায় অটল থাকেন বৃহস্পতিবারের সম্মেলনে সেই আপিল জানাতে পারেন জেলেনস্কি। এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সামরিক সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনকে দেয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডোনার জার্মানি কি করবে তা নিয়ে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই জার্মানিতে তিন দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায়। এ জন্য  দেশটি কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ভেতরে বিরোধিতা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় বুদাপেস্টে বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ের আয়োজক আর কেউ নন, তিনি ট্রাম্পের প্রতি উৎসাহী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য তিনি পরিচিত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপে অনিচ্ছুক। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র দেয়ারও পক্ষে নন। তিনি বার বার ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে নিঃশর্ত ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। ট্রাম্প শান্তির পক্ষে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ট্রাম্পকে নির্বাচিত হওয়ার পর ইউরোপের যেসব নেতা প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছেন তার মধ্যে ভিক্টর অরবান অন্যতম। যতদিন সম্ভব ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয় নিয়ে জেলেনস্কি ও অন্য নেতাদের আলোচনা হওয়ার কথা গতকাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউরোপিয়ান নেতারা যেসব অভিনন্দন জানিয়েছেন তাতে ট্রাম্প একেবারে পরিষ্কার। কিন্তু তিনি এটাও খুব ভালো করে জানেন যে, ইউরোপের বেশির ভাগ নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের পক্ষে ছিলেন। ফলে ট্রাম্পের মধ্যে যে বিচ্ছিন্নতাবাদ তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ইউরোপ। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকেই এমনটা চলছে। রাশিয়ার সম্প্রসারণবাদ থেকে তারা নিরাপত্তা চায়। ইউক্রেনের পক্ষে সহায়তা চায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। কিন্তু সমস্যা হলো ন্যাটোর পক্ষে নন ট্রাম্প। ইউরোপের জন্য আরও একটি উদ্বেগের বিষয় হলো বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ট্রাম্প সংরক্ষণবাদী। অর্থাৎ বাইরের ওপর নির্ভরতা কমাতে চান। এ জন্য তিনি আমদানির ওপর শুল্ক বসাতে পছন্দ করেন। এটা করা হলে ইউরোপের অর্থনীতির ওপর বড় খারাপ প্রভাব পড়বে। জার্মানি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। ট্রাম্প যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেন তাহলে একই রকম পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন। ট্রাম্পের ভীষণ ভক্ত শুধু ভিক্টর অরবানই নন। স্লোভাকিয়া, ইতালির প্রধানমন্ত্রীরাও। তারা ট্রাম্পের প্রতি এতটাই অনুগত যে, ইউরোপের বাকি নেতাদের থেকে তারা আলাদা। এ ইস্যুতে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক এক্সে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপর ইউরোপের ভবিষ্যৎ আর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে ইউরোপের ওপর। ট্রাম্পকে শুধু এই সমস্যার মুখেই পড়তে হবে না। দক্ষিণ চীন সাগর, ইরান সহ বহুবিধ সমস্যা তার চারপাশে এসে ভিড় করবে। একই সঙ্গে তাকে অর্থনৈতিক চাপও মোকাবিলা করতে হবে দেশের  ভেতরে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়ছে। নতুন প্রশাসনের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে খেলাপি অর্থের অঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়া। এর ফলে সেখানে রাজনৈতিক মেরূকরণ ঘটতে পারে। রয়টার্সের মতে, ভয়াবহ আর্থিক চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প। এর ফলে বিশ্ব ঋণ বাজারে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকিতে ফেলে দিতে পারে। এতে দেশের ঋণ বিষয়ক সিকিউরিটিজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আগ্রহ কমে যাবে। সরকারি খরচ বৃদ্ধি পাবে। সরকারকে আরও ঋণ নিতে হবে।  বেশ কিছু হিসাব অনুযায়ী ৫ই নভেম্বরে নির্বাচিত হয়ে আসা ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাজেট ঘাটতি এবং সরকারি ঋণের মুখোমুখি হতে হবে। এই খরচ ট্রাম্পের অধীনে কমালা হ্যারিসের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প বাণিজ্য ও ট্যাক্স বিষয়ক যে পলিসি নিচ্ছেন তাতে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেড়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি আরও খারাপ কবে। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার খবরে বুধবারই বিনিয়োগকারীরা সরকারি ঋণের খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১০ বছরের ট্রেজারি বেঞ্চমার্ক বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৪.৪৭৯ ভাগ। টোলু ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্পেন্সার হাকিমিয়া বলেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিকে আমরা ক্রমবর্ধমান ঘাটতি এবং উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপ হিসেবে দেখি। এখানে উল্লেখ্য, মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্রেটদের কাছ থেকে ফিরে পেয়েছে ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও তারা এগিয়ে আছে। আগেই প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এবার তারা যদি এই পরিষদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে পায় তাহলে ট্রাম্পের জন্য প্রশাসনে কোথাও কাউকে কোনো কিছুর জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে না। এমন এক বাধাহীন অবস্থায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তথা বিশ্বে কেমন এক নতুন যুগের সূচনা করেন তা নিয়ে আগ্রহ সবার। তিনি অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছেন মার্কিনিদের। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ইস্যু হলো অভিবাসন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানকারী অভিবাসীদের তিনি গণহারে বের করে দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। বিষয়টিকে মার্কিনিরা লুফে নিয়েছে। এতে কর্মক্ষেত্রে তাদের কদর বাড়বে। 
mzamin

No comments

Powered by Blogger.