ঘাড়ের সমস্যা বাড়ায় স্মার্টফোন
স্মার্টফোন,
ট্যাব বা এ জাতীয় ডিভাইসে কোনো কিছু অতি মনোযোগ দিয়ে পড়তে আপনি যখন
চেষ্টা করছেন, অজ্ঞাতসারে কিন্তু ভুল করে ফেলছেন। মাথা নুইয়ে, ঘাড় বাঁকা
করে ‘স্মার্ট ডিভাইস’ ব্যবহার আপনার ঘাড়ের সমস্যার কারণ!
আমরা যখন এ ধরনের ডিভাইসে কোনো কিছু পড়ি বা টেক্সট করি তখন আমাদের ঘাড় অজান্তেই বাঁকা হয়ে যায়। শুধু ঘাড় নয়, এ সময় আমাদের মাথা সামনের দিকে চলে আসে এবং কাঁধ ঝুঁকে পড়ে।
এখন কি তাহলে আপনি ঠিকভাবে বসেছেন?
সামনের দিকে ঝুঁকে টেক্সট পড়া বা লেখার কারণে আপনার ঘাড়ে ব্যথা হয়। থেরাপিস্টরা এ ধরনের সমস্যার নাম দিয়েছেন ‘টেক্সট নেক’।
‘টেক্সট নেক’কে টেক্সটিং প্রবলেম, গেমিং প্রবলেম ও ই-মেইলিং প্রবলেম বলে উল্লেখ করেছেন ডিয়ান ফিসম্যান নামে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীর সমস্যার সূত্র ধরে তিনি এর নামকরণ করে ‘টেক্সট নেক’। মাথাব্যথা ও ঘাড় ব্যথার সমস্যা নিয়ে ওই তরুণী তার কাছে আসেন। ফিসম্যান ওই তরুণীর মায়ের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।
এ সময় তিনি তরুণীকে চেয়ারের সামনে ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখে বলেন, মনে হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছি।
সম্প্রতি প্রকাশিত সার্জিক্যাল টেকনোলজি ইন্টারন্যাশনালের ২৫তম প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুঁকে টেক্সটের কারণে স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহারকারীর পিঠ ও ঘাড়ে সমস্যা হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী নিউইয়র্ক স্পাইন সার্জন বিশেষজ্ঞ কিনেথ সান্সরাজ বলেন, মাথা নুইয়ে মোবাইলে তাকানোর ফলে ঘাড়কে অতিরিক্ত ৬০ পাউন্ড ওজন নিতে হয়।
তিনি বলেন, মোবাইল ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীর ঘাড় ১৫, ৩০, ৪৫ এমনকি ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকাতে হয়। এজন্য সঠিকভাবে মোবাইল ব্যবহারের উপদেশ দেন তিনি।
ব্যবহারকারী তার মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারে মজা পাবেন বিষয়টি স্বাভাবিক, তবে মাথা ও মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে সঠিক দূরত্ব সম্পর্কে জানতে হবে, বলেন হান্সরাজ।
তিনি বলেন, স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের সময় আপনার মাথা সোজা রয়েছে, বিষয়টি সর্তকতার সঙ্গে খেয়াল করতে হবে।
সমান্তরাল অবস্থানে একজন মানুষের মাথার গড় ওজন ১০ পাউন্ড। আর প্রতি ইঞ্চি মাথা বাঁকানোর সঙ্গে এই ওজন দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই যখন আপনি মাথা নুইয়ে মোবাইল ব্যবহার করছেন, তখন আপনার ঘাড়কে ২০ বা ৩০ পাউন্ড ওজন বহন করতে হচ্ছে।
এ ওজন আপনার স্পাইনে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে, যা স্পাইনকে সঠিক অবস্থান থেকে সরিয়ে ফেলে।
আমেরিকান ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট (প্রাইভেট প্র্যাকটিস বিভাগ) ড. টম ডিঅ্যাঙ্গিলিস বলেন, অনেক সময় ধরে যদি আপনার টিস্যুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, তবে এটি সঠিক অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে এবং রক্ত জমতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো, অতিরিক্ত সময় কত...।
এক জরিপে দেখা যায়, ৮-১৮ বছর বয়সীরা বিনোদনমূলক কাজে দিনে সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। শুধুমাত্র শিশুরা নয়, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে স্মার্টফোনে ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে বলে জরিপে বলা হয়েছে।
সামনের দিকে ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহারের ফলে শুধু নার্ভ পেইনই নয়, এটি মেটাবোলিক সমস্যাও তৈরি করে বলে উল্লেখ করেছেন পারফরম্যান্স ফিজিক্যাল থেরাপির চিকিৎসক ড. মিচিল্লি কোলি।
তাহলে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহকারকারীদের জন্য উপায় কী? প্রথমেই স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হতে বলেন কোলি।
বড় খবর হলো, মাথা সামনে ঝোঁকানোর সমস্যার সমাধানে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিসম্যান। অ্যাপটি ব্যবহারকারীকে মাথা ঝোঁকানোর সময় সর্তক করবে।
তবে স্মার্ট ডিভাইসগুলো একটানা ব্যবহার না করে কিছু সময় পরপর ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন শরীর বিশেষজ্ঞরা।
তারা পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রতি বিশ মিনিট পরপর দাঁড়ানো উচিত। এতে ব্যবহারকারীর ঘাড়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং ঘাড় সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যাবে।
আমরা যখন এ ধরনের ডিভাইসে কোনো কিছু পড়ি বা টেক্সট করি তখন আমাদের ঘাড় অজান্তেই বাঁকা হয়ে যায়। শুধু ঘাড় নয়, এ সময় আমাদের মাথা সামনের দিকে চলে আসে এবং কাঁধ ঝুঁকে পড়ে।
এখন কি তাহলে আপনি ঠিকভাবে বসেছেন?
সামনের দিকে ঝুঁকে টেক্সট পড়া বা লেখার কারণে আপনার ঘাড়ে ব্যথা হয়। থেরাপিস্টরা এ ধরনের সমস্যার নাম দিয়েছেন ‘টেক্সট নেক’।
‘টেক্সট নেক’কে টেক্সটিং প্রবলেম, গেমিং প্রবলেম ও ই-মেইলিং প্রবলেম বলে উল্লেখ করেছেন ডিয়ান ফিসম্যান নামে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীর সমস্যার সূত্র ধরে তিনি এর নামকরণ করে ‘টেক্সট নেক’। মাথাব্যথা ও ঘাড় ব্যথার সমস্যা নিয়ে ওই তরুণী তার কাছে আসেন। ফিসম্যান ওই তরুণীর মায়ের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।
এ সময় তিনি তরুণীকে চেয়ারের সামনে ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখে বলেন, মনে হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছি।
সম্প্রতি প্রকাশিত সার্জিক্যাল টেকনোলজি ইন্টারন্যাশনালের ২৫তম প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুঁকে টেক্সটের কারণে স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহারকারীর পিঠ ও ঘাড়ে সমস্যা হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারী নিউইয়র্ক স্পাইন সার্জন বিশেষজ্ঞ কিনেথ সান্সরাজ বলেন, মাথা নুইয়ে মোবাইলে তাকানোর ফলে ঘাড়কে অতিরিক্ত ৬০ পাউন্ড ওজন নিতে হয়।
তিনি বলেন, মোবাইল ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীর ঘাড় ১৫, ৩০, ৪৫ এমনকি ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকাতে হয়। এজন্য সঠিকভাবে মোবাইল ব্যবহারের উপদেশ দেন তিনি।
ব্যবহারকারী তার মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারে মজা পাবেন বিষয়টি স্বাভাবিক, তবে মাথা ও মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে সঠিক দূরত্ব সম্পর্কে জানতে হবে, বলেন হান্সরাজ।
তিনি বলেন, স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের সময় আপনার মাথা সোজা রয়েছে, বিষয়টি সর্তকতার সঙ্গে খেয়াল করতে হবে।
সমান্তরাল অবস্থানে একজন মানুষের মাথার গড় ওজন ১০ পাউন্ড। আর প্রতি ইঞ্চি মাথা বাঁকানোর সঙ্গে এই ওজন দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই যখন আপনি মাথা নুইয়ে মোবাইল ব্যবহার করছেন, তখন আপনার ঘাড়কে ২০ বা ৩০ পাউন্ড ওজন বহন করতে হচ্ছে।
এ ওজন আপনার স্পাইনে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে, যা স্পাইনকে সঠিক অবস্থান থেকে সরিয়ে ফেলে।
আমেরিকান ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট (প্রাইভেট প্র্যাকটিস বিভাগ) ড. টম ডিঅ্যাঙ্গিলিস বলেন, অনেক সময় ধরে যদি আপনার টিস্যুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, তবে এটি সঠিক অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে এবং রক্ত জমতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো, অতিরিক্ত সময় কত...।
এক জরিপে দেখা যায়, ৮-১৮ বছর বয়সীরা বিনোদনমূলক কাজে দিনে সাড়ে সাত ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। শুধুমাত্র শিশুরা নয়, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে স্মার্টফোনে ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে বলে জরিপে বলা হয়েছে।
সামনের দিকে ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহারের ফলে শুধু নার্ভ পেইনই নয়, এটি মেটাবোলিক সমস্যাও তৈরি করে বলে উল্লেখ করেছেন পারফরম্যান্স ফিজিক্যাল থেরাপির চিকিৎসক ড. মিচিল্লি কোলি।
তাহলে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহকারকারীদের জন্য উপায় কী? প্রথমেই স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হতে বলেন কোলি।
বড় খবর হলো, মাথা সামনে ঝোঁকানোর সমস্যার সমাধানে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিসম্যান। অ্যাপটি ব্যবহারকারীকে মাথা ঝোঁকানোর সময় সর্তক করবে।
তবে স্মার্ট ডিভাইসগুলো একটানা ব্যবহার না করে কিছু সময় পরপর ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন শরীর বিশেষজ্ঞরা।
তারা পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রতি বিশ মিনিট পরপর দাঁড়ানো উচিত। এতে ব্যবহারকারীর ঘাড়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং ঘাড় সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যাবে।
No comments