তামিমের সঙ্গী হওয়ার অপেক্ষায় গেইল
টুইটারে কাল একটা ছবি পোস্ট করেছেন ক্রিস গেইল। তাতে লেখা, ‘তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে উন্মুখ’। চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়কের সঙ্গে ক্যারিবীয় ওপেনারের হাস্যোজ্জ্বল ছবি বলছে, এবার ২২ গজে দুজনের রসায়নটা জমবে দারুণ। ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের হয়ে প্রায় সব ব্যাটিং রেকর্ড তামিমের অধিকারে। গেইলকে অবশ্য মাপতে হবে টি-টোয়েন্টির নিক্তিতে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে তাঁর একচ্ছত্র দাপট; নিজের করে নিয়েছেন বেশির ভাগ রেকর্ড। দুই বিস্ফোরক ওপেনার এবার বিপিএলে মিলছেন এক বিন্দুতে। তামিম-গেইল নামবেন চিটাগংয়ের হয়ে ওপেন করতে। তামিম-গেইল একসঙ্গে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষের বোলারদের কী অবস্থা হবে একবার কল্পনা করুন। ব্যাটিংয়ের ধরনে যেমন মিল, দুজনের কথাতেও তাই। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গেইলকে নিয়ে চিটাগং অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি ওর সঙ্গে ওপেন করতে মুখিয়ে আছি। তার সঙ্গে কখনোই ব্যাটিং করিনি। এটা অন্য রকম হবে। সে এমন একজন খেলোয়াড়, যেদিন খেলে মনে হয় ক্রিকেট খেলাটা অনেক সহজ!’
তামিমের সঙ্গে ব্যাটিং করা নিয়ে গেইলের রোমাঞ্চ টুইট বার্তাতেই পরিষ্কার। বাংলাদেশের কন্ডিশনে চিটাগং অধিনায়কের কাছ থেকে শেখার দিকটিকেও বড় করে দেখছেন ক্যারিবীয় ওপেনার, ‘তামিম কন্ডিশনটা খুব ভালো জানে। আমি একটু সময় নিতে পারি। দেখতে পারি সে কীভাবে খেলছে। ও খেলার মধ্যেই থাকায় জানে কীভাবে খেলতে হবে। ওকে দেখে দ্রুত ধারণা নিতে পারব। সে অনেক অভিজ্ঞ। আমিও চেষ্টা করব যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক থাকতে। চেষ্টা করব দলকে বিস্ফোরক শুরু এনে দিতে।’ টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন গেইলের উপস্থিতি মানেই প্রতিপক্ষের ওপর বিরাট চাপ। তবে চাপটা কখনো কখনো বুমেরাং হতে পারে তাঁর নিজের দলের জন্যও। গেইল-ছায়ায় যেন চিটাগং ঢাকা না পড়ে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেটাই বলছিলেন তামিম, ‘চাই না দলে গেইল-ফ্যাক্টর থাকুক। যখন এ রকম কোনো ফ্যাক্টর থাকে এবং সে যদি ব্যর্থ হয় তখন তার প্রভাব পুরো দলেই পড়ে। গেইল আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, অন্যরাও তাই।
তামিমের সঙ্গে ব্যাটিং করা নিয়ে গেইলের রোমাঞ্চ টুইট বার্তাতেই পরিষ্কার। বাংলাদেশের কন্ডিশনে চিটাগং অধিনায়কের কাছ থেকে শেখার দিকটিকেও বড় করে দেখছেন ক্যারিবীয় ওপেনার, ‘তামিম কন্ডিশনটা খুব ভালো জানে। আমি একটু সময় নিতে পারি। দেখতে পারি সে কীভাবে খেলছে। ও খেলার মধ্যেই থাকায় জানে কীভাবে খেলতে হবে। ওকে দেখে দ্রুত ধারণা নিতে পারব। সে অনেক অভিজ্ঞ। আমিও চেষ্টা করব যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক থাকতে। চেষ্টা করব দলকে বিস্ফোরক শুরু এনে দিতে।’ টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন গেইলের উপস্থিতি মানেই প্রতিপক্ষের ওপর বিরাট চাপ। তবে চাপটা কখনো কখনো বুমেরাং হতে পারে তাঁর নিজের দলের জন্যও। গেইল-ছায়ায় যেন চিটাগং ঢাকা না পড়ে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেটাই বলছিলেন তামিম, ‘চাই না দলে গেইল-ফ্যাক্টর থাকুক। যখন এ রকম কোনো ফ্যাক্টর থাকে এবং সে যদি ব্যর্থ হয় তখন তার প্রভাব পুরো দলেই পড়ে। গেইল আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, অন্যরাও তাই।
সবার গুরুত্ব সমান থাকতে হবে। এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে থাকবে, এমন কাউকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাই না।’ গেইলের ব্যাটিংয়ে নিয়মিত ঝড় দেখা গেছে আগের তিন বিপিএলেই। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩টি সেঞ্চুরিও তাঁর। ১০ ম্যাচে ৭৭.২৮ গড়ে রান ৫৪১। ৫০ ছক্কা মেরে আছেন সবার ওপরে। এবারও নিশ্চয়ই চাইবেন সে ধারা অব্যাহত রাখতে। গেইল অবশ্য আশাবাদী তাঁর ব্যাটিংয়ে হতাশ হবেন না দর্শকেরা, ‘কয়টি সেঞ্চুরি করেছি? দুটি না তিনটি? পরিসংখ্যান নিয়ে কখনোই চিন্তা করি না। সব সময় দর্শকদের যতটা সম্ভব বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি। সিপিএলের পর প্রায় ৪-৫ মাস ম্যাচ খেলিনি। খেলায় ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। টুইটারে অনেকেই বলছিল আমাকে মাঠে দেখতে চায়। কালই (আজ) তাদের সুযোগ আসছে টিভিতে চোখ রাখার। ক্রিস গেইল ইজ ব্যাক!’ গেইল ফিরছেন, তামিমও আছেন ছন্দে। তৈরি থাকুন দুই ওপেনারের রোমাঞ্চকর ব্যাটিং দেখতে। বিপিএলেতাঁরাদুই
ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ ১০০ ৫০ ৪ ৬
ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ ১০০ ৫০ ৪ ৬
তামিম ইকবাল ২৯ ২৮ ৭৭৩ ৭৫ ০ ৮ ৭৫ ২৫
ক্রিস গেইল ১০ ১০ ৫৪১ ১১৬ ৩ ১ ৩৫ ৫০
No comments