যে কারণে ‘সমকামী’ হন ভারতের নারী ফুটবলাররা
বিস্ফোরণ
ঘটালেন ভারতের সাবেক নারী ফুটবলার সোনা চৌধুরি। দীর্ঘদিন ভারতের নারী
ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী ‘গেম ইন গেম’
প্রকাশ করেছেন। সেখানে ফুটে উঠেছে ভারতের নারী ফুটবলের অন্ধকার দিক। শুধু
প্রতিভা থাকলেই হয় না। জাতীয় দলে জায়গা পেতে হলে নারী ফুটবলারদের দিকে হয়
শরীরও। গরম করতে হয় টিম ম্যানজমেন্টে থাকা লোকদের বিছানা। তাদের যৌন লালসা
পূরণ না করলে জাতীয় দলে জায়গা হয় না। কোনো রকমে জায়গা হলেও পরবর্তীতে
নিয়মিত কর্মকর্তাদের বিছানা গরম না করলে একাদশের বাইরে রাখা হয়। এতে বাধ্য
হয়ে দলের নারী খেলোয়াড়রা ‘সমকামিতা’র আশ্রয় নিতো। কর্মকর্তাদের বুঝানোর
চেষ্টা করতো যে, দুইজন নারী ফুটবলারের মধ্যে সম্পর্ক আছে। এভাবে একটি দলে
বেশ কয়েকটি সমকামী জুটির বানিয়ে অভিনয় করতো তারা। কিন্তু এতেও ওইসব
কমকর্তাদের হাত থেকে তারা রক্ষা পেতেন না। নিজের আত্মজীবনীতে এমন বিস্ফোরক
অভিযোগ আনলেন সোনা চৌধুরি। বাইটি প্রকাশের পর ভারতে এখন তুমুল আলোচনা।
ভারতের ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক বইতে আরও দাবি করেছেন, বিদেশে সফরের সময়
কোচ ও দলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিছানা নারী ফুটবলারদের রুমেই রাখা হতো।
এরপর প্রতিদিন কোনো না কোনো নারী খেলোয়াড়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত
হতো তারা। বিছানা গরম না করলে দলে খেলার সুযোগ হতো না। তার সময়ে অনেক
খেলোয়াড় নাকি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। উল্টো
প্রতিবাদকারী খেলোয়াড়কে এক সময় দল থেকে বের করে দেয়া হয়। সোনা চৌধুরি আরও
দাবি করেন, শুধু জাতীয় দলে নয়, এমন নোংরামি চলে রাজ্য পর্যায়ের নারী ফুটবল
দলেও। খেলোয়াড়দের শরীর দেয়ার জন্য মানসিক চাপ দেয়া হয়। শরীর না দিলে
রাজনীতির মারপ্যাচে দল থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বইটি প্রকাশের পর
অনেকে সোনা চৌধুরির লেখাগুলোকে ‘বানোয়াট’ বলেছেন। কিন্তু তার উত্তরে তিনি
এক টুইটে লেখেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলের মধ্যে থেকে যেসব অভিজ্ঞতা অর্জন
করেছি, যা দেখেছি- শুধু তা-ই আমি লিখেছি’। সোনা চৌধুরিকে ভারতের হরিয়ানা
রাজ্যের সেরা নারী ফুটবলার বলা হয়। ১৯৯৫ সালে তিনি ভারতের জাতীয় দলে খেলা
শুরু করেন। এক বছরের মধ্যে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু ১৯৯৮
সালে হাঁটুতে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় ফুটবল ক্যারিয়ার সেখানেই শেষ হয়ে যায়।
No comments