‘আবার আসিব ফিরে’
ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে জনবক্তৃতা দিচ্ছেন নরেন্দ মোদি। |
‘আবার আসিব ফিরে/ধানসিঁড়িটির তীরে/এই বাংলায়’—জীবনানন্দ দাশের এই কবিতা উচ্চারণ করে বাংলাদেশে আবার ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে জনবক্তৃতায় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোদি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বক্তৃতার শুরুতে মোদি পরিষ্কার বাংলায় বলেন, ‘কেমন আছ? আমরা তোমার সাথে আছি। আমরা তোমাদের সাথে নিয়ে চলব।’ এ কথা বলার পর তিনি অতিথিদের কাছে জানতে চান ‘আমার বাংলা কেমন? ’
জনবক্তৃতা বাংলায় শুরু করলেও হিন্দিতে বক্তব্য দেন মোদি। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান ও সালমা খাতুনের নাম। উঠে আসে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অবস্থানের কথা। এ দেশে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে এভারেস্ট জয়ী দুই নারী নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরিনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা ও স্পিকার পদে নারীর আসীন থাকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও সীমান্তে হত্যা, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, পানি চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোদি।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি প্রথমবারের মতো গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশে আসেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের দুদিনের যাত্রা সফলভাবে শেষ হচ্ছে। এটি আমার এই সফরের শেষ কর্মসূচি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যে আমি সফর শুরু করতে চলেছি। আমার এই দুই দিনের সফরে বাংলাদেশের নাগরিকেরা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যেভাবে আমাকে স্বাগত ও সম্মান জানিয়েছেন; এটা নরেন্দ্র মোদি নামের এক ব্যক্তির নয়, সোয়া শ কোটি ভারতবাসীর সম্মান।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুদিনের সফরের পর শুধু এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্ব খুব সূক্ষ্মভাবে ময়নাতদন্ত করবে। কেউ মাপকাঠি নিয়ে দেখবে কী পেলাম আর কী দিলাম। কিন্তু যদি একটি বাক্য আমাকে বলতে হয় আমি বলব, লোকেরা মনে করতেন আমরা খুব পাশাপাশি আছি। বিশ্বকে বলতে চাই, পাশাপাশি ও একই সঙ্গেই আছি।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সূর্য এখানে আগে ওঠে, এরপর আলো আমাদের (ভারত) এখানে যায়। এখানে যত আলোই হোক আলো আমাদের ওখানেও যায়। আমাদের রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে হবে। বাল্যবিবাহ, শিশুমৃত্যু এসব বিষয়ে শিখতে হবে। আমাদের দেশের কেউ সৈন্য ছিল যিনি বাংলাদেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। আমার দেশের সৈন্যরা তাদের রক্ত দিয়েছেন, এর চেয়ে বেশি গৌরব আর থাকতে পারে না।’ মোদি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাব, তিনি একটিই লক্ষ্য বানিয়েছেন সেটি, প্রবৃদ্ধি। আর ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছোট ব্যাপার নয়।’
মোদি বলেন, ‘খুব কম লোক এটি চিন্তা করেছে যে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হবে। এটি জমির সমাধান নয়, এটি সেই চুক্তি যা মনকে যুক্ত করেছে। বিশ্বে সব যুদ্ধই জমির জন্য হয়েছে। আজ পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, বুদ্ধ (গৌতম বুদ্ধ) ছাড়া ভারতও অসম্ভব। যেখানে বুদ্ধ রয়েছেন সেখানে যুদ্ধ হতে পারে না। তাঁরা জমির জন্য যুদ্ধ করতে পারে, আমরা না।’ স্থলসীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের একটি পত্রিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি আজ এখানকার একটি পত্রিকায় পড়ছিলেন। হেডলাইন পড়েছেন। পুরোটা নয়। লেখাটিতে লেখক স্থলসীমান্ত চুক্তিকে বার্লিনের দেয়াল ভেঙে ফেলার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে জনবক্তৃতায় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোদি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বক্তৃতার শুরুতে মোদি পরিষ্কার বাংলায় বলেন, ‘কেমন আছ? আমরা তোমার সাথে আছি। আমরা তোমাদের সাথে নিয়ে চলব।’ এ কথা বলার পর তিনি অতিথিদের কাছে জানতে চান ‘আমার বাংলা কেমন? ’
জনবক্তৃতা বাংলায় শুরু করলেও হিন্দিতে বক্তব্য দেন মোদি। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান ও সালমা খাতুনের নাম। উঠে আসে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অবস্থানের কথা। এ দেশে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে এভারেস্ট জয়ী দুই নারী নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরিনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা ও স্পিকার পদে নারীর আসীন থাকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও সীমান্তে হত্যা, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, পানি চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোদি।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি প্রথমবারের মতো গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশে আসেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের দুদিনের যাত্রা সফলভাবে শেষ হচ্ছে। এটি আমার এই সফরের শেষ কর্মসূচি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যে আমি সফর শুরু করতে চলেছি। আমার এই দুই দিনের সফরে বাংলাদেশের নাগরিকেরা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যেভাবে আমাকে স্বাগত ও সম্মান জানিয়েছেন; এটা নরেন্দ্র মোদি নামের এক ব্যক্তির নয়, সোয়া শ কোটি ভারতবাসীর সম্মান।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুদিনের সফরের পর শুধু এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্ব খুব সূক্ষ্মভাবে ময়নাতদন্ত করবে। কেউ মাপকাঠি নিয়ে দেখবে কী পেলাম আর কী দিলাম। কিন্তু যদি একটি বাক্য আমাকে বলতে হয় আমি বলব, লোকেরা মনে করতেন আমরা খুব পাশাপাশি আছি। বিশ্বকে বলতে চাই, পাশাপাশি ও একই সঙ্গেই আছি।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সূর্য এখানে আগে ওঠে, এরপর আলো আমাদের (ভারত) এখানে যায়। এখানে যত আলোই হোক আলো আমাদের ওখানেও যায়। আমাদের রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে হবে। বাল্যবিবাহ, শিশুমৃত্যু এসব বিষয়ে শিখতে হবে। আমাদের দেশের কেউ সৈন্য ছিল যিনি বাংলাদেশের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। আমার দেশের সৈন্যরা তাদের রক্ত দিয়েছেন, এর চেয়ে বেশি গৌরব আর থাকতে পারে না।’ মোদি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাব, তিনি একটিই লক্ষ্য বানিয়েছেন সেটি, প্রবৃদ্ধি। আর ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছোট ব্যাপার নয়।’
মোদি বলেন, ‘খুব কম লোক এটি চিন্তা করেছে যে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হবে। এটি জমির সমাধান নয়, এটি সেই চুক্তি যা মনকে যুক্ত করেছে। বিশ্বে সব যুদ্ধই জমির জন্য হয়েছে। আজ পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, বুদ্ধ (গৌতম বুদ্ধ) ছাড়া ভারতও অসম্ভব। যেখানে বুদ্ধ রয়েছেন সেখানে যুদ্ধ হতে পারে না। তাঁরা জমির জন্য যুদ্ধ করতে পারে, আমরা না।’ স্থলসীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের একটি পত্রিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি আজ এখানকার একটি পত্রিকায় পড়ছিলেন। হেডলাইন পড়েছেন। পুরোটা নয়। লেখাটিতে লেখক স্থলসীমান্ত চুক্তিকে বার্লিনের দেয়াল ভেঙে ফেলার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
No comments