নাইজেরিয়ায় গাড়িবোমায় ১১৮ জন নিহত
নাইজেরিয়ার জোস শহরে মঙ্গলবার বোমা হামলার পর রাস্তার পাশের দোকানিরা তাঁদের পণ্য কুড়িয়ে নিচ্ছেন৷ অন্যদিকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে ব্যস্ত উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি |
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় জোস শহরে একটি বিপণিবিতান এলাকায় গত মঙ্গলবার জোড়া গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের হাতে অপহৃত দুই শতাধিক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার অভিযানের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল৷ খবর এএফপি ও আল-জাজিরার৷ নাইজিরয়ার প্রেসিডেন্ট জোনাথন গুডলাক বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা ‘মানুষের স্বাধীনতার ওপর একটা করুণ হামলা’৷ তাঁর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট সব নাইজেরীয়কে আশ্বস্ত করছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷’ তবে মঙ্গলবাবের এই জোড়া গাড়িবোমা হামলা দেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারে সরকারের সামর্থ্যকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে৷ বোকো হারামের জঙ্গিদের হাতে দুই শতাধিক স্কুলছাত্রী অপহৃত হওয়ার ঘটনায় এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট জোনাথনের পদত্যাগের দাবি উঠেছে৷
গত ১৪ এপ্রিল দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর শিবক থেকে অপহৃত ওই ছাত্রীদের উদ্ধার অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত রয়েছেন৷ সমন্বিত হামলা: নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার (এনইএমএ) সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবদুস সালাম জানান, মধ্যাঞ্চলীয় প্লেটিউ প্রদেশের রাজধানী জোস শহরের নিউ আবুজা মার্কেট এলাকায় বিস্ফোরিত বোমার তীব্রতা ছিল খুবই বেশি৷ বিস্ফোরণে আশেপাশের ভবনগুলো ধসে পড়েছে৷ তিনি বলেন, ‘১১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ৫৬ জন৷ ধ্বংসস্তুপে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে৷’ অবশ্য প্লেটিউ প্রদেশের পুলিশ ভিন্ন তথ্য দিয়েছে৷ তাদের হিসাবে মোট ৪৬ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়েছে৷ নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, হামলায় একটি ট্রাক ও একটি মিনিবাস ব্যবহার করা হয়েছে৷ মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হামলা হয়৷ এর আগে রোববার নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো শহরে আরেকটি বোমা হামলা চালানো হয়৷ এসব হামলার সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ অবশ্য রোববারের হামলার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ৷ তবে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি৷ প্লেটিউ প্রদেশটি নাইজেরিয়ার কথিত ‘মিডল বেল্ট’ এলাকার মধ্যে পড়ে৷ দেশটির খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত দক্ষিণ ও মুসলিম-অধ্যুষিত উত্তর এলাকার মাঝামাঝি এই এলাকার অবস্থান৷
No comments