শাহবাগ আন্দোলন: দলীয়করণ সম্পর্কে সজাগ থাকার পরামর্শ খালেদার
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগের
আন্দোলন সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত)
এ্যাডভোকেট
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি সোমবার দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে শাহবাগ
আন্দোলন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিসহ সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধী মত, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকারকে দলন করে আসছে। জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে শাসক দল সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, দখল, লুটপাটসহ সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিজেদের আকণ্ঠ নিমজ্জিত রেখেছে। নিজেদের অপশাসন টিকিয়ে রাখতে এরা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার মতো নৃশংস পথ বেছে নিয়েছে।
বেগম জিয়া বলেন, সরকারের সমালোচনায় বিরোধী দলের সংবিধান বর্ণিত অধিকারগুলো দুঃশাসনের নিষ্ঠুর যাঁতাকলে পিষ্ট করা হচ্ছে। চার বছরে এই সরকারের অপকর্মের তীব্রতা এতোই বেশি যে, এর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ ছাইচাপা আগুনের মতো আর লুকানো থাকছে না, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো তা উদগীরিত হচ্ছে। তাই জনগণের ক্রোধকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সরকার নানা চক্রান্তজাল বুনে যাচ্ছে। তবে চক্রান্তের ঘূর্ণাবর্তে জনগণকে কখনোই বিভ্রান্ত করা যায় না।
বেগম জিয়া বলেন, সরকারের গণবিরোধী নীতি ও অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেশের লেখক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মুক্তবুদ্ধির বুদ্ধিজীবীদের ওপর আক্রমণ ও হুমকি গত চার বছরে বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে এবং স্বৈরতন্ত্রের এই চরম নগ্নরূপের ফলে দেশে বিরাজমান রয়েছে দুঃসহ অশান্তি ও হানাহানির পরিবেশ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, শাহবাগের সমাবেশে তরুণ-তরুণীদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অপরিসীম। তিনি বলেন, তরুণ সমাজকে দলীয়করণের অপকৌশল সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। জনগণের মধ্যে স্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি করতে হবে যে, শাহবাগের এই আন্দোলন দলমত নির্বিশেষে তরুণ সমাজের আন্দোলন। শাহবাগ চত্বরে সরকারের ভয়াবহ অপকীর্তিসমূহ যুক্ত করে একটা সার্বজনীন আন্দোলনের সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করতে ক্ষমতাসীন মহলের সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত সম্পর্কেও তরুণ-তরুণীদের সচেতন হতে হবে। তাদের মঞ্চে ক্ষমতাসীন জোটের কর্মীদের তৎপরতা থাকলে মানুষকে সন্দিহান করে তুলবে। ওই মঞ্চ থেকে যদি ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ড. পিয়াস করিম, ড. আসিফ নজরুলের ন্যায় দেশ ও দেশের প্রতি সহমর্মী, সত্যনিষ্ঠ ও দৃঢ়চেতা সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের হুমকি দেয়া হয় তাহলে শাহবাগ আন্দোলনের স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন হবে বলে জনগণ মনে করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধী মত, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকারকে দলন করে আসছে। জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে শাসক দল সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, দখল, লুটপাটসহ সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিজেদের আকণ্ঠ নিমজ্জিত রেখেছে। নিজেদের অপশাসন টিকিয়ে রাখতে এরা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার মতো নৃশংস পথ বেছে নিয়েছে।
বেগম জিয়া বলেন, সরকারের সমালোচনায় বিরোধী দলের সংবিধান বর্ণিত অধিকারগুলো দুঃশাসনের নিষ্ঠুর যাঁতাকলে পিষ্ট করা হচ্ছে। চার বছরে এই সরকারের অপকর্মের তীব্রতা এতোই বেশি যে, এর বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ ছাইচাপা আগুনের মতো আর লুকানো থাকছে না, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো তা উদগীরিত হচ্ছে। তাই জনগণের ক্রোধকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সরকার নানা চক্রান্তজাল বুনে যাচ্ছে। তবে চক্রান্তের ঘূর্ণাবর্তে জনগণকে কখনোই বিভ্রান্ত করা যায় না।
বেগম জিয়া বলেন, সরকারের গণবিরোধী নীতি ও অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেশের লেখক, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মুক্তবুদ্ধির বুদ্ধিজীবীদের ওপর আক্রমণ ও হুমকি গত চার বছরে বিপজ্জনক রূপ ধারণ করেছে এবং স্বৈরতন্ত্রের এই চরম নগ্নরূপের ফলে দেশে বিরাজমান রয়েছে দুঃসহ অশান্তি ও হানাহানির পরিবেশ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, শাহবাগের সমাবেশে তরুণ-তরুণীদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অপরিসীম। তিনি বলেন, তরুণ সমাজকে দলীয়করণের অপকৌশল সম্পর্কে সজাগ হতে হবে। জনগণের মধ্যে স্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি করতে হবে যে, শাহবাগের এই আন্দোলন দলমত নির্বিশেষে তরুণ সমাজের আন্দোলন। শাহবাগ চত্বরে সরকারের ভয়াবহ অপকীর্তিসমূহ যুক্ত করে একটা সার্বজনীন আন্দোলনের সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করতে ক্ষমতাসীন মহলের সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত সম্পর্কেও তরুণ-তরুণীদের সচেতন হতে হবে। তাদের মঞ্চে ক্ষমতাসীন জোটের কর্মীদের তৎপরতা থাকলে মানুষকে সন্দিহান করে তুলবে। ওই মঞ্চ থেকে যদি ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ড. পিয়াস করিম, ড. আসিফ নজরুলের ন্যায় দেশ ও দেশের প্রতি সহমর্মী, সত্যনিষ্ঠ ও দৃঢ়চেতা সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের হুমকি দেয়া হয় তাহলে শাহবাগ আন্দোলনের স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন হবে বলে জনগণ মনে করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
No comments