দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন- সাংবাদিক পেটানো ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা যে সদুপদেশ বিতরণ করেছিলেন, তা সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিন্দুমাত্র আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। নিলে এক দিন পরই ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিক পেটানোর মতো ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হতে পারতেন না।
গত শনিবার সন্ধ্যায় আজিমপুর মোড়ে বাস পোড়ানোর সংবাদ শুনে প্রথম আলোর আলোকচিত্র সাংবাদিক হাসান রাজাসহ চার আলোকচিত্র সাংবাদিক মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘ধর, ধর’ বলে তাঁদের ঘিরে ফেলেন। পরিচয়পত্র দেখানোর পরও ছাত্রলীগের কর্মীরা হাসান রাজার ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন। আহত অবস্থায় তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের কর্মীরা অপর দুই সাংবাদিককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অর্থাৎ আসামিরাই এখানে বাদীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
কর্তব্যরত সাংবাদিকেরা নিজ নিজ পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁদের ককটেল নিক্ষেপকারী হিসেবে অভিযুক্ত ও ব্যাগ তল্লাশি করা ছাত্রলীগের পেশিশক্তি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। তার পরও আলোকচিত্র সাংবাদিকদের ভাগ্যবানই বলতে হবে। তাঁরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন। গত মাসে পুরান ঢাকায় এই ককটেল বিস্ফোরণের পর বিশ্বজিৎ নামের এক নিরীহ যুবককে জীবন দিতে হয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীদের জিঘাংসার শিকার হয়ে। তাঁর কোনো অপরাধ ছিল না। ককটেল বিস্ফোরণের সময় তিনি পাশের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
এভাবে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার কী কারণ থাকতে পারে? এসব করে কি ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিকের কলম ও ক্যামেরা স্তব্ধ করে দিতে পারবেন? আমরা ছাত্রলীগের কর্মীদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বরাবরের মতোই দায় অস্বীকার করেছে। তাদের কাছে প্রতিকার আশা করে লাভ নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো তার ছাত্রদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারে না। দায় এড়াতে পারে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। দল-মতনির্বিশেষে ছাত্র নামধারী মস্তানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যেমন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঠেকানো যাবে না, তেমনি অপরাধীরা হয়ে উঠবে আরও বেপরোয়া।
কর্তব্যরত সাংবাদিকেরা নিজ নিজ পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁদের ককটেল নিক্ষেপকারী হিসেবে অভিযুক্ত ও ব্যাগ তল্লাশি করা ছাত্রলীগের পেশিশক্তি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। তার পরও আলোকচিত্র সাংবাদিকদের ভাগ্যবানই বলতে হবে। তাঁরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন। গত মাসে পুরান ঢাকায় এই ককটেল বিস্ফোরণের পর বিশ্বজিৎ নামের এক নিরীহ যুবককে জীবন দিতে হয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীদের জিঘাংসার শিকার হয়ে। তাঁর কোনো অপরাধ ছিল না। ককটেল বিস্ফোরণের সময় তিনি পাশের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
এভাবে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার কী কারণ থাকতে পারে? এসব করে কি ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিকের কলম ও ক্যামেরা স্তব্ধ করে দিতে পারবেন? আমরা ছাত্রলীগের কর্মীদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বরাবরের মতোই দায় অস্বীকার করেছে। তাদের কাছে প্রতিকার আশা করে লাভ নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো তার ছাত্রদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারে না। দায় এড়াতে পারে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। দল-মতনির্বিশেষে ছাত্র নামধারী মস্তানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যেমন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঠেকানো যাবে না, তেমনি অপরাধীরা হয়ে উঠবে আরও বেপরোয়া।
No comments