অমর্ত্য সেনের অভিমত-মানব উন্নয়নের সব সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, 'নারী-পুরুষ (জেন্ডার) সমতায় ভারতের চেয়ে এখন বাংলাদেশ এগিয়ে। মানব উন্নয়নের প্রতিটি সূচকেই ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
' গত শনিবার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বোম্বের (আইআইটি-বি) জি এল মেহতা স্মরণ-বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অমর্ত্য সেন বলেন, 'বেশি দিনের কথা নয়, যখন মানব উন্নয়নের সব সূচকেই ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল। আর এখন বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীসংখ্যা বেশি। দেশটিতে গড় আয়ু বেশি, মৃত্যুর হার কম এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেশি। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ সমতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।'
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মানব উন্নয়ন, বিশেষ করে নারী-পুরুষ সমতার বিষয়ে কাজের ধরনের কড়া সমালোচনা করেন বিশ্ববরেণ্য এ অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নারী-পুরুষ সমতার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি দিলি্লতে বাসে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ব্যাপারে অমর্ত্য সেন বলেন, 'নগরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে সবার মনোযোগ এখন সেদিকে। ধর্ষণ কেবল নগরে ঘটে, গ্রামে হয় না- এটা যাঁরা মনে করেন তাঁদের উদ্দেশে আমি বলব, তাঁরা দলিত নারীদের কোনো খবর রাখেন না। দলিত নারীরা প্রতিনিয়তই ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। সারা ভারতের গ্রামাঞ্চলেই দলিত নারীরা বহুকাল ধরে প্রতিদিন এই অসম্মানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।'
ভারতে গণস্বাস্থ্য সেবা জোরদার করার সমর্থনে অমর্ত্য সেন বলেন, 'একটি স্বাস্থ্যবান জনবল উন্নয়নের আবশ্যিক শর্ত। গণস্বাস্থ্য সেবা খাতে ভারত মোট জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ রাখে, এ খাতে চীনের বরাদ্দ ২ দশমিক ৭ এবং ইউরোপের দেশগুলোয় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।' তিনি বলেন, 'বাজার অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিতে হবে, তবে এতেই ডুবে থাকলে চলবে না। একটি ভুল ধারণা আছে, চীন বাজার অর্থনীতিকে পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। ব্যাপারটা ও রকম নয়। তারা গণস্বাস্থ্য সেবায় জোর দিয়েছে এবং ফল হিসেবে তারা এখন ভারতের ওপর রয়েছে।' সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু।
অমর্ত্য সেন বলেন, 'বেশি দিনের কথা নয়, যখন মানব উন্নয়নের সব সূচকেই ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল। আর এখন বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীসংখ্যা বেশি। দেশটিতে গড় আয়ু বেশি, মৃত্যুর হার কম এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেশি। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ সমতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।'
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মানব উন্নয়ন, বিশেষ করে নারী-পুরুষ সমতার বিষয়ে কাজের ধরনের কড়া সমালোচনা করেন বিশ্ববরেণ্য এ অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নারী-পুরুষ সমতার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি দিলি্লতে বাসে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ব্যাপারে অমর্ত্য সেন বলেন, 'নগরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে সবার মনোযোগ এখন সেদিকে। ধর্ষণ কেবল নগরে ঘটে, গ্রামে হয় না- এটা যাঁরা মনে করেন তাঁদের উদ্দেশে আমি বলব, তাঁরা দলিত নারীদের কোনো খবর রাখেন না। দলিত নারীরা প্রতিনিয়তই ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। সারা ভারতের গ্রামাঞ্চলেই দলিত নারীরা বহুকাল ধরে প্রতিদিন এই অসম্মানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।'
ভারতে গণস্বাস্থ্য সেবা জোরদার করার সমর্থনে অমর্ত্য সেন বলেন, 'একটি স্বাস্থ্যবান জনবল উন্নয়নের আবশ্যিক শর্ত। গণস্বাস্থ্য সেবা খাতে ভারত মোট জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ রাখে, এ খাতে চীনের বরাদ্দ ২ দশমিক ৭ এবং ইউরোপের দেশগুলোয় ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।' তিনি বলেন, 'বাজার অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিতে হবে, তবে এতেই ডুবে থাকলে চলবে না। একটি ভুল ধারণা আছে, চীন বাজার অর্থনীতিকে পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। ব্যাপারটা ও রকম নয়। তারা গণস্বাস্থ্য সেবায় জোর দিয়েছে এবং ফল হিসেবে তারা এখন ভারতের ওপর রয়েছে।' সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু।
No comments