জ্যোতিষীর দৃষ্টিতে ২০১২ by কাজী এস হোসেন
বিশ্বপরিস্থিতি ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর গ্রহগুলোর সার্বিক অবস্থান বিবেচনা করলে বিশ্বপরিস্থিতিকে এককথায় ভালো বলার কোনো উপায় নেই। বিভিন্ন গ্রহের প্রতিকূল অবস্থানের কারণে ২০১২ সাল বিশ্ববাসীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ বছর হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিভিন্ন দেশে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
বৈশ্বিক রাজনীতিতে মধ্যপ্রাচ্যে আগের মতোই অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে। ইরানে হঠাৎ করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে ঘরে-বাইরে দুই জায়গায়ই প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হতে পারে। পাকিস্তানের জন্য বছরটি অত্যন্ত ঘটনাবহুল হয়ে উঠতে পারে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোনো কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল ঘটার সম্ভাবনা আছে। ভারতের জন্য বছরটি শুভাশুভ মিশ্রিত। এ বছর জঙ্গি আক্রমণের আশঙ্কাকে একদম উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ বছর একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারতের কূটনৈতিক বিজয় অর্জিত হবে। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে দেশটি উদ্যোগী হবে। এ বছর চীন তার অস্ত্রের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতেই বেশি মনোযোগী হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি থাকবে চীনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বছরও মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেশটির বৈদেশিক নীতি তীব্রভাবে সমালোচিত হতে পারে।
এ বছর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ‘মন্দের ভালো’ গোছের কোনো শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে।
বাংলাদেশ
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ধনু রাশিতে রাহুর অবস্থান বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। পারস্পরিক দোষারোপ করার প্রবণতা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিছুটা মন্থর গতি পরিলক্ষিত হতে পারে। ২০১২ সালের জুন মাসের পরে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে মতৈক্য হতে পারে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে অন্তঃকলহ ও দল পরিবর্তনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিরোধী দল সংসদমুখী হতে পারে। এ বছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে। গুম, খুন, ছিনতাই, নারী নির্যাতন—এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গত বছরের তুলনায় হ্রাস পেতে পারে। বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থনৈতিক স্থবিরতা হ্রাস পেতে পারে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া বৈদেশিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পুনর্নিয়োগের পথ সুগম হবে। বৈদেশিক দাতা সংস্থাগুলো এ বছর দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। কোনো কোনো প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ বরাদ্দের সম্ভাবনা আছে। দেশের বিরাজমান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতির চাকা ধীরে হলেও সামনের দিকেই এগোবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এ বছর ত্বরান্বিত হবে। দেশের শেয়ারবাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে। কৃষিতে এ বছর বাংলাদেশ আগের সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, অতিবৃষ্টি কিংবা খরাও এ ক্ষেত্রে সাফল্যের চাকাকে থামিয়ে দিতে পারবে না। এর সুফল হিসেবে এ বছর খাদ্যশস্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে পারে। ধান ও রবিশস্যের বাম্পার ফলন হতে পারে এ বছর। তবে ২০১২ সালে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। এ বছর মৃদু ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে একাধিকবার। বড় ধরনের সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ বছর। প্লেনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও অনেকটা অলৌকিকভাবে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হতে পারে। এ বছর যোগাযোগব্যবস্থায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে। রাস্তাঘাট মেরামত, নতুন সেতু ও রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে। সামাজিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তরুণদের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব, পরকীয়া, অনৈতিক সম্পর্ক, ইভ টিজিং—এগুলো বেড়ে যেতে পারে। খেলাধুলায় এ বছর কিছুটা উন্নতি সাধিত হতে পারে। আমাদের ক্রিকেট দল বিদেশের মাটিতে এ বছর উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে। এ ছাড়া অন্যান্য খেলাধুলায়ও আমাদের ক্রীড়াবিদেরা সাফল্যের দেখা পাবেন। শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এ বছর সুবাতাস বইবে। মানসম্মত চলচ্চিত্র, নাটক ও টেলিফিল্ম দর্শকের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। একাধিক চলচ্চিত্র বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়াবে। কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ কিছুটা হলেও সাফল্যের দেখা পাবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে একাধিক অমীমাংসিত ইস্যুর ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
এ বছর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ‘মন্দের ভালো’ গোছের কোনো শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে।
বাংলাদেশ
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ধনু রাশিতে রাহুর অবস্থান বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। পারস্পরিক দোষারোপ করার প্রবণতা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিছুটা মন্থর গতি পরিলক্ষিত হতে পারে। ২০১২ সালের জুন মাসের পরে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে মতৈক্য হতে পারে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে অন্তঃকলহ ও দল পরিবর্তনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিরোধী দল সংসদমুখী হতে পারে। এ বছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে। গুম, খুন, ছিনতাই, নারী নির্যাতন—এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গত বছরের তুলনায় হ্রাস পেতে পারে। বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থনৈতিক স্থবিরতা হ্রাস পেতে পারে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া বৈদেশিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পুনর্নিয়োগের পথ সুগম হবে। বৈদেশিক দাতা সংস্থাগুলো এ বছর দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। কোনো কোনো প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ বরাদ্দের সম্ভাবনা আছে। দেশের বিরাজমান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতির চাকা ধীরে হলেও সামনের দিকেই এগোবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এ বছর ত্বরান্বিত হবে। দেশের শেয়ারবাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে। কৃষিতে এ বছর বাংলাদেশ আগের সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, অতিবৃষ্টি কিংবা খরাও এ ক্ষেত্রে সাফল্যের চাকাকে থামিয়ে দিতে পারবে না। এর সুফল হিসেবে এ বছর খাদ্যশস্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে পারে। ধান ও রবিশস্যের বাম্পার ফলন হতে পারে এ বছর। তবে ২০১২ সালে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। এ বছর মৃদু ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে একাধিকবার। বড় ধরনের সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ বছর। প্লেনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও অনেকটা অলৌকিকভাবে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হতে পারে। এ বছর যোগাযোগব্যবস্থায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে। রাস্তাঘাট মেরামত, নতুন সেতু ও রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে। সামাজিক পরিমণ্ডলে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে। তরুণদের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব, পরকীয়া, অনৈতিক সম্পর্ক, ইভ টিজিং—এগুলো বেড়ে যেতে পারে। খেলাধুলায় এ বছর কিছুটা উন্নতি সাধিত হতে পারে। আমাদের ক্রিকেট দল বিদেশের মাটিতে এ বছর উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে। এ ছাড়া অন্যান্য খেলাধুলায়ও আমাদের ক্রীড়াবিদেরা সাফল্যের দেখা পাবেন। শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এ বছর সুবাতাস বইবে। মানসম্মত চলচ্চিত্র, নাটক ও টেলিফিল্ম দর্শকের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। একাধিক চলচ্চিত্র বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়াবে। কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ কিছুটা হলেও সাফল্যের দেখা পাবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে একাধিক অমীমাংসিত ইস্যুর ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
No comments