সিংড়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ৩ দিন পর আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিয�

নাটোর প্রতিনিধি: সিংড়ায় ছাত্রীকে অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের তিনদিন পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোশারফ হোসেন মোবাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সিংড়া থানা পুলিশ।  পুলিশ জানায়, উপজেলার পাকুরিয়া কালাইকুড়ি গ্রামের অপহৃত মেয়েটি গত ২৭শে ডিসেম্বর বিকালে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যায়। পরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও সে আর বাড়ি ফিরে আসে নি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করার পরও তার কোন হদিস পাননি। এরপর  শুক্রবার একই গ্রামের মকসেদ আলী গোবরার ছেলে মোশারফ হোসেন ওরফে মোবাসহ ৫ জনকে আসামি করে সিংড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। ওই দিনই সিংড়া থানা পুলিশ মোশারফকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। তিনদিন পর সিংড়া থানা পুলিশ গতকাল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারী মাস্টারের বাড়ি থেকে অপহৃত ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে অপহৃত স্কুলছাত্রীর পিতা জানান, আটককৃত মোশারফ হোসেন ইটালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী মাস্টারের ভাগিনা। পরে পুলিশ বারী মাস্টারের বাড়ি থেকেই তার মেয়েকে উদ্ধার করে। এদিকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপহৃত স্কুলছাত্রী জানায়, ২৭শে ডিসেম্বর প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বিকাল ৫টার দিকে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে বগুড়ার একটি হোটেলে আটকে রাখে। এ সময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। তিনদিন আটকে রাখার পর তার পিতা মামলা করায় ওইসব সন্ত্রাসী শুক্রবার রাতে তাকে বারী মাস্টারের বাড়িতে রেখে যায়। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুজাহিদুল ইসলাম খোকন জানান, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার কারণে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ না করা পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এবিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী জানান, থানার ওসি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর আলম জানান, গতকাল সকালে অপহৃত মেয়েটিকে কালাইকুড়ি বারী মাস্টারের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।