ফেসবুকের কারণে এক তৃতীয়াংশ বিয়ে বিচ্ছেদ!

মানবজমিন ডেস্ক: জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুককে বিশ্বে বিয়ে বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করলেন অনলাইনভিত্তিক আইন প্রতিষ্ঠান ডিভোর্স অনলাইনের আইনজীবীরা। প্রতিষ্ঠানটির সাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আচরণ সংক্রান্ত কারণে যে ৫ হাজার ডিভোর্সের আবেদন তাদের কাছে জমা পড়েছে, তার এক-তৃতীয়াংশই ঘটেছে ফেসবুকের কারণে। আর এ হার আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে। এমনকি আইনজীবীরা তাদের মক্কেলকে ফেসবুক এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, ২০১১ সালে এ হার ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ডিভোর্স অনলাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্ক কিনান বলেন, বহু মানুষের কাছে ফেসবুক তাদের বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। তিনি বলেন, এ সাইটটির মাধ্যমে মানুষ তার পুরনো প্রেমিক-প্রেমিকা বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রথমদিকে তাদের মধ্যে আদান-প্রদান করা বার্তাগুলো স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটাই সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। কিনান আরও বলেন, যদি বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির সঙ্গে কেউ ভাব বা প্রেমবিনিময় করতে চান। তবে ফেসবুকই তা করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। এদিকে গত বছর আইন প্রতিষ্ঠানটিতে আচরণগত সমস্যার কারণে বিয়ে বিচ্ছেদের মোট ৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশই সৃষ্ট ফেসবুকের কারণে। এর মূল হিসেবে কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে অনেক সময় কিছু বিষয় গোপন থাকে। কিন্তু ফেসবুকের কারণে স্বামী বা স্ত্রীর থলের বিড়ালটি বাইরে বেরিয়ে আসে। দম্পতিদের একজনের কোন প্রেম নিবেদন বার্তা বা পার্টিতে তোলা কোন ঘনিষ্ঠ ছবি তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে দূরত্ব। তা এক সময় মাত্রা ছাড়িয়ে বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। অর্থাৎ, দম্পতিদের মধ্যের গোপনীয়তা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। প্রকাশটা হয়তো ইচ্ছাকৃত নয়। ওদিকে কিনান বলেন, তিনি তার মক্কেলদেরকে ফেসবুক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে, তারা যখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.