তাঁদের আফসোস নেই
ব্রাজিল যদি বিশ্বকাপ জিততে না পারে? তাহলে অবশ্যই ব্রাজিলিয়ানদের উচিত হবে পর্তুগাল, স্পেন বা জার্মানির পক্ষে গলা ফাটানো। কারণ তাতে আর কিছু না হোক ব্রাজিলিয়ান ছোঁয়া তো থাকবে ট্রফিতে।
এই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই অন্তত চারজন অভিবাসী ব্রাজিলিয়ানকে মাঠে দেখা যেতে পারে। পর্তুগালের ডেকো ও লিয়েডসন, জার্মানির কাকাউ এবং স্পেনের মার্কোস সেনা। শুধু এই তিন দল কেন, ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া ফুটবলার তো এখন দুনিয়ার অনেক জাতীয় দলেই আছেন। ব্রাজিলকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুটবলার ‘রপ্তানিকারক’ দেশ!
আগের বিশ্বকাপগুলোর দিকে তাকালেই পাওয়া যাবে এ কথার সারবত্তা। বেলজিয়াম, কোস্টারিকা, মেক্সিকো, জাপান, তিউনিশিয়ার মতো দেশের জার্সি গায়েও বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে খেলেছেন ব্রাজিলিয়ানরা।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের এই দাপট এমনই চরমে উঠেছে যে, ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার মাঝে বলেছিলেন, ‘কিছু দেশের ফুটবলারের অভিবাসন ঠেকাতে না পারলে খুব বিপদ হবে। আসলে ব্রাজিলে ফুটবল খেলে ছয় কোটি মানুষ; আর দলে সুযোগ পায় মাত্র ১১ জন।’
ব্ল্যাটার কথিত এই কারণই আসলে ব্রাজিলিয়ানদের বিভিন্ন দেশের হয়ে খেলতে উৎসাহিত করে। ব্রাজিল দলে নিজেকে যোগ্য ভাবতে না পেরেই ডেকো, মার্কোস সেনারা পাড়ি জমান বিদেশে।
ব্রাজিল কোচ কার্লোস দুঙ্গা সত্য কথাটাই বলেছেন অন্যভাবে। বিশ্বকাপ ড্র-তে ব্রাজিল ও পর্তুগাল পড়েছে একই গ্রুপে। দুঙ্গা যে পর্তুগালকে পাত্তা দিচ্ছেন না সেটা বোঝাতে বলেছিলেন, ‘আমরা তো আসলে ব্রাজিল-বি দলের বিপক্ষেই খেলতে যাচ্ছি।’
অর্থ পরিষ্কার, পর্তুগালের বিশ্বকাপ দলে মোটামুটি নিশ্চিত দুই ব্রাজিলিয়ান ডেকো আর লিয়েডসনকে জন্মভূমির ‘বি’ গ্রেডের খেলোয়াড় বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন দুঙ্গা। আর তাতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা একটু চটেছেন। ডেকো তো দিনকয়েক আগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, ইচ্ছে করলেই ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারতেন তিনি। ডেকোর দাবি, ব্রাজিলের হয়ে খেলা অনেকেরই তাঁর অর্ধেক অর্জনও নেই, ‘আমার মতো ক্যারিয়ার থাকলে ব্রাজিলের হয়ে খেলাটা খুব স্বাভাবিক ব্যবহার। এমন অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা ওই জার্সি (ব্রাজিলের) পরেছে, কিন্তু আমি যা অর্জন করেছি, তার অর্ধেকও জীবনে অর্জন করতে পারেনি।’
ডেকোর পর্তুগাল সতীর্থ লিয়েডসন অবশ্য এত আক্রমণাত্মক হননি। তাঁর কথা, জন্মভূমির প্রতি তাঁর ভালোবাসা আছে। কিন্তু দায়বদ্ধতা পর্তুগালের প্রতি। কেন এই দায়বদ্ধতা, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কোস সেনা।
সাও পাওলোতে জন্ম নেওয়া এই স্প্যানিশ ফুটবলার বলছেন, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্যই তাঁর মতো ব্রাজিলিয়ানরা ইউরোপে পাড়ি জমান। এবং যেখানে খাওয়া-পরার নিশ্চয়তাটা মেলে, দায়বদ্ধতা সেখানেই তৈরি হয়।
তাই ব্রাজিলের হয়ে খেলতে না পারার জন্য একটুও আফসোস সেই সেনার, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাচ্চাদের ভালো পড়াশোনা বা ভালো জীবনযাপন নিয়ে চিন্তা করতাম না। কিন্তু আজ আমি জানি যে, ওখানে (ব্রাজিলে) আমি আমার ছেলেকে এমন জীবন গড়ার সুযোগ দিতে পারতাম না। সত্যি কথা বলি, এখন আমি ব্রাজিলের বিপক্ষেই খেলতে পছন্দ করি। কারণ এই না যে, আমার ওই দেশের প্রতি কোনো রাগ বা হতাশা আছে। কারণ আমি এখন স্পেনের মানুষ। অবশ্যই আমারও আবেগ আছে। কিন্তু আমি ব্রাজিলকে মিস করি না।
এই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেই অন্তত চারজন অভিবাসী ব্রাজিলিয়ানকে মাঠে দেখা যেতে পারে। পর্তুগালের ডেকো ও লিয়েডসন, জার্মানির কাকাউ এবং স্পেনের মার্কোস সেনা। শুধু এই তিন দল কেন, ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া ফুটবলার তো এখন দুনিয়ার অনেক জাতীয় দলেই আছেন। ব্রাজিলকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুটবলার ‘রপ্তানিকারক’ দেশ!
আগের বিশ্বকাপগুলোর দিকে তাকালেই পাওয়া যাবে এ কথার সারবত্তা। বেলজিয়াম, কোস্টারিকা, মেক্সিকো, জাপান, তিউনিশিয়ার মতো দেশের জার্সি গায়েও বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে খেলেছেন ব্রাজিলিয়ানরা।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের এই দাপট এমনই চরমে উঠেছে যে, ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার মাঝে বলেছিলেন, ‘কিছু দেশের ফুটবলারের অভিবাসন ঠেকাতে না পারলে খুব বিপদ হবে। আসলে ব্রাজিলে ফুটবল খেলে ছয় কোটি মানুষ; আর দলে সুযোগ পায় মাত্র ১১ জন।’
ব্ল্যাটার কথিত এই কারণই আসলে ব্রাজিলিয়ানদের বিভিন্ন দেশের হয়ে খেলতে উৎসাহিত করে। ব্রাজিল দলে নিজেকে যোগ্য ভাবতে না পেরেই ডেকো, মার্কোস সেনারা পাড়ি জমান বিদেশে।
ব্রাজিল কোচ কার্লোস দুঙ্গা সত্য কথাটাই বলেছেন অন্যভাবে। বিশ্বকাপ ড্র-তে ব্রাজিল ও পর্তুগাল পড়েছে একই গ্রুপে। দুঙ্গা যে পর্তুগালকে পাত্তা দিচ্ছেন না সেটা বোঝাতে বলেছিলেন, ‘আমরা তো আসলে ব্রাজিল-বি দলের বিপক্ষেই খেলতে যাচ্ছি।’
অর্থ পরিষ্কার, পর্তুগালের বিশ্বকাপ দলে মোটামুটি নিশ্চিত দুই ব্রাজিলিয়ান ডেকো আর লিয়েডসনকে জন্মভূমির ‘বি’ গ্রেডের খেলোয়াড় বলে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন দুঙ্গা। আর তাতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা একটু চটেছেন। ডেকো তো দিনকয়েক আগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, ইচ্ছে করলেই ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারতেন তিনি। ডেকোর দাবি, ব্রাজিলের হয়ে খেলা অনেকেরই তাঁর অর্ধেক অর্জনও নেই, ‘আমার মতো ক্যারিয়ার থাকলে ব্রাজিলের হয়ে খেলাটা খুব স্বাভাবিক ব্যবহার। এমন অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা ওই জার্সি (ব্রাজিলের) পরেছে, কিন্তু আমি যা অর্জন করেছি, তার অর্ধেকও জীবনে অর্জন করতে পারেনি।’
ডেকোর পর্তুগাল সতীর্থ লিয়েডসন অবশ্য এত আক্রমণাত্মক হননি। তাঁর কথা, জন্মভূমির প্রতি তাঁর ভালোবাসা আছে। কিন্তু দায়বদ্ধতা পর্তুগালের প্রতি। কেন এই দায়বদ্ধতা, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কোস সেনা।
সাও পাওলোতে জন্ম নেওয়া এই স্প্যানিশ ফুটবলার বলছেন, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্যই তাঁর মতো ব্রাজিলিয়ানরা ইউরোপে পাড়ি জমান। এবং যেখানে খাওয়া-পরার নিশ্চয়তাটা মেলে, দায়বদ্ধতা সেখানেই তৈরি হয়।
তাই ব্রাজিলের হয়ে খেলতে না পারার জন্য একটুও আফসোস সেই সেনার, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার বাচ্চাদের ভালো পড়াশোনা বা ভালো জীবনযাপন নিয়ে চিন্তা করতাম না। কিন্তু আজ আমি জানি যে, ওখানে (ব্রাজিলে) আমি আমার ছেলেকে এমন জীবন গড়ার সুযোগ দিতে পারতাম না। সত্যি কথা বলি, এখন আমি ব্রাজিলের বিপক্ষেই খেলতে পছন্দ করি। কারণ এই না যে, আমার ওই দেশের প্রতি কোনো রাগ বা হতাশা আছে। কারণ আমি এখন স্পেনের মানুষ। অবশ্যই আমারও আবেগ আছে। কিন্তু আমি ব্রাজিলকে মিস করি না।
No comments