ইংল্যান্ডে ছিল মোদির গোপন ছক
খুদে ব্লগ টুইটারে ছোট্ট একটা বার্তা দিয়ে প্রচ্ছন্ন একটা হুমকিই দিয়ে রেখেছিলেন লোলিত মোদি। কিন্তু এক দিন পরই পাল্টা জবাব এল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফে। দুর্নীতি, অর্থ পাচার, তহবিল তছরুপ, স্বজনপ্রীতি, কর ফাঁকি—মোদির বিরুদ্ধে হাজারটা অভিযোগের তালিকায় যোগ হলো নতুন গুরুতর এক অভিযোগ—ক্রিকেট বিশ্বকেই দ্বিখণ্ডিত করার গোপন চেষ্টার!
বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে একটা ই-মেইল পাঠিয়েছেন জাইলস ক্লার্ক। ই-মেইলে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, আইপিএলের মতোই একটা আলাদা টুর্নামেন্ট ইংল্যান্ডে চালু করার ছক কেটেছিলেন মোদি। সেই উদ্যোগে হাত মিলিয়েছিল ইংল্যান্ডের তিনটি কাউন্টি দল। ৩১ মার্চ দিল্লিতে ওই তিন কাউন্টির কর্মকর্তা ও মোদির গোপন বৈঠকও হয়েছিল।
মোদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার শেষ দিন আগামী সোমবার। আগের আনা অভিযোগগুলোর সঙ্গে বিসিসিআই এখন আরও একটি কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠাল মোদিকে।
ওই গোপন বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা করা হয় সেটি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আইপিএলের মতোই ইংল্যান্ডের ওই টুর্নামেন্টে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিলাম করা হতো। দলগুলোও বিক্রি হতো ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে। এতে আইপিএলের ১০টি দলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো নতুন দলগুলোর মালিকানা কেনার ব্যাপারে। তবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজেরই ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকত ইংল্যান্ডের কারও হাতে। অংশ নেওয়া কাউন্টি দলগুলো লাভের ২০ শতাংশ পেত। বাকি ৮০ শতাংশ লাভ পেত ফ্র্যাঞ্চাইজগুলো। বাকি সবকিছু নিয়মকানুনই হতো আইপিএলের মতোই।
যে আইসিএলকে নিয়ে এত ভয় ছিল আইসিসির, মোদির পরিকল্পিত এমন আরও একটা টুর্নামেন্ট চালু হলে সেটিও একই রকম ফল দিত বলে মনে করছেন ক্লার্ক। খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব আর নিয়ন্ত্রণ কমে যেত ক্রিকেট বোর্ডগুলোর। কারণ খেলোয়াড়েরা বোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া বেতনের কয়েক গুণ পেত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলেই। শুধু তা-ই নয়, আইপিএলে খেলার জন্য যেমন বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে হয় খেলোয়াড়দের, প্রস্তাবিত এই টুর্নামেন্টে সেটির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ফলে বোর্ড থেকে নিষিদ্ধ হলেও এই টুর্নামেন্টে খেলা যেত অনায়াসে। এতে ক্রিকেট বিশ্বের ক্ষমতার বর্তমান কাঠামোটা ভেঙে পড়ত।
ক্লার্ক তাই শঙ্কার সঙ্গেই তাঁর ওই ই-মেইলে মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ হতো ‘ভারতীয় ক্রিকেট, ইংলিশ ক্রিকেট এবং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ’। মোদির সঙ্গে ওই গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন ইয়র্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট রিগ্যান, ওয়ারউইকশায়ারের প্রধান নির্বাহী কলিন পভি এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের কমিটি সদস্য ডেভিড হজকিস।
তবে ইয়র্কশায়ারের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস দাবি করছেন, বৈঠক একটা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেটিকে ‘গোপন’ ‘বিকল্প টুর্নামেন্ট চালু’ এসব কথা বলে রং চড়ানো হচ্ছে, ‘সব ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা হচ্ছে। এটা আসলে একটা সম্ভাব্যতা যাচাইয়েই বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে লোলিত মোদি মোটেও কোনো লাভক্ষতির প্রস্তাব দেননি। কোনো গোপন প্রস্তাব, গোপন এজেন্ডা, গোপনীয় কিছুই হয়নি।’
কিন্তু বিসিসিআই বলছে, এই বৈঠকের কথা আগে থেকে তারা জানত না। ইসিবিরও দাবি একই। না জানিয়ে বৈঠক করাই তো গোপন বৈঠক। আইসিএলকে দৃশ্যপট থেকে অদৃশ্য করে দেওয়া মোদিই কি তবে ‘বিদ্রোহী’ কোনো টুর্নামেন্টের ছক কেটেছিলেন?
বিসিসিআই কর্মকর্তাদের কাছে একটা ই-মেইল পাঠিয়েছেন জাইলস ক্লার্ক। ই-মেইলে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, আইপিএলের মতোই একটা আলাদা টুর্নামেন্ট ইংল্যান্ডে চালু করার ছক কেটেছিলেন মোদি। সেই উদ্যোগে হাত মিলিয়েছিল ইংল্যান্ডের তিনটি কাউন্টি দল। ৩১ মার্চ দিল্লিতে ওই তিন কাউন্টির কর্মকর্তা ও মোদির গোপন বৈঠকও হয়েছিল।
মোদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার শেষ দিন আগামী সোমবার। আগের আনা অভিযোগগুলোর সঙ্গে বিসিসিআই এখন আরও একটি কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠাল মোদিকে।
ওই গোপন বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা করা হয় সেটি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আইপিএলের মতোই ইংল্যান্ডের ওই টুর্নামেন্টে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিলাম করা হতো। দলগুলোও বিক্রি হতো ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে। এতে আইপিএলের ১০টি দলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো নতুন দলগুলোর মালিকানা কেনার ব্যাপারে। তবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজেরই ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকত ইংল্যান্ডের কারও হাতে। অংশ নেওয়া কাউন্টি দলগুলো লাভের ২০ শতাংশ পেত। বাকি ৮০ শতাংশ লাভ পেত ফ্র্যাঞ্চাইজগুলো। বাকি সবকিছু নিয়মকানুনই হতো আইপিএলের মতোই।
যে আইসিএলকে নিয়ে এত ভয় ছিল আইসিসির, মোদির পরিকল্পিত এমন আরও একটা টুর্নামেন্ট চালু হলে সেটিও একই রকম ফল দিত বলে মনে করছেন ক্লার্ক। খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব আর নিয়ন্ত্রণ কমে যেত ক্রিকেট বোর্ডগুলোর। কারণ খেলোয়াড়েরা বোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া বেতনের কয়েক গুণ পেত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলেই। শুধু তা-ই নয়, আইপিএলে খেলার জন্য যেমন বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে হয় খেলোয়াড়দের, প্রস্তাবিত এই টুর্নামেন্টে সেটির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ফলে বোর্ড থেকে নিষিদ্ধ হলেও এই টুর্নামেন্টে খেলা যেত অনায়াসে। এতে ক্রিকেট বিশ্বের ক্ষমতার বর্তমান কাঠামোটা ভেঙে পড়ত।
ক্লার্ক তাই শঙ্কার সঙ্গেই তাঁর ওই ই-মেইলে মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ হতো ‘ভারতীয় ক্রিকেট, ইংলিশ ক্রিকেট এবং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ’। মোদির সঙ্গে ওই গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন ইয়র্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট রিগ্যান, ওয়ারউইকশায়ারের প্রধান নির্বাহী কলিন পভি এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের কমিটি সদস্য ডেভিড হজকিস।
তবে ইয়র্কশায়ারের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস দাবি করছেন, বৈঠক একটা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেটিকে ‘গোপন’ ‘বিকল্প টুর্নামেন্ট চালু’ এসব কথা বলে রং চড়ানো হচ্ছে, ‘সব ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলা হচ্ছে। এটা আসলে একটা সম্ভাব্যতা যাচাইয়েই বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে লোলিত মোদি মোটেও কোনো লাভক্ষতির প্রস্তাব দেননি। কোনো গোপন প্রস্তাব, গোপন এজেন্ডা, গোপনীয় কিছুই হয়নি।’
কিন্তু বিসিসিআই বলছে, এই বৈঠকের কথা আগে থেকে তারা জানত না। ইসিবিরও দাবি একই। না জানিয়ে বৈঠক করাই তো গোপন বৈঠক। আইসিএলকে দৃশ্যপট থেকে অদৃশ্য করে দেওয়া মোদিই কি তবে ‘বিদ্রোহী’ কোনো টুর্নামেন্টের ছক কেটেছিলেন?
No comments