এবার জোট সরকার, না সংখ্যালঘিষ্ঠদের সরকার?
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রাথমিক ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। ফলে গত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট দেখতে যাচ্ছে ব্রিটেনবাসী।
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে কোনো দলের অর্ধেকের বেশি আসনে প্রতিনিধিত্ব না থাকলে ওই পার্লামেন্টকে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট বলে। অর্থাৎ কোনো প্রস্তাব অনুমোদন করাতে অন্যান্য দলের সমর্থন দরকার হয় ওই পার্লামেন্টে। ১৯৭৪ সালের পর ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করা হয়নি।
গতকাল শুক্রবারের প্রাথমিক ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনে যা ঘটে: ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। হাউস অব কমন্সে আস্থা অর্জনের জন্য বড় দলগুলো অপেক্ষাকৃত কম আসন পাওয়া দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করার চেষ্টা করবে। ঐতিহ্য অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকার, এ ক্ষেত্রে লেবার পার্টি প্রথমে সরকার গঠন করার ডাক পাবে। যেহেতু লেবার বা কনজারভেটিভ পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই তারা তৃতীয় বৃহত্তম দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট বা কম আসন পাওয়া বাকি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা করবে।
জোট সরকার না সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার: এবারের নির্বাচনে ব্রিটেনে জোট সরকার গঠিত হবে, নাকি সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার হবে, তা দেখার বিষয়। যুক্তরাজ্যে জোট সরকার গঠনের ইতিহাস তেমন ভালো নয়। আর ওই ধরনের সরকার গঠন এবং কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবে, তা নিয়ে দরকষাকষি করতে অনেক সময় পার হয়ে যায়। চূড়ান্ত ফল কী হবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
সংখ্যালঘিষ্টদের সরকারে এ ধরনের ঝামেলা কম। এ ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করাতে সরকারকে অন্যান্য দলের সমর্থন আদায় করতে হয়। সেখানে এ ধরনের সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনাই বরং বেশি।
পরামর্শক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর গভর্নমেন্ট জানিয়েছে, অনেক দেশেই সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা করতে সফল হয়েছে। ষাটের দশকে কানাডায় এ ধরনের একটি সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাত সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সুইডেনে ব্যাপক বাজেট ঘাটতি সামাল দিয়েছিল সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার।
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে কোনো দলের অর্ধেকের বেশি আসনে প্রতিনিধিত্ব না থাকলে ওই পার্লামেন্টকে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট বলে। অর্থাৎ কোনো প্রস্তাব অনুমোদন করাতে অন্যান্য দলের সমর্থন দরকার হয় ওই পার্লামেন্টে। ১৯৭৪ সালের পর ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করা হয়নি।
গতকাল শুক্রবারের প্রাথমিক ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনে যা ঘটে: ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। হাউস অব কমন্সে আস্থা অর্জনের জন্য বড় দলগুলো অপেক্ষাকৃত কম আসন পাওয়া দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করার চেষ্টা করবে। ঐতিহ্য অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকার, এ ক্ষেত্রে লেবার পার্টি প্রথমে সরকার গঠন করার ডাক পাবে। যেহেতু লেবার বা কনজারভেটিভ পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই তারা তৃতীয় বৃহত্তম দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট বা কম আসন পাওয়া বাকি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা করবে।
জোট সরকার না সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার: এবারের নির্বাচনে ব্রিটেনে জোট সরকার গঠিত হবে, নাকি সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার হবে, তা দেখার বিষয়। যুক্তরাজ্যে জোট সরকার গঠনের ইতিহাস তেমন ভালো নয়। আর ওই ধরনের সরকার গঠন এবং কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবে, তা নিয়ে দরকষাকষি করতে অনেক সময় পার হয়ে যায়। চূড়ান্ত ফল কী হবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
সংখ্যালঘিষ্টদের সরকারে এ ধরনের ঝামেলা কম। এ ক্ষেত্রে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করাতে সরকারকে অন্যান্য দলের সমর্থন আদায় করতে হয়। সেখানে এ ধরনের সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনাই বরং বেশি।
পরামর্শক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর গভর্নমেন্ট জানিয়েছে, অনেক দেশেই সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার কার্যকরভাবে দেশ পরিচালনা করতে সফল হয়েছে। ষাটের দশকে কানাডায় এ ধরনের একটি সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাত সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সুইডেনে ব্যাপক বাজেট ঘাটতি সামাল দিয়েছিল সংখ্যালঘিষ্টদের সরকার।
No comments